দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে :আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা সহ সরকারের উপদেষ্টারা বারবার বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে। এছাড়া আগামী নির্বাচন স্মরণকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু হবে বলে বারবার ঘোষণা দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে সরকারের তথ্য উপদেষ্টা বলেছেন, প্রশাসনের সকল পদ বিএনপি জামাত ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তাহলে এই ধরনের প্রহসনের প্রশাসন দিয়ে
অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে তা একজন শিশুও বিশ্বাস করে না।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আমি অনেক জায়গায় বৈঠকে যাই, সেখানে রাজনীতিবিদ সহ সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা থাকেন। তারা আমাকে প্রশ্ন করেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কিনা?তখন আমি উত্তরে বলি, আপনাদোর প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর রয়েছে। এই প্রশ্নের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় আপনি নিজে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন। শুধু তারা নয়, দেশের সাধারণ মানুষও সর্বত্র একে অন্যকে প্রশ্ন করেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কিনা? তার মানে দেশের সাধারণ মানুষও বিশ্বাস করে না ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে।
তাছাড়া দেশে মব সন্ত্রাস চলছে। অনেকে এই মব সন্ত্রাসের ভয়ে ভীত। অনেকেই মব সন্ত্রাসের ভয়ে সত্য কথা বলছে না।মব সন্ত্রাসের পাশাপাশি সারাদেশে হত্যাকাণ্ড চলছে। প্রতিদিন পুলিশ অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করছে। জবাই করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে গুলি করে মানুষ হত্যা হচ্ছে। এই ধরনের চরম অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু নিপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলা হাস্যকর।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভায় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরো বলেন, আজকে গায়ের জোরে সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছেন। আমি সকলকে অনুরোধ করব, গায়ের জোরে সংবিধান পরিবর্তনের কথা কল্পনা করবেন না। কারণ আগামী ১০ বছর পর আরেকটা বিপ্লবের মাধ্যমে বলা হবে, যারা সংবিধান পরিবর্তন করেছিলো তারা অপরাধী। তাদের বিচার হবে।
সংবিধান যদি পরিবর্তন করতে হয় তাহলে নির্বাচিত পার্লামেন্ট দরকার। তাছাড়া ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর চাইলেও সংবিধান পরিবর্তন করে দেশ শাসন করা যেত। কিন্তু সেটা করা হয়নি । সাংবিধানিক ভাবে শপথ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তাই এখন আর সংবিধান পরিবর্তনের কথা ভাববেন না।
জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক ফখরুল আহসান শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান আলোক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
রুহুল আমিন হাওলাদার তার বক্তব্য বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীকে পরাজিত করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কোন দল বা গোষ্ঠীর জন্য দেশ স্বাধীন করিনি। দেশ স্বাধীন করেছি দেশের সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য। ওই যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। মা-বোন তাদের সম্ভ্রম বিলিয়ে দিয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কি অপমান করলে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সহ সর্বত্র মানবাধিকারের কথা বলছেন। অথচ দেশে প্রতিদিন নির্মম ভাবে মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। চাঁদাবাজি হচ্ছে। ধর্ষণ হচ্ছে। দখলবাজি হচ্ছে। এসবের দিকে প্রধান উপদেষ্টার নজর নেই। আমরা চাইনা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ব্যর্থ শাসক হোক। কিন্তু ইতিহাস যদি তাকে ব্যর্থ শাসকের কাতারে নিয়ে যায় তা হবে দেশ ও জাতির জন্য দুঃখজনক।
হাওলাদার আরো বলেন,
গেল বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল দেশের সকল পেশার মানুষ। যে পরিবর্তনের জন্য অসংখ্য মানুষ জীবন দিয়েছ । কিন্তু আজ ১৪ মাস পর সে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেশে আজো হয়েছে কিনা সে প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মনে মনে ঘুরছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অসংখ্য পুলিশ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। তাদের হত্যাকান্ড নিয়ে কেউ কিছু বলছে না। যারা গুলি চালাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল তাদের বিচার হওয়া দরকার। কিন্তু যেসব নিরীহ সাধারণ পুলিশ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে তাদের বিচারের কথা কেন কেউ বলছে না।
যুব সংতির প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো- চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, নির্বাহী চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, কো- চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা,সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আকতার,মোঃ আরিফুর রহমান খান,জসিম উদ্দিন ভূইয়া,অধ্যাপক নূরুল ইসলাম মিলন,মোঃ বেলাল হোসেন।
জাতীয় যুব সংহতির যুগ্না আহবায়ক এম এম আল জুবায়ের এর পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন - যুগ্ম আহবায়ক- একেএম মোস্তফা (বরিশাল ),নাজমুল হাসান লিটু, (নারায়ণগঞ্জ), আমির হোসেন রহিম (নোয়াখালী), আবুল কালাম আজাদ (চট্রগ্ৰাম), সাইফুল ইসলাম মোল্লা (খুলনা),
সভায় উপস্থিত ছিলেন -জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য - সরদার শাহজাহান,ভাইস চেয়ারম্যান জামাল রানা,এডভোকেট সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী, আনোয়ার হোসেন তোতা, নাসির উদ্দিন সরকার,মিজানুর রহমান দুলাল, আনোয়ার হাওলাদার, কেন্দ্রীয় সম্পাদক - তাসলিমা আকবর রুনা, মোঃ মিজানুর রহমান,জিয়াউর রহমান বিপুল, ইজ্ঞিনিয়ার লিয়াকত আলী,ফজলে এলাহী মিঞা, আব্দুস সাত্তার, মাসুম, এস এম হাসেম, আলমগীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম শোভন,জাতীয় যুব সংহতির নেতৃবৃন্দের-রওশনমাহানামা, স্বপন হাওলাদার, মিজানুর রহমান দুলাল, প্রীতি বিশ্বাস, আওলাদ হোসেন, মাহবুবুর রহমান কামাল প্রমুখ।
এমএসএম / এমএসএম

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণভোট করার দায়িত্ব কে দিয়েছে

দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে :আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে : দুদু

গণতন্ত্রে ফেরার একমাত্র পথ অবাধ নির্বাচন : মির্জা ফখরুল

কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না

জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

সুষ্ঠু-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন: আমীর খসরু

সামনে মহাপরীক্ষা, কোনো ষড়যন্ত্র যেন সফল না হয়: ফখরুল

দুই আঞ্চলিক শক্তি, এক বিশ্বমোড়ল দেশে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে: সালাহউদ্দিন

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে জাতিসংঘের সহায়তা চায় জামায়াত

অন্তর্বর্তী সরকার যত বেশি দৃঢ় থাকবে, ততই সন্দেহ চলে যাবে : তারেক রহমান

ইনশআল্লাহ দ্রুতই দেশে ফিরে আসব : তারেক রহমান
