সাতকানিয়ায় সনিদাশ হত্যার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আটকে গেল রহস্যজনক কারণে

কত মামলার অগ্রগতি হয় আর কত মামলার আসামি গ্রেফতারও হয় কিন্তু ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর সাতকানিয়ার নলুয়ার ৩নং ওয়ার্ডের এতিম ছেলে সনি দাশ হত্যাকাণ্ডের আজ দেড় বছর বছর পূর্ণ হলেও এখনো কোনো কূল-কিনারা হয়নি আলোচিত হত্যাকাণ্ডের।
আপন বড় ভাই স্বপন দাশ আর লেদু মিয়ার ছেলে এরফানুল হক মেসি (২৭) এবং একই এলাকার আরেক লেদু মিয়া (রিকসাচালক লেদু মিয়া)-এর ছেলে রুকন উদদীনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সনি দাশকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি আপন ভাই স্বপনদাশ ও তার সাঙ্গপাঙ্গোরা, আঘাতের পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ হিন্দু রীতিতে দাহ করার প্রক্রিয়াও চলছিল। কিন্তু সাতকানিয়ায় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতির সহায়তায় সেদিন পুলিশকে খবর দিলে তৎকালীন সাতকানিয়া থানা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাহ করতে না দিয়ে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠান।
আর সেই পোস্টমর্টেমের বয়স আজ দেড় বছর পূর্ণ হলেও আসেনি কোনো তথ্য এবং হয়নি দৃশ্যত কোনো কার্যক্রম। তবে জনমনে প্রশ্ন এখন- থেমেই কি গেল এতিম সনি দাশ হত্যার তদন্ত কার্যক্রম?
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢেমশা ফাঁড়ির ইনচার্জ জায়েদ নুর তখন বলেছিলেন, তদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি অস্বাভাবিক, সেটার ওপর কার্যক্রম নির্ভর করবে। তবে তিনি এখন নেই। আর সেই সাথে থেমে গেল অগ্রগতি।
এদিকে সাতকানিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেল, এখনো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি। এলে থানায় দায়ের করা অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হবে, যদি হত্যার আলামত পাওয়া যায়।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাশ ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়ার সময় নিহত সনি দাশের মাথায় ব্যান্ডেজ করা ছিল। তবুও থানায় দায়ের হয়েছিল অপমৃত্যু মামলা। অথচ এখনো আসেনি রিপোর্ট। এটা একটা চরম রহস্যের ডেরায় পরিণত হচ্ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মূলত জড়িতরা এখনো অধরা।
উল্লেখ্য, বেধড়ক মারধরের পর মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দিতে চাওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ সাতকানিয়ায়। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর (সোমবার) বিকেল ৫টায় ওই ঘটনাটি ঘটে সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্বা অরুন মজুমদারের বাড়িতে। নিহত ব্যক্তিটি হলো অরুন মজুমদারের বাড়ির মৃত সাধন দাশের ছেলে সনি দাশ।
জানা যায়, মুক্তিযোদ্বা অরুন দাশের বাড়ির সাধন দাশের দুটি পুত্র। বড় পুত্রের নাম স্বপন দাশ আর ছোট ছেলের নাম সনি দাশ। সনি দাশ বিয়ে করেনি আর স্বপন দাশ বিয়ে করে সংসার করে আসছিল। স্বপন দাশ আর স্বপন দাশের স্ত্রীর লোভ যায় অবিবাহিত সনি দাশের সহায়-সম্পত্তির ওপর। সে কারণে সনি দাশকে বিয়ে করায়নি স্বপন দাশ ও তার চতুর স্ত্রী। এ বিষয়ে প্রায় সময় ঝগড়া লেগেই থাকত দুই ভাইয়ের মাঝে। ছোট ভাই সনি দাশ বাড়িতে তেমন থাকত না। তবে গত ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বাড়িতে ফিরে ছোট ভাই সনি দাশ তখন বড় ভাইকে হুমকি দেয় সে বাইরে বিয়ে করে সংসার সাজাবে। তখন বড় ভাই আর স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বড় ভাই স্বপন দাশ এলাকার বখাটে গংদের নিয়েই ১০-১৫ জন মিলে মাদক খেয়ে পাগলামি করছে কথা রটিয়ে তাকে (সনি দাশ) গণপিটুনি দেয়। পরে কেউ ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়নি। ওই পিটুনির আঘাত নিয়ে এর পরদিন সনি দাশ বিকেল ৫টায় মৃত্যুবরণ করে।
তবে সেদিন মুক্তিযোদ্বা অরুন মজুমদার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি লুকোচুরির চেষ্টা করলে ও এক পর্যায়ে মারধরের বিষয়টি শুনেছেন বলে গণমাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন সাতকানিয়া থানা পুলিশ প্রশাসনকে।
শাফিন / জামান

ভূঞাপুরে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন সভা

রাণীশংকৈলে পুলিশের ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

সবুজে ঢেকে যাক কালকিনি: পরিবেশ রক্ষায় আনসার-ভিডিপি’র অঙ্গীকার

অভয়নগরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -১

তানোরে ব্যাক ডেট ও জালিয়াতি নিয়োগের তদন্তে হাজির হননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন

চট্টগ্রামে নেক্সাস ফেস্ট-২০২৫ সম্পন্ন

পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে: জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান

শ্রীপুরে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

অনার্সের খাতা দেখেন কলেজ হোস্টেলের গার্ড !

মানিকগঞ্জে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারী আটক
