ঢাকা সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নেতাকর্মীদের ঢল


শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ photo শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ১৩-১১-২০২২ দুপুর ৪:১২

৮ বছর ৮ মাস পর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ওয়াপদা মাঠে দলের লাখো নেতাকর্মীর ঢল নেমেছিল। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় দলীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। সম্মেলনস্থল ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ড ওয়াপদা  মাঠে দলটির নেতাকর্মীদের ঢল দেখা গেছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রীতিমতো জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যেই সম্মেলনস্থলে ঝিনাইদহ জেলার ছয়টি উপজেলার নেতাকর্মীদের জন্য রাখা ১০ হাজার চেয়ার ভরে যায়। পরবর্তীতে জেলার বিভিন্ন থানা ও ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীরা মুজিব চত্বর থেকে ওয়াপদা হয়ে ডিসি কোর্টের সামনে দিয়ে প্রধান সড়কে মাঠের আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেন। পুরো সম্মেলন স্থল উপস্থিত লাখো নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখিরিত হয়ে ওঠে। সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীদের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেখা গেছে। ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে যায় সম্মেলনস্থল। তৈরি হয় শুভেচ্ছা তোরণ।

সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যানার নিয়ে, মাথায় নৌকা প্রতীক লাগিয়ে, বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট পরে,মিছিলে ব্যান্ড পার্টি বাদ্যের তালে তালে, নৌকার আদলে তৈরি কোটপিন, আবার কোটপিনে বসানো নৌকা,দলীয় পতাকা নেড়ে কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মিছিল সহকারে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হাজির হন দলীয় নেতা-কর্মীরা। মঞ্চের সামনে বসে আছেন নারী কর্মীরা।ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলন ছয় বছর আট মাস পর হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা, শৈলকুপা উপজেলা, মহেশপুর উপজেলা, কালীগঞ্জ উপজেলা, কোটচাঁদপুর উপজেলা ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ইউনিট গঠিত। দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চকে ঘিরে সকাল থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হতে থাকেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এসেছেন জেলা উপজেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও।নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস, ছোট ট্রাক,মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের বাড়তি চাপ পড়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে। এতে পৌরসভার কয়েকটি এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পৌরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ। প্রধান অতিথি হিসেবে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি উপস্থিত ছিলেন,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও দলের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডঃ আমিরুল আলম মিলন এমপি,পারভীন জামান কল্পনা,অ্যাডঃ গ্লোরিয়া সরকার ঝর্না এমপিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু’র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন,ঝিনাইদহ ২-আসনের সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমি এমপি,ঝিনাইদহ ৩-আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডঃ শফিকুল আজম চন্চল এমপি,ঝিনাইদহ ৪-আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার এমপি ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খালেদা খানম এমপি প্রমূখ ।

প্রধান অতিথি দলের সাধারণ সম্পাদক,সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
বলেছেন, আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের এখন থেকে দলকে গোছাতে হবে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী না হলে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত অপশক্তিকে মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।‘শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান আর বিএনপি পিছিয়ে নিয়ে যেতে চায়, এটা মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ আছে অপশক্তিকে রোধ করার। আমরা কোনো শক্তিকে খাটো করে দেখতে চাই না। 

কাদের বলেছেন, ডিসেম্বরে আমাদের হঠিয়ে, শেখ হাসিনাকে হঠাইয়া, খালেদা জিয়াকে নিয়ে খোমেনী স্টাইলে বিপ্লব করবেন ঢাকার রাজপথে, এ রঙ্গিন খোয়াব কর্পূরের মত উবে যাবে।"এবার খেলা হবে,খেলা হবে। খেলা হবে,"ডিসেম্বরে রাজপথ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির দখলে থাকবে, বিএনপির থাকবে না," বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, টাকাপয়সার লোভ দলীয় সভাপতির নেই। বঙ্গবন্ধু পরিবারের নেই। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সততা-সাহস থেকে শিক্ষা নিতে হবে।বিএনপির সাম্প্রতিক সমাবেশ নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, দু-তিনটা সমাবেশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাবটা এমন, ক্ষমতায় এসেই গেছে। এত সোজা নয়। খেলা হবে। রাজপথে খেলা হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছানো ও সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।ঝিনাইদহে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৫মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন।

এমএসএম / জামান

নড়াইলে গণঅধিকার পরিষদ কর্তৃক লায়ন নুর ইসলামকে সংবর্ধনা

চেয়ারম্যান থেকে সাধারণ সম্পাদক জনআস্থার প্রতীক সাইফুল আলম মৃধা

জয়পুরহাটে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ইউডিআরটি প্রশিক্ষণ এর উদ্বোধন

রাণীশংকৈলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে

নড়াইলে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে তুলারামপুর ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধন উদ্বোধন

রাণীনগরে রাইডো ব্রেইন ব্যাটল কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

অভয়নগরে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম, অভিযানে ৭ দালালের কারাদন্ড

শিবচরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

সাতকানিয়া কেরানীহাটের মাছ বাবুল গ্রেফতার

কোটালীপাড়ায় শরীরে আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক

সিংড়ায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দোকান দখলের অভিযোগ