তারেক রহমান দেশে এলে জনশ্রোত ঠেকাতে পারবে না সরকার : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারেক রহমান দেশে এলে যে জনস্রোত হবে তা ঠেকাতে পারবে না সরকার। বিএনপি ও তারেক রহমানের জনসমর্থন আছে কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক হামলার ব্যাপারে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহল এই কাজটি আ’লীগ করেছে বলে জানিয়েছে। তারা বলেছে, এ দায় সরকারকেই নিতে হবে। তিনি বুধবার (৩ নভেম্বর) পৌর শহরের হাজীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা ক্ষমতায় থাকতে এ জাতীয় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঠিক বিচার হয় না। আমরা ধারণা করছি সরকারের মদদেই এ জাতীয় ঘটনাগুলো ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত প্রকৃতদের না বের করে সরকার উল্টো কী করেছে দেখেন, বিরোধীদলীয় লোকজনের ওপর দোষ চাপাতে চৌমুহনীর ঘটনায় বরকতুল্লাহ বুলুসহ প্রায় ১ হাজার ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে। বরকতুল্লাহ বুলু একজন প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ। তিনি জনগণের সাথে থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এ ধরনের মানুষকে এ মামলার সাথে জড়িয়ে জনগনের দৃষ্টি সরকার অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য এ কাজগুলো করছে।

বিএনপি একটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে- আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পুলিশকে তুলে নিক তারা। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিক। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে প্রমাণ হবে যে, বিএনপি গণবিচ্ছিন্ন দল নাকি গণবিচ্ছিন্ন নয়। আ’লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে থাকবে, পুলিশ ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় থাকবে। ভোটের আগের দিন রাতে ভোট চুরির মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকবে, তাহলে কেমনে হয়। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, তাহলে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি-না।

তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের মুখে আজ হাসি নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম আজ আকাশচুম্বী। সবকিছুতেই আজ অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উচিত আয়নায় নিজের চেহারা দেখে তা দেশের সাধারণ জনগণের চেহারার সাথে মিলিয়ে দেখা। তাহলেই তিনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার তিনি তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, তাদের জনগণের ভোট লাগেনা। তারা নিজেরাই সব করতে পারে। খুব শুকৌশলেই তারা ১/১১ থেকেই দেশে বিরাজনীতিকরনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দেশের সাধারণ জনগণ আজ রাজণীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর মাসুল তাদেরকেই দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির কোন আগ্রহ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাটা এখন এই সরকারের হাতে পরে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। সে কারনেই আমরা বিগত নির্বাচনগুলো বর্জন করেছি, নির্বাচন কমিশনকে সার্চ কমিটিতে আমাদের মতামত দিয়েছি কিন্তু এই সরকার কোন কিছু গ্রহন করে নাই। কারন তারা জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপির জয় নিশ্চিত।

মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবু তাহের দুলাল, সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর মেয়র,মির্জা ফয়সাল আমিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান নারগুন ইউপি চেয়ারম্যান পয়গাম আলী, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, দপ্তর সম্পাদক মামুন-অর রশিদ (মামুন), থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু, রাশেদুরজ্জামান রহিম রাসেদ, ছাত্রদলের সভাপতি কায়েশ, সহ বিএনপির অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।