কর্মস্থলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল

কর্মস্থলে নানান ধরনের মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে মতের অমিল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। এছাড়াও সহকর্মীদের বাঁকা মন্তব্য, কাজের যথার্থ স্বীকৃতি না পাওয়া, কর্মক্ষেত্রে রাজনীতি, বসের কটূক্তি, অকারণ সমালোচনা বা সহকর্মীদের কর্মদক্ষতার অভাবের মতো ছোটবড় ঘটনাও সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে আপনার কর্মক্ষমতায়।
মাঝে মাঝে এসব কারণে নিজের মেজাজ হারিয়ে ঝামেলায় পড়ে যেতে পারেন। তাই এসব ক্ষেত্রে নিজেকে সব সময় শান্ত রাখুন। এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের একজন লেখক, উপস্থাপক, প্রশিক্ষক এবং পরামর্শক ডেভিড ল্যান্সফিল্ড কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলো-
>> যখনই মেজাজ হারানোর মতো পরিস্থিতিতে পড়ছেন, সে সময় নিজের কাজের দিকে মনোযোগ দিন। ঝামেলাপূর্ণ বিষয় বা সহকর্মীকে এড়িয়ে যান।
>> নিজেকে মডিভেট করুন নিজেই। চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ শান্ত হয়ে বসুন। এজন্য চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন এবং আপনার পা যেন থাকে মাটিতে। গভীরভাবে নিশ্বাস নিন। এটি রাগ কমাতে খুবই সাহায্য করে।
>> নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন। অনেক সময় এমন হয় যে আপনি ভুল করেছেন সেটি স্বীকার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়। ইগো সরিয়ে ভুল স্বীকার করে নিন।
>> যার সঙ্গে বারবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন বা যে কাজে এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে সেখান থেকে সরে আসুন কিংবা কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবার কাজ শুরু করুন।
>> কোনো সহকর্মীর সঙ্গে মতের অমিল হলে। তা কখনোই আপনার কাজ কিংবা কথায় প্রকাশ করবেন না। কারো কোনো মন্তব্য অপছন্দ হলে সেটি এড়িয়ে যান। পরিস্থিতি বিশেষে প্রয়োজন হলে অবশ্যই প্রতিবাদ করুন। নিজের কাজে ফোকাস করুন পুরোপুরি। কারণ কর্মক্ষেত্রে কাজই আপনার দক্ষতার পরিচয়।
>> কারণে-অকারণে বস বা সিনিয়র সহকর্মীর রোষের মুখে পড়লে পালটা জবাব দিতে যাবেন না। এটি হবে আপনার সবচেয়ে বড় বোকামি। এতে হবে হিতের বিপরীত। কেউ যদি আপনাকে টার্গেট করে তাহলে এই সুযোগই কাজে লাগাবে। তাই চেষ্টা করবেন শান্ত গলায় জবাব দিতে। সম্ভব হলে পরিস্থিতি বুঝিয়ে বলুন।
>> কারোর কোনো আচরণ পছন্দ না হলে সরাসরি তাকে কখনোই বলবেন না। তর্কে জড়িয়ে নিজেই পদত্যাগপত্র দিয়ে বেরিয়ে এলেন। এটি কখনোই করবেন না। আপনার ভুল না থাকলে তর্কে জড়াবেন না। ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে রাখুন।
>> ডেভিড ল্যান্সফিল্ড কর্মীদের নিয়ে এক গবেষণায় দেখেছিলেন, কর্মস্থলে যারা কম কথা বলেন এবং সবার সঙ্গে কাজের বাইরে ব্যক্তিগত মেলামেশা কম করেন তারা অফিসের রোষানলে কম পড়েন। তাই কর্মস্থলে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলা এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ
প্রীতি / প্রীতি

মিষ্টি পেয়ারা চিনবেন কীভাবে?

খেজুর কতটা উপকারী?

তিরামিসু তৈরির রেসিপি

মোচার বড়া তৈরির রেসিপি

চালতার আচার তৈরির রেসিপি

চুল পড়া বন্ধ করবে এই ৪ খাবার

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ৫টি ঘরোয়া উপায়

ত্বকে বয়সের ছাপ কমাবে যেসব পানীয়

ক্রিম মাশরুম স্যুপ তৈরির রেসিপি

গর্ভাবস্থার শেষের দিকে আয়রনের ঘাটতি পূরণে যা খাবেন

পেটফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য, এই ৫ বীজ খেলে মিলবে উপকার

মেদ কমাতে রাতে পান করুন এই ৫ পানীয়
