চাকরি প্রার্থীরা হতাশ
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সে সময় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। অবসরজনিত আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এতে বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখন আর ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদেই নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। নিয়োগের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের আগেই অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
নিয়ম অনুযায়ী মোট ভাইভা প্রার্থীর প্রতি তিনজনের একজনের নিয়োগ এবং শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগের দাবিতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্দোলনকারীদের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। অধিদপ্তর থেকে সাড়া না পাওয়াতে আজ মঙ্গলবার আবারও সচিবালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
চাকরিপ্রার্থীরা জানান, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদসংখ্যা বাড়ানো যৌক্তিক। অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্তে কোভিড মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত বেকারদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ এখন পর্যন্ত প্রতি তিনজন মৌখিক প্রার্থী থেকে একজনকে আনুপাতিক হারে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হতো এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অধিকাংশ নিয়োগ প্রার্থীরই বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে বা শেষ হওয়ার পথে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাহলে কেন এই ১০ থেকে ১৫ হাজার অবসরজনিত শূন্যপদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে না। আমরা পদসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে পিইডিপি-৪ এর লক্ষ্যমাত্রার পূর্ণতা এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ সংখ্যক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, অনুমোদনকৃত পদ ৩২ হাজার ৫৭৭টি হলেও করোনার দুই বছরে অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ শূন্য থাকায় আমরা ৫৮ হাজারের মতো চলমান নিয়োগ থেকে নিয়োগ দেব। কিন্তু মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা পদসংখ্যা বৃদ্ধির বিপক্ষে, তাই পদসংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে এসেছে। এটি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বেকারদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, এ যাবৎকালের সাধারণত প্রতিটি নিয়োগে প্রতি তিনজন মৌখিক প্রার্থী থেকে একজনকে আনুপাতিক হারে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হতো এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অধিকাংশ প্রার্থীরই বয়সসীমা শেষ হওয়ার পথে। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলাই আছে, শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাহলে কেন এই ১০-১৫ হাজার অবসরজনিত শূন্য পদে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে না। কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য পূরণে ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০’-এ চলমান নিয়োগে পদসংখ্যা বৃদ্ধি আবশ্যক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগে পদসংখ্যা ৪৫ হাজার করার লক্ষ্যেই লিখিত পরীক্ষাতে দেড় লাখ চাকরিপ্রার্থীকে উত্তীর্ণ করা হয়েছিল। ১:৩ ফরম্যাটে নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। তবে কিছু কর্মকর্তার আপত্তিতে এই শেষ সময় সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সকালের সময়কে বলেন, ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদেই নিয়োগ দেওয়া হবে। সে অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদেই নিয়োগ দেওয়া হবে। পরীক্ষার ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, আমরা আশা করছি নভেম্বর মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ হবে।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী।
এমএসএম / এমএসএম
মহানবী (সা:)কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ডিআইইউ শিক্ষার্থীকে ঘিরে উত্তেজনা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ডাকসুর মার্চ শুরু
ইবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে কর্মসূচী ঘোষণা
মাধ্যমিকের বই বছরের শুরুতে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না
৬ দিনের অচলাবস্থার পর আজ শুরু সরকারি প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা
জাবিতে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন নেতৃত্বে রিয়াদ-তানভীর
ইবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন
নকল সাইটেশনে দেশসেরা গবেষকের তালিকায় শেকৃবি প্রোভিসি অধ্যাপক বেলাল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার: চাকরিচ্যুত মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জাবিতে অর্থনীতি বিভাগকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দর্শন বিভাগ
সায়েন্সল্যাব অবরোধ করেছেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা
জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল