ঢাকা বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পবিপ্রবিতে রাজনৈতিক মেরুকরণ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অস্থিরতা


পবিপ্রবি প্রতিনিধি photo পবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯-৮-২০২৫ বিকাল ৫:৯

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন প্রত্যাশা সত্ত্বেও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) চলছে পুরনো নিয়মেই। ক্ষমতার পালাবদলে শুধু চেয়ারের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কোনো দৃশ্যমান সংস্কার হয়নি। শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে। শিক্ষার্থীরা যেখানে শিক্ষার মান ও গবেষণার উন্নয়নের আশা করছিল, সেখানে শিক্ষকরা পদবি পাওয়া-না-পাওয়া নিয়ে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছেন।

সম্প্রতি সহযোগী অধ্যাপক ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালকের পদ না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে 'জামায়াতীকরণ' করার অভিযোগ তোলেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মহলে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় এবং শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন জাগে, প্রশাসন শিক্ষার মান নিশ্চিত করার চেয়ে রাজনৈতিক মেরুকরণের দিকে ঝুঁকছে কি না।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পদগুলোতে রাজনৈতিক শিক্ষকদের আধিপত্য রয়েছে, যার ৮০ শতাংশ বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের দখলে এবং বাকি ২০ শতাংশ জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে ২৩টিতে বিএনপিপন্থী ও ৬টিতে জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক ও ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক মামুন-অর-রশিদ এই 'জামায়াতীকরণ' প্রসঙ্গে বলেন, তার জানা নেই ইউট্যাবের কেউ এমন বক্তব্য দিয়েছেন কি না, যদি দিয়ে থাকে তবে তা আলোচনার বিষয়। অন্যদিকে, জামায়াতপন্থী শিক্ষক ও গ্রীন ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মামুন-উর-রশিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের একচ্ছত্র অংশগ্রহণে চলছে, যা উচিত নয়। তার মতে, নেতৃত্ব ও দায়িত্ব বণ্টন হওয়া উচিত যোগ্যতা ও নৈতিকতার মানদণ্ডে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি সবসময় যোগ্যতম শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে যোগ্য জায়গায় পদায়ন করার চেষ্টা করেছেন এবং সর্বশেষ ছাত্র-নির্দেশনা শাখার পরিচালকের নিয়োগ তার একটি উদাহরণ। তিনি বলেন, তার প্রশাসন দল ও আদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে সঠিক ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেয়। উপাচার্যকে যখন তার নিয়োগকৃতদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন তিনি বলেন, তিনি সবাইকে বোঝার জন্য অল্প সময় পেয়েছেন। তিনি জানান, ২৯টি পদের বেশিরভাগই তার নিয়োগের আগে পদায়ন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে বর্তমান প্রোভিসি অধ্যাপক হেমায়েত জাহান ভালো বলতে পারবেন।

 

এমএসএম / এমএসএম

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ১২ গবেষক

বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকদের তালিকায় ইবির দুই অধ্যাপক

আমরা ক্রমশ সাম্য থেকে বৈষম্যের দিকে আগুয়ান হচ্ছি: ড. সলিমুল্লাহ খান

চবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী

পবিপ্রবিতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হল ও সুলতানা রাজিয়া হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

পবিপ্রবিতে আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন

পোষ্য কোটার দাবিতে এবার কর্মবিরতিতে রাবির শিক্ষক-কর্মকর্তারা

জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে: ইউজিসি চেয়ারম্যান

ইবিতে বৈদ্যুতিক শাটল কার উদ্বোধন 

গোবিপ্রবিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান বায়োকেমিস্টি এন্ড মলিকুলার বিভাগ