কর কর্মকর্তা হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ
দুর্নীতি, অনিয়ম ও উৎকোচসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী অঞ্চল-৭-এর কর নির্ধারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে। তিনি (অঞ্চল ৭) কোনাবাড়ীতে কর নির্ধারণ শাখায় যোগ দেয়ার পর ওই অফিসকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, কর কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ কোনাবাড়ী অঞ্চল ৭-এর অফিসে যোগ দেয়ার পর থেকেই একের পর এক দুর্নীতি, অনিয়ম ও বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য করে আসছেন। তিনি ওই অফিসের কর শাখাকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই কর্মকর্তা এর আগে গাজীপুরের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের কারণে একাধিকবার তাকে শোকজ করাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বদলি করা হয়। এর পরেও তিনি দুর্নীতি ও অনিয়ম করেই চলছেন। এ যেন আলাদিনের চেরাগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ৫০-৬০ হাজার টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হলেও ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ১৫-২০ হাজার টাকা ঘুষ দিলেই তা মাপ পাওয়া যায়। একজন সচেতন নাগরিক বলেন, এ ধরনের দুর্নীতিবাজ লোক কর নির্ধারণ কর্মকর্তা হয় কিভাবে? বারবার এ ধরনের দুর্নীতি করার পরও তার চাকরি কিভাবে থাকে? কে তার ক্ষমতার উৎস? তিনি আরো বলেন, এতে সিটি কর্পোরেশন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভেও ভাইরাল হয় তার দুর্নীতি-অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের চিত্র। ওই লাইভে দেখা যায়, জনৈক এক ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা কেন নিয়েছেন- এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় হারুনের কাছে। কিন্তু ওই কর্মকর্তা কোনো উত্তর দিতে পারেননি। লাইভটিতে আরো দেখা যায়, অতিরিক্ত ৯ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। ওই টাকার সিরিয়াল নাম্বারও কম্পিউটারে টাইপ করা ছিল। তখন পকেটে রাখা টাকাগুলো বের করার কথা বললে তিনি বের করেননি। অভিযোগের শেষ কোথায় ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে!
তিনি কোনাবাড়ীর হরিণাচালা এলাকার একটি পোশাক কারখানা থেকে ট্যাক্স কম নেয়ার কথা বলে ২০% কমিশন (উৎকোচ) দাবি করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কারখানার এক কর্মকর্তা বলেন, আপাতত বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তিনি বলেন, আপনি তিন থেকে চার দিন পর অফিসে আসবেন, সরাসরি কথা হবে।
অপর এক ভুক্তভোগী আক্কাছ আলী জানান, আমার বাসার ট্যাক্স ৪৭ হাজার টাকা। ট্যাক্স দিতে এসে রিভিউ কমিটির সভাপতি এবং হারুন ভাই কী যেন বললেন। পরে আমার কাছে ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দাবীবিকরে বসেন। তিনি আরো বলেন, এমনিতেই আমার ব্যবসা-বাণিজ্য নেই, খুব কষ্টে দিন পার করছি। রিভিউ কমিটির সভাপতিই বা করে লাভ কী, যেখানে কানে কানে গোপন কথা চলে আর দুর্নীতি হয়!
তবে কর কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বরাবরই দুধে ধোয়া তুলসী পাতা বলে দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এগুলো সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। রিভিউ কমিটির সভাপতি আছেন, উনি সবকিছু স্বাক্ষর করে আমার কাছে দিলে আমি বিলে স্বাক্ষর করি।
গোপন সূত্রে জানা যায়, রিভিউ কমিটির সভাপতির সঙ্গে যোগসাজশে সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আয় ফাঁকি দিয়ে আসছেন হারুন অর রশিদ।
তবে অঞ্চল-৭-এর রিভিউ কমিটির সভাপতি মো. খোরশেদ আলম রানা বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / জামান
ভারতকে প্রতিহত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াই যথেষ্ট : ফারুক
তাবলিগ জামাতের দুগ্রুপের সংঘর্ষ, ভাঙচুর
নেত্রকোনায় মগড়া নদী সুষ্ঠ প্রবাহ নিশ্চিতে করনীয় বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত
পিরোজপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি হওয়া ২৫ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ফেরত দিলো পুলিশ সুপার
উলিপুরে ছাত্রদের মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জের শিক্ষাঃ বর্তমান ও ভবিষ্যত’-এ নিয়ে শিক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কুয়াকাটায় সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে,নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ বিএনপির
আক্কেলপুরে মহিলা ডিগ্রি কলেজে কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ
নবাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (টাউন হাইস্কুল) থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি ককটেল উদ্ধার
চৌদ্দগ্রামে মুন্সীরহাট ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা
মিরসরাইয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ভর্তি প্রাইভেটকারসহ একজন আটক
নগরকান্দায় নবজাতকের লাশ উদ্ধার
লোহাগড়ায় শরিফুল মোল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, বিএনপির প্রতিবাদ
Link Copied