যতদিন পর্যন্ত গৃহহীন থাকবে, ততদিন পর্যন্ত প্রকল্প চলবে : ডিসি জলিল
মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী জেলায় আরও ৮৫৪ জন গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে সরকারের পক্ষ থেকে সেমি পাকা বাড়ী প্রদানের সময় রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত জেলায় গৃহহীন থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এসব প্রকল্প চলবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী-মুজিববর্ষ উপলক্ষে রাজশাহীতে নিজের ঠিকানা পেলেন আরও ৮৫৪ জন গৃহহীন পরিবার। আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে তারা সরকারের পক্ষ থেকে পাকাবাড়ি পেলেন।রোববার (২০ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এসব পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল জানান, ১৬ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে রাজশাহীর নয় উপজেলায় ৮৫৪টি পরিবারের উপজেলায় ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।রোববার ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই সারাদেশের মত রাজশাহীতেও ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু হয়।এর আওতায় রাজশাহীর পবা উপজেলায় ৫০টি, গোদাগাড়ীতে ৪০৩টি, তানোরে ১০৫টি, মোহনপুরে ৫০টি, বাগমারায় ৭৭টি, দুর্গাপুরে ১৪টি, পুঠিয়ায় ১১০টি, চারঘাটে ১০টি এবং বাঘায় ৩৫টি পরিবার নিজের জমিসহ ঘর পান। স্বামী-স্ত্রী দুইজনের যৌথ নামে এ বাড়ির দলিল করে দেওয়া হয়েছে।
তাদের নামে স্থায়ী দলিল করে দেয়ার পাশাপাশি নামজারি করে খাজনা দাখিলের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে গৃহহীন পরিবারবে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর উপহার পান। সেমিপাকা এসব বাড়িতে আছে দু’টি রুম, একটি বড় বরান্দা, রান্না ঘর ও টয়লেট। পাশাপাশি সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এছাড়া আত্মনির্ভরশীল করতে ওইসব পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থানের জন্য নানা ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে এসব প্রকল্প কোনো টেন্ডার ছাড়াই বাস্তবায়ন করছে। এসব কাজ উপজেলা কমিটি বাস্তবায়ন করছে। তবে গতবারের চেয়ে এবার কিছুটা খরচ বেড়েছে। এবার প্রতিটি বাড়ি নির্মাণ করতে খরচ পড়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। আগামীতে আরও ঘর দেওয়া হবে। যেসব উপজেলার থেকে যত আবেদন পড়ছে সেই উপজেলায় ওই পারিমাণেই ঘর দেওয়া হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত জেলায় গৃহহীন থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এসব প্রকল্প চলবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এমএসএম / এমএসএম