সাটুরিয়ায় প্রেমিকার বাবার বেধরক পিটুনিতে প্রেমিকের মৃত্যুর অভিযোগ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায় প্রেমিকার বাবার বেধরক পিটুনিতে আহত সোহাগ আহমেদ (১৭) মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় ওই যুবক। নিহত সোহাগ আহমেদ উপজেলার নতুন ভোঁয়া এলাকার আখের আলীর ছেলে। তিনি তাঁত শ্রমিকের কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহাগ আহমেদের সঙ্গে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হাবুর নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের চেয়ে ছেলের পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় মেয়ের বাবা ও ভাই বিষয়টি মেনে নেননি। এরই মধ্যে গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে প্রেমিকার বাবা ওই যুবককে বাড়িতে গিয়ে বেধরক মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
গত শনিবার হঠাৎ সোহাগ বেশি অসুস্থ হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে সোহাগ মারা যান।
বিষয়টি জানাজানি হলে সোহাগের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোহাগের মামা ইয়াকুব আলী বলেন, আমার ভাগিনাকে বাড়িতে গিয়ে তারা মারধর করে হত্যা করেছে। মারপিটের কারণে সোহাগ অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। আমি এর সুষ্টু বিচার দাবী করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন শামীম বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান হাবুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
সাটুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়ের বাবাকে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রীতি / প্রীতি