সিংগাইরে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৩
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ককটেল বিস্ফোরণ ও সিএনজি চালিত অটোরিকশায় আগুন দেয়ার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আলীসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আরো ২০-২৫ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) সিএনজির মালিক রুবেল মিয়া বাদী হয়ে বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার পরিপেক্ষিতে পুলিশ এজাহারভূক্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাররা হলো- মামলার এজাহারভূক্ত আসামী পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আজিমপুর মহল্লার মৃত শেখ গরীবুল্লার পুত্র আঃ গফুর (৬০), লক্ষীপুর তালতলা গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিনের পুত্র সালাম(৪৫) ও হিসামুদ্দিনের পুত্র আঃ ছামাদ (৩৬)।
মামলার এজাহারভূক্ত আসামীরা সকলেই বিএনপির নেতাকর্মী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মইনুল ইসলাম খান শান্তর সমর্থক বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারসুত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিংগাইর বাসস্ট্যান্ডের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে মামলার আসামীরা আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশ অচল করার লক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিল। এ সময় সিএনজি গাড়িটি দেখা মাত্র ককটেল নিক্ষেপ করে তারা। এতে গাড়িটি পুড়ে ২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে বাদী করে তার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে বিএনপি এ মামলাটিকে হয়রানিমূলক মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র অ্যাড.খোরশেদ আলম ভূঁইয়া জয় বলেন, গায়েবী ও পরিকল্পিত মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্তে মুক্তিদাবী করি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ কামরুল ইসলাম বলেন,ঘটনাস্থল থেকে পোড়া গাড়ি ও ককটেলের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আদিত্য বলেন,বিএনপি সারাদেশ অচল করার লক্ষে শক্তি প্রদর্শন ও তাদের পেশীশক্তি প্রকাশ করার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রীতি / প্রীতি