কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন
যানবাহন ও জনচলাচল নিয়ন্ত্রণে রংপুর মহানগরীতে তৎপর প্রশাসন
রংপুর মহানগরীতে শুক্রবার সকাল থেকেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে নগরীতে। তবুও গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে চারজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব-পুলিশ-সেনাবাহিনীর বিশেষ টিমের টহল চলছে নগরীজুড়ে। এছাড়াও নগরীর বাইরে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টিম কাজ করছে মানুষকে লকডাউন মানাতে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সকাল থেকেই নগরীতে স্বল্প সংখ্যক রিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেলে অনেক মানুষজনকে দেখা গেছে প্রয়োজনীয় কাজে যেতে। এছাড়াও দোকানপাট শপিংমল আছে বন্ধ। কাচাবাজার ও ফলমুলের দোকানগুলোতে দেখা গেছে কেনাকাটা করতে। ফলের দোকানে অভিযান চালিয়ে সতর্ক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। শুধু মুল নগরীতে নয়, বর্ধিত ওর্য়াডগুলোতেও একইভাবে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের লক্ষে রংপুর জেলা প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে সিটি করপোরেশন, বিজিবি, সেনাবাহিনী, র্যাব-১৩ ও মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদের সবাইকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসনের চারজন ম্যাজিষ্ট্রেট নগরীর বিভিন্ন প্রান্তে আমরা কাজ করছে। সিটি করপোরেশন ছাড়াও রংপুর বিভাগের আট জেলার ৫৮ উপজেলা এবং ইউনিয়নগুলোতেও সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে প্রশাসন কাজ করছে বলে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে সর্বসাধারণের জানানো হয়েছে করোনাভাইরাসজনিত কারনে চলমান বিধিনিষেধের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমসহ সকল কৃষি পণ্য পরিবহন ও কেনা বেচা করা যাবে। কৃষি পণ্যবাহী যানবাহন ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট চাষী ও ব্যবসায়ী বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে । প্রয়োাজনে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের লালবাগ অফিস হতে স্টিকার সরবরাহ করা হবে।
গতকাল (১/০৭/২১ )লকডাউনের প্রথম দিনে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ সারাদিনে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩৮ টি মামলা করে মোট ২২,৬৪৫/- জরিমানা আদায় করেছে।
এমএসএম / এমএসএম