জেলা পরিষদ নির্বাচন: জুড়ীতে কে হাসবেন বিজয়ের শেষ হাসি?
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘীরে ইতিমধ্যে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার প্রচারণা। জেলার ২নং ওয়ার্ড জুড়ী উপজেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সদস্যরা ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কে হাসবেন শেষ হাসি, এ নিয়ে উপজেলায় চলছে চুলছেরা বিশ্লেষণ। সোমবার (১৭ অক্টোবর) শেষ হবে এ ভোটারসহ সাধারণ জনগণের আগ্রহের প্রহর গোনা।
জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন জুড়ী উপজেলার প্রধান আলোচনা হিসাবে হাট-বাজারসহ চায়ের দোকানে চলছে রাতদিন আলোচনা। পিছিয়ে নেই মিডিয়া পাড়াও। জেলা পরিষদ নির্বাচনে এ উপজেলা থেকে সদস্য পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন- উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মো. বদরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম ইমন।
তবে তিন জন প্রার্থীরা মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন দু’জন। তারা হলেন- মো. বদরুল ইসলাম ও মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও এ দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। এ নির্বাচনে মো. বদরুল ইসলাম ২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছিলেন ২৪ ভোট।
১৭ অক্টোবরের নির্বাচনের হিসাব নিকাশের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই প্রার্থী স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নিকট চষে বেড়াচ্ছেন। এদের দু’জনের মধ্যে কে হাসবেন বিজয়ের হাসি এনিয়ে আগ্রহের কমতি নেই উপজেলার জনগণের মধ্যে। নিজেদের অনুকূলে মতামত পাবার জন্য দু’জনই বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অবধি তাঁরা ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচিত হলে কি কি উন্নয়ন করবেন তা তুলে ধরে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন।
জুড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত করা হয়েছে জেলা পরিষদের ২নং ওয়ার্ড। ৬ টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা পরিষদের ৩ জনপ্রতিনিধি মিলিয়ে ৮১ টি ভোট রয়েছে। তবে একজন ইউপি সদস্য মারা যাওয়ায় ভোট দেবেন ৮০ জন ভোটার। আগামী ১৭ অক্টোবর উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গীরাই মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে জেলা পরিষদের এ নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচনকে ঘীরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।
আলাপকালে বেশ কয়েকজন ভোটার জানান, এবারের নির্বাচন বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমরা যাকে সব সময় পাশে পাব, যে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এমন যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেব।
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মো. বদরুল ইসলাম বলেন, গত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে আমি এ উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। জেলা পরিষদ থেকে সবচেয়ে বেশি ২ কোটি ১৬ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা বরাদ্দ এনে জুড়ী উপজেলার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছি। আমার সাথে ভোটারসহ উপজেলার আপামর জনসাধারণের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ভোটারদের রায় আমার পক্ষে আসবে ইনশাআল্লাহ।
অপরদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি দীর্ঘ দিন থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। জুড়ী উপজেলার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এবার জনপ্রতিনিধিরা আমাকেই ভোট দিবেন ইনশাআল্লাহ।
আলাপকালে আরেক সদস্য প্রার্থী আব্দুল হেকিম ইমন জানান, আমি এ বারের ভোটে চমক দেখাব।
নির্বাচনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন সহ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
জামান / জামান
সদরপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ৬ ফার্মেসিকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা
বেড়া'য় বিএডিসি'র ডিলারের বিপক্ষে অতিরিক্ত মুল্যে সার বিক্রয়ের অভিযোগ
মিরসরাই সীমান্তে গাঁজা উদ্ধার করলো বিজিবি
মহেশপুর সীমান্তে দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ১৮ বাংলাদেশী আটক
নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে ‘ওয়াহিদ এন্টারপ্রাইজ’কে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
কুতুবদিয়ায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে নেভী
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দেওয়ায় জয়পুরহাটে জেলা বিএনপির আনন্দ মিছিল
গোদাগাড়ীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
সিংগাইরে ইসলামী ব্যাংক শাখায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
নেত্রকোণায় বাল্যবিবাহ–যৌতুক রোধে সচেতনতামূলক লোকগীতি ও পথনাটক
আনোয়ারায় যৌথবাহিনীর অভিযানে চার লাখ টাকার ইয়াবাসহ যুবক আটক
হাসিনার ফাঁসির রায়ে কোনাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ