ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অস্ত্র ছিল না, ছিল জয় বাংলা স্লোগান : দোহারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আল-আমিন, দোহার photo আল-আমিন, দোহার
প্রকাশিত: ৩-৪-২০২২ দুপুর ১:২

ঢাকার দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের পদ্মা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় পদ্মা কলেজের মাঠে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। 

দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাশ্বের আলমের সভাপতিত্বে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উওোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী নানা খেলার আয়োজনে মুখরিত ছিল কলেজ প্রাঙ্গণ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সে সময় তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান আর্মির হৃদকম্পন উঠিয়েছিলাম আমাদের জয়বাংলা স্লোগান দিয়েই। আমাদের কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না, ছিল একটি স্লোগান ‘জয় বাংলা’। জয় বাংলা স্লোগান শুনলেই যারা দালাল তারা ভয়ে পালাতো। আমরা সেই স্লোগানটি জাতীয় স্লোগানে পরিণত করেছি। পার্লামেন্টের এই এলাকার সংসদ সদস্য আমাদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব সালমান এফ রহমান এই স্লোগানকে রাষ্ট্রীয় স্লোগানে পরিণত করেছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই। সালমান এফ রহমান ভাই এই কলেজের জন্য অনেক অনুদান দিয়েছেন। অনেক সহযোগিতা করেছেন। পার্লামেন্টে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারিভাবে জয় বাংলা স্লোগান। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

তিনি আরো বলেন, এই এলাকাকে আলোকিত করার জন্য আমরা পদ্মা সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আজ এই এলাকা আলোকিত হয়েছে। এই সকল দাতা, প্রতিষ্ঠাতা, কলেজের শিক্ষক আর সর্বোপরি আমার সম্মুখে নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীরা সবাইকে শুভেচ্ছা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দোহার এমনই এক এলাকা যেখানে সরকারি কর্মকর্তারা বদলি হতে চাইতেন না। দোহারে তেমন কোনো নাগরিক সুবিধা ছিল না। বিদ্যুৎ ছিল না, কিছুই ছিল না। আজকে আমাদের এই ছোট ছোট সোনামণিদের কাছে এটা স্বপ্নের কথা মনে হবে যে, আমরা কী প্রতিকূল পরিবেশে একটা কলেজ করতে চেয়েছিলাম। অথচ এই দোহারেই জন্মেছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস। এখানেই জন্মেছিলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সাহা।

তিনি বলেন, এই কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল একটা স্বপ্নের উপরে। আমরা সে স্বপ্ন বাস্তাবায়ন করে দোহার ও এর আশেপাশ আলোকিত করেছিলাম। আজ এই জনপদ উন্নত হয়েছে। দোহারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে আমাদের সন্তানরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। তাই নারীদের এগিয়ে যেতে দেখছি। আজ এখানেও ছাত্রীদের সংখ্যা অনেক বেশি।  আজ বীরদর্পে চলছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা।  

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তখনই অশুভ শক্তি, পাকিস্থানী প্রেতাত্মারা তাকে হত্যা করে, উন্নয়ন প্রক্রিয়ার গতি রোধ করতে চেষ্টা করেছিল। আজ ঘরে বসে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমাদের সন্তানরা পড়াশোনা করছে। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে অপব্যবহার সম্পর্কে। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের দেখলেই আমি কথা বলেছি। এই দেশকে তাদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। তখন আমরা মুক্তিযোদ্ধারা নিশ্চিন্তে মৃত্যুবরণ করতে পারব যে, আমাদের নতুন প্রজন্ম আমাদের দেশটাকে সমুন্নত রাখতে পারবে। আমরা এই বিশ্বাস নিয়ে  মরতে পারব,  নতুন প্রজন্মই আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে। একটা অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের জন্য ৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাতবরণ করেছিলেন। সেই রক্তের কে হিন্দু, কে মুসলমান, খ্রিস্টান তা আমরা জানি না। আমরা জানি রক্সে রঞ্জিত বাংলাদেশে আমরা সবাই এক জাতি।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদ্মা কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি ও তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মেজর জেলারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. এ আর খান। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খেলাধুলার পাশাপাশি লেখাপড়ায় মনোযোগ বাড়াতে হবে। পদ্মা কলেজকে ভালো মানুষ গড়ার ও সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণের কারিগর হতে হবে। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মো. মারুফ হোসেন সরদার বিপিএম, পিপিএম পুলিশ সুপার, ঢাকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফসারুজ্জামান খান, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, অন্যতম দাতা, পদ্মা সরকারি কলেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাইদুর রহমান (খোকা), বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম আখন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মোন্নাফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রউফ, মো. আলমগীর হোসেন, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, দোহার, অ্যাড. একেএম আজিজুর রহমান (বাবুল), প্রতিষ্ঠাতা সহ-সাধারণ সম্পাদক, পদ্মা সরকারি কলেজ, অধ্যাপক এমএ হান্নান খান, চেয়ারম্যান, মুকসুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও অন্যতম দাতা, পদ্মা সরকারি কলেজ, এমএ রহিম, অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, পদ্মা সরকারি কলেজ। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ভূমি নিবন্ধন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. খান মো. আব্দুল মান্নান। এছাড়া পদ্মা কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকববৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থি ছিলেন।

এমএসএম / জামান

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিনে কুমিল্লা-৬ আসনের মসজিদগুলোতে দোয়া ও মিলাদ

পবিপ্রবিতে ১৫ বছর ধরে অচল দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ভূ-কম্পন পরিমাপক যন্ত্র

জমে উঠছে কুমিল্লা-৫ আসনে জামায়াতে নির্বাচনী প্রচারনা

মান্দায় বিএনপি নেতা মতিনের পথসভা ও লিফলেট বিতরণে জনতার ঢল

এই বাংলায় কোনো বৈষম্য থাকবে না: ব্যারিস্টার ইউসুফ আলী

বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর লালমন বিরল রোগে আক্রান্ত অর্থাভাবে মিলছে না উন্নত চিকিৎসা

কাউনিয়ায় ওভারব্রিজ পরিদর্শনে উপসচিব ফজলে এলাহী

রায়গঞ্জে ৭ মাসে ১০ মৃত্যু, স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী

বোয়ালমারীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত

ত্রিশালে জেঁকে বসেছে শীত, ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি

৫ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে কুমিল্লা -৬ আসনে জামায়াত নেতা দ্বীন মোহাম্মদ শোভাযাত্রা

আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড দেখাবে এ দেশের ছাত্র জনতা -মিয়া গোলাম পরওয়ার

সন্দ্বীপে ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে স্বস্তি