চট্টগ্রামে জাল সনদে প্রধান শিক্ষক, ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ

জাল সনদে চাকরি নেয়া চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন সুপারিশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি ভুয়া এম.এ (ইংরেজি) সনদ এবং জাল অভিজ্ঞতা সনদ ব্যবহার করে শিক্ষকতায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন ও এমপিওভুক্ত হন। তদন্তে উঠে আসে, ২০০৬ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের একটি এম.এ সনদ ব্যবহার করে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি তিনি আগ্রাবাদ সরকারি কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৫ সালের এমপিও জনবল কাঠামো অনুসারে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ১২ বছরের এমপিওভুক্ত শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক। কিন্তু জাহাঙ্গীর আলমের এমপিওভুক্ত অভিজ্ঞতা ছিল না। মাত্র ৯ বছর ১ মাস নন-এমপিও শিক্ষকতার জাল অভিজ্ঞতা দেখিয়ে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চাকরি নিয়েছিলেন, যা জনবল কাঠামো অনুযায়ী বৈধ হয়নি। এছাড়া একই সময়ে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা এবং অতিরিক্ত ভাতা গ্রহণ করার কথাও তিনি স্বীকার করেছেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, তিনি ভুয়া সনদ শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জমা দিয়েছেন, যা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের শামিল। তার নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের সুনামও নষ্ট হয়েছে।
তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও উল্লেখ করে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করার সুপারিশ করেছে।
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র পাঠিয়েছে, যাতে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
অতীতের নিয়োগে অনিয়ম
তদন্তে আরও বেরিয়ে আসে, ২০০২ সালে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ক্যাপ্টেন শামছুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম গ্রেডে প্রথম এমপিওভুক্ত হন। মাত্র ৮ মাস এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ২০০৩ সালে পাহাড়তলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। কিন্তু ১৯৯৫ সালের এমপিও জনবল কাঠামো অনুযায়ী এ পদে নিয়োগের জন্য ১২ বছরের এমপিওভুক্ত অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন ছিল। ফলে এ নিয়োগ বৈধ হয়নি।
এ ছাড়া তিনি ১০ম গ্রেডের অভিজ্ঞতা নিয়ে পাহাড়তলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম গ্রেডে বেতন ও ভাতা গ্রহণ করেন, যা বিধিসম্মত ছিল না। একই সময়ে তিনি চাঁন্দগাঁও থানার উত্তর মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন—যা নিয়মবিরুদ্ধ। লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দিতে তিনি বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
এমএসএম / এমএসএম

দোহারে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

টাঙ্গাইলের রনদা প্রসাদ সাহার দুর্গা মন্দির পরিদর্শনে শারমিন মোরশেদ

‘মা ইলিশকে নিরাপদে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে হবে’

আমরা এই রাষ্ট্র দেখতে চাইনা, যেখানে দলের কাছে নিরাপত্তা নিতে হয়: ড. আতিক মুজাহিদ

আদমদীঘি জামায়াতের বিভিন্ন পুজামন্ডব পরিদর্শন

ক্ষেতলালে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষকের মৃত্যু, চালক আটক

স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে খাগড়াছড়ি-গুইমারা

রাঙামাটিতে পৃথক নৌকাডুবির ঘটনায় দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ-৩

মান্দায় দূর্ঘটনায় আহত যুবককে দিয়ে থানায় মামলা

চৌগাছার বিভিন্ন পুজামন্ডব পরিদর্শন করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি

সিংড়ায় বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আনু'র পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

নবীনগরে ভিমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
