শেকৃবিতে তদন্তে স্থবিরতা: সাত কমিটির কোনোটিরই কাজ শেষ হয়নি

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) গত এক বছরের মধ্যে নিয়োগ, যৌন হয়রানি, নির্মাণকাজ, পদোন্নতি ও ছাত্রত্ব–সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্তে একের পর এক সাতটি কমিটি গঠিত হয়েছে, কিন্তু একটি কমিটিও চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। সংশ্লিষ্টদের মতে, রাজনৈতিক চাপ, প্রশাসনিক অনীহা, একাডেমিক ব্যস্ততা ও সদিচ্ছার অভাব—এই চার কারণেই তদন্ত প্রক্রিয়া বারবার থমকে যাচ্ছে।
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়ম নিয়ে তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয় গত ৫ জানুয়ারি। কমিটি মাত্র কয়েকবার বৈঠক করে নথি সংগ্রহের পর আর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার অভিযোগ, অভিযুক্তদের রক্ষা করতেই সময়ক্ষেপণ চলছে। কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রজ্জব আলী জানান, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সবটাই এখনও হাতে আসেনি।
চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি দুই শিক্ষার্থী—কৃষি অনুষদের মো. ফরহাদ হোসেন ও অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের আব্দুল্লাহ আল মারুফ—এর ঝরে যাওয়া ছাত্রত্ব পুনর্বিবেচনায় পৃথক দুটি কমিটি গঠিত হয়। একাধিক ছাত্র সংগঠনের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী এ সুযোগ নেই; প্রশাসন রাজনৈতিক কারণে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে। দুটো কমিটিই এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
পাশাপাশি ২০২৩ সালের এপ্রিলে এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিকদের প্রতিবেদন প্রকাশের পর পুরোনো কমিটি বাদ দিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিটি গড়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক উপ-উপাচার্য ড. বেলাল হোসেন বলেন, “তদন্ত চলছে, তবে কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন, গ্রিনহাউস, লিফট ও আবাসিক হলের নির্মাণকাজে দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৬ জানুয়ারি পাঁচ সদস্যের কমিটি অনুমোদন পায়। কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ছরোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, খসড়া প্রতিবেদন এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
এর আগে সিনিয়র ইমাম মো. আবুল কালামের পদোন্নতির যথাযথতা নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি (১৫ সেপ্টেম্বর) এবং প্রথম গেট-সংলগ্ন অস্থায়ী মার্কেটে দোকান বরাদ্দ ও ভাড়া অনিয়ম নিয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি (৭ এপ্রিল) - দুটিই প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ।
এ ছাড়া গত আগস্টের আগেই গঠিত আরও কয়েকটি তদন্ত কমিটির কাজ থমকে আছে।
পুরো পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ বলেন, “শিক্ষাদায়িত্ব ও অতিরিক্ত প্রশাসনিক কাজের চাপে সময় বেশি লাগছে; তবু শিগগিরই কমিটিগুলোকে প্রতিবেদন দিতে তাগাদা দেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নানা অভিযোগের গতি থেমে যাওয়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মহলে হতাশা বাড়ছে; সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্তই এখন সবার মূল প্রত্যাশা।
এমএসএম / এমএসএম

জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

শেকৃবিতে শিক্ষার্থীদের জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্টে দেয়া হবে ল্যাপটপ

ইউজিসি'র হিট প্রকল্পের গবেষণা ফান্ডে নাম নেই জবির

চবিতে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,মৃত্যু ঘিরে রহস্য

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই ৩৬ কর্ণার উদ্বোধন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে যুক্ত হচ্ছে লিখিত ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষা

জুলাইয়ের স্পিরিট নিয়ে কাল আসছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ইউটিএল

গবিতে বিতর্ক উৎসব: চার ধারার যুক্তিযুদ্ধ

দাবায় চবির ৯ অনুষদের লড়াই, শেষ হলো ‘চেস ফেস্ট

ইবিতে নিহত সাজিদের শেষ ফোনকল নিয়ে রহস্য
