জলসীমা অতিক্রম না করার অঙ্গীকারে ট্রলারসহ আটক জেলেদের ফেরত

সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকেপড়া কক্সবাজারের টেকনাফে ১৯টি ট্রলারসহ ১২২ জেলেকে ফেরত আনার পর আটক করেছে কোস্টগার্ড।এরমধ্যে ট্রলারগুলো মাঝিমাল্লা হিসেবে থাকা ৯৩জন রোহিঙ্গা নাগরিককে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং এপিবিএন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাঠানো হচ্ছে। বাকি ২৯জন বাংলাদেশি জেলে এবং ১৯টি ট্রলার পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হচ্ছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর।তিনি বলেন, আজ শনিবার সকালে তাদেরকে পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক , শরণাথী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা এপিবিএন পুলিশের সিদ্ধান্ত অনুসারে রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয়শিবিরে পাঠানো হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, বাকি ২৯জন বাংলাদেশি জেলে এবং ১৯টি ট্রলার কোস্টগার্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে টেকনাফ উপজেলা নিবাহী কমকর্তা ইউএনওর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান চৌধুরীর উপস্থিতিতে সামাজিক বিচারের মাধ্যমে ট্রলার মালিক সমিতির নেতা ও মালিকের গণের কাছে হস্থান্তর করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জলসীমানা অতিক্রম না করার অঙ্গীকার দেওয়ায় ট্রলার ও জেলেদের সতর্ক করে স্ব-স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে শাহপরীর দ্বীপ মোহনা পর্যন্ত নাফ নদীর বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার জলসীমায় ঢোকা ১৯ ট্রলারসহ ১২২ জেলেকে ফেরত এনেছিল কোস্টগার্ড সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন,রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমান্তের বড় অংশ এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারে ঢুকলেই জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এ অবস্থায় জেলেদের ফেরত আনতে গিয়ে কোস্টগার্ডসহ সীমান্তে নিয়োজিত বাহিনীকে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। এতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, মাদক ও অস্ত্রপাচার রোধেও চ্যালেঞ্জ বাড়ছে।
ফেরত আনা জেলেরা এখন শাহপরীর দ্বীপ কোস্টগার্ড স্টেশনে হেফাজতে থাকালেও তাদেরকে টেকনাফ থানা পুলিশে সোপদ করা হয়।ট্রলার মালিকদের দাবি, সাগরে মাছ ধরতে গেলে নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট দিয়েই যেতে হয়। না হলে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাবে।
ট্রলার মালিকদের তথ্য অনুযায়ী, ৫ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৩ দিনে আরাকান আর্মি ১০টি ট্রলারসহ ৬৩ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে গোষ্ঠীটি ২৬৭ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে ১৮৯জনকে এবং ২৭টি নৌযান ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।।
এমএসএম / এমএসএম

জাকসু নির্বাচন : দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষিকার মৃত্যু

কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া নুরুল কবির বাঁচার জন্য আশংকা প্রকাশ করে থানায় অভিযোগও করেছিল

বালু খেকোরা যত বড় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে নাঃ ইউএনও তরিকুল ইসলাম

বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন
