নির্বাচনী সহিংসতা
কুতুবদিয়ায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় পিলটকাটা কেন্দ্রে নিহত আ'লীগ নেতা আবদুল হালিমের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তিন শিশুকে জড়িয়ে অঝোরে কাঁদছে তার পরিবার। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে এলাকার আকাশ বাতাস। আবদুল হালিম ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিহতের অবুঝ তিন শিশু এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে দেখতে হালিমের বাড়িতে ছুটে আসেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনের সাংসদ আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক, সমবায় ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম কুতুবী, মহেশখালীর পৌর মেয়র মকসুদ মিয়াসহ আ'লীগ নেতৃবৃন্দ।
হালিমের অবুঝ তিন শিশুকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের জানাজায় অংশ নেন। এ সময় নিহতের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ এবং বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। আওয়ামী লীগের নিবেদিত এই কর্মীর জানাজায় শরিক হতে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছুটে আসেন। জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। জানাজা শেষে মরহুমকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
এমএসএম / জামান