ঢাকা সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতাই পারে প্রবীণদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে : পিকেএসএফের ওয়েবিনারে বক্তারা


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৪-১০-২০২১ বিকাল ৫:৩১

আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোনো জনগোষ্ঠীর অন্যান্য অংশের তুলনায় প্রবীণরা অধিক মাত্রায় ডিজিটাল বৈষম্যের শিকার হন। প্রযুক্তি ব্যবহারে তাদের সক্ষমতার অভাব থাকায় তারা প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধাসমূহ পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাতে পারছেন না।

ডিজিটাল সমতা অর্জনে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করে প্রবীণদের প্রযুক্তিবান্ধব করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর ‘প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’-এর আওতায় আজ ০৪ অক্টোবর ২০২১ (সোমবার) আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে এসকল বক্তব্য উঠে আসে।

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর ২০২১ তারিখে ‘ডিজিটাল সমতা, সকল বয়সের প্রাপ্যতা (Digital Equity for All Ages)’ প্রতিপাদ্য-কে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২১’ উদযাপিত হয়।  

পিকেএসএফ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও পিকেএসএফ-এর মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং সঞ্চালনা করেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, এনডিসি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় পিকেএসএফ-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ জসীম উদ্দিন শুরুতে প্রবীণ দিবসের আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রবীণদের কল্যাণে পিকেএসএফ কর্তৃক বাস্তবায়িত কর্মকাণ্ডসমূহের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি ডিজিটাল সেবায় প্রবীণদের অন্তর্ভুক্তি এবং তাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইনি কাঠামো তৈরির বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন।  ড. জসীম ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সদিচ্ছা এবং বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন স্মার্ট কার্ড, বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন ইত্যাদির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, প্রবীণদের প্রযুক্তিভীতি কমিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাঁদেরকে সংযুক্ত করা হলে তাঁরা ডিজিটাল পেমেন্ট, অনলাইন লার্নিং, টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণসহ আরো অনেক ব্যক্তিগত কাজ অন্যের সাহায্য ছাড়াই করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ সমাপনী বক্তৃতায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩-এর যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি এই আইনের ব্যাপারে প্রবীণদের সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তিনি প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়ে আরো আগ্রহী করে তোলার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।    

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ড. নমিতা বলেন, বিশ্ব প্রবীণ দিবস একটি ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান যা সবাই উদযাপন করে না। কিন্তু পিকেএসএফ দিবসটি উদযাপন করে কারণ পিকেএসএফ সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করে।

দারিদ্র্য দূরীকরণে বহুমাত্রিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া পিকেএসএফ-এর প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিটি বর্তমানে ১০১টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ২১২টি ইউনিয়নে চলমান রয়েছে। সরকারের বয়স্কভাতা কার্যক্রমের আওতা বহির্ভূত প্রবীণ ব্যক্তিদেরকে এই কর্মসূচির আওতায় মাসিক ভাতা প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা, জীবন সহায়ক উপকরণসহ নানাবিধ সেবা পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। 

এমএসএম / জামান

বাংলাদেশে আইফোন ১৭ কেনার আগে যা আপনাকে জানতেই হবে

স্ক্রিন মিরর যেভাবে ঝুঁকি তৈরি করছে

গুগল ক্রোম বিক্রি করতে হবে না!

সবচেয়ে বড় ডিসপ্লের স্মার্টফোন!

অ্যাপ ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট করবেন যেভাবে

মঙ্গলের হিমবাহের ৮০ শতাংশই বিশুদ্ধ পানির বরফ: গবেষণা

জিমেইল ব্যবহারকারীদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী বিটচ্যাট, চলবে ইন্টারনেট ছাড়াই

বাইকের ব্যাটারির যত্ন ও চার্জ ধরে রাখবেন যেভাবে

এসিরও হার্ট আছে জানেন কি?

ফ্যাক্ট চেকিংয়ের পরিবর্তে ‘কমিউনিটি নোটস’ আসছে

স্টারলিংকের ইন্টারনেটে স্বাধীনতা নাকি নিয়ন্ত্রণ

প্রতি মাসে জেমিনি ব্যবহারকারী ৩৫ কোটির বেশি