প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে ইবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হলটিতে অবস্থানরত ছাত্রীরা। রোববার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হল গেটের সমানে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। হলের এক শিক্ষার্থী সেন্সলেস হওয়ার ঘটনায় প্রভোস্টকে ফোন দিলে তাৎক্ষণাৎ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা বিক্ষোভ করেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের রাজিয়া সুলতানা নামে এক ছাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তার সহপাঠীরা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিলুফা আক্তার বানুর কাছে ফোন দিলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেননি। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করায় আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রভোস্টকে ফোন দেন। এতে বিরক্তি হয়ে প্রভোস্ট বলেন, বারবার ফোন দেয়ার কী আছে? এরপর ছাত্রীরা হাউস টিউটর শিমুল রায়কে ফোন করার পর তিনি অ্যাম্বুলেন্স পাঠান। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি এবং প্রভোস্টের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ওই হলের শতাধিক ছাত্রী বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তারা 'প্রভোস্টের পদত্যাগ, আজই চাই', ‘প্রভোস্টের টালবাহানা চলবেনা, চলবেনা’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনকারী ছাত্রীদের অভিযোগ, হল প্রভোস্ট হলে ঠিকমতো সময় দেন না। ছাত্রীরা কোনো বিষয়ে ফোন করলে ‘খারাপ আচরণ’ করেন। এক ছাত্রী অসুস্থ হয়েছে অথচ হল প্রভোস্টের এমন আচরণে আমরা মর্মাহত। আমরা দায়িত্বশীল কাউকে চাই, যার ওপর আমরা ভরসা করতে পারব।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এসে ছাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করে এবং হলে ফিরে যেতে বলে। তবে প্রভোস্টের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তারা। পরে প্রায় রাত ১টার দিকে প্রো-ভিসির নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসেন। এ সময় তারা ছাত্রীদের দাবিসমূহ পূরণের আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. নিলুফা আক্তার বানু বলেন, অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে এক ছাত্রী আমাকে ফোন দেয়। তখন আমি হলের এ বিষয়ে দায়িত্বরত হাউস টিউটরকে ফোন দিতে বলি। এরপর আরেক ছাত্রী আমাকে ফোন করে আবারো অ্যাম্বুলেন্সের কথা বলে। তখন আমি বলেছি, একই ইস্যুতে তোমরা কতবার ফোন দিবা?
এমএসএম / জামান