শ্রীমঙ্গলে সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি চলছে সিলিকা বালু উত্তোলন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ‘ ড্রেজার মেশিন’ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিনব ‘কৌশলে ফসলি জমি,বসত ভিটের আশপাশের ক্ষেতের জমির ও বাড়ীর পুকুর খননের নামে মূল্যবান সিলিকা বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র। তারা দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে এসব এলাকার ফসলি জমির আকৃতির শ্রেণী পরিবর্তন ঘটে ভূমি ধ্বসের আশঙ্কাসহ ভূমিকম্পনের হুমকিতে রয়েছে দুইটি ইউনিয়নের ৮/ ১০টি গ্রামের কয়েকশত পরিবার ও এলাকাবাসী। বোমা মেশিনে রাতভর শত শত টন বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ বিশেষজ্ঞগণ ওই এলাকার কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ভ’কম্পনের মাধ্যমে ভূমিধ্বস ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
কয়েক বছরধরে ওই চক্রটি বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে অনেকটা নির্বিঘ্নে বোমা মেশিন দিয়ে কোটি কোটি টাকা দামের সিলিকা বালু প্রকাশ্যে ট্রাক,কভার্ডভ্যান গাড়ীতে বিক্রি করে সরকারের মোটা অংকের রাজস্ব ফাঁকি দেয়াসহ গ্রামীন রাস্তাঘাট ও ব্রীজ কালভার্ট ও এলাকার ফসলি জমির ভূপ্রকৃতির অবস্থান বিনষ্ট করেছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর,মির্জাপুর এই দুইটি ইউনিয়নের ।
অন্যদিকে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে তোলা হাজার হাজার ঘনফুট এসব সিলিকা বালু ভুনবীর ও স্টেশন চৌমুহনায় ডিপো করে ড্রামট্রাক দিয়ে বড় বড় ট্রাক কভার্ডভ্যান ভর্তি করে প্রতিঘন ফুট ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে ট্রাক যোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দিনে রাতে শত শত ট্রাকে সিলিকাবালু বিক্রি করে একেকজন বালু ব্যবসায়ি অল্পদিনে রাতারাতি গাড়ী বাড়ীর মালিক হয়ে কোটিপতি সেজে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন ।
অথচ এদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কোনও অভিযান পরিচালনা করছে না। মাঝে মধ্যে জাতীয় পএিকায় নিউজ হলে বা এলাকাবাসী জানালে প্রশাসন কিছুটা অভিযান করেন।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষজন চলাফেরায় চরম ভোগান্তিতে পড়লেও হয়রানীর ভয়ে কেউ তাদেও বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
অবৈধ এ বালু ব্যবসাটি এলাকায় এমন পরিস্থিতি ধারণ করেছে এ অবৈধ ব্যবসায় বেশী লাভজনক হওয়াতে গ্রামের ভেতর দিয়ে ছোট ছোট ছড়া ও গ্রামের পুকুর থেকে বোমা মেশিন বসিয়ে বালু তোলার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগীতা চলছে। কার স্থান কে দখলে নিয়ে বালু সংগ্রহ করে বিক্রি করবে এমন অবস্থা।
অথচ উপজেলাজুড়ে পাহাড়ি ছোট বড় ছড়া ও ফসলি জমি থেকে বোমামেশিন দিয়ে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের তীব্র প্রতিযোগীতা।
২০০৯ সাল থেকে উচ্চ আদালত ‘বোমা মেশিন’ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলার দইটি ইউনিয়নের প্রায় ২০/২৫কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাইপ বসিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার পাম্প ব্যবহার করে মাটির ১০০ থেকে ২০০ ফুট তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছে ওই প্রভাবশালী চক্রটি।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে দিনের বেলায় ‘বোমা মেশিন’ দিয়ে বালু উত্তোলন করা হতো। কিন্তু এখন কৌশল পাল্টিয়েছে বোমা মেশিন-এর প্রভাবশালী চক্র। তাঁরা এখন ‘রাতদিন বালু উওোলন করে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়,ভূনবীর ইউনিয়নের জৈতাছড়া পাশে লিটন মিয়া ,সাদ্দাম,ময়না,, মুছাব্বির,১০টি মেশিন লাগিয়ে বালু তুলে বিশাল আকারের বালির স্তুপ করে রাখা। আশপাশের লোকজন অভিযোগ করেছেন বাড়ির পাশ^বর্তী কৃষি জমিতে প্রতিদিন রাতে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে সেখান থেকে রাতের বেলায় বড় বড় ট্রাকযোগে ঢাকায় বালু পাচার করা হচ্ছে।
একই ইউনিয়নের ভুনবীর ইলামপাড়া এলাকায়,শামসু ৪ টি মেশিন লাগিয়ে এলাকার ফসলি জমি থেকে দিনেরবেলা মেশিন বসিয়ে কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে । একই এলাকার সাদ্দাম মিয়া ও আসলাম মিয়া চারটি মেশিন লাগিয়ে লাখ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বিশাল আকারে বালুর স্তুপ করেছেন ভুনবীর বাজারের পশ্চিমপাশে সুফিয়ান ও কবির মোল্লা , ৪ টি মেশিন লাগিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উওোলন করে যাচ্ছে ।
ভূনবীরের বাজারের পশ্চিমে গাংগের পাড়ের জমি থেকে কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে সেখান থেকে গত ৫/৬ মাস দরে রাত দিন ট্রাকযোগে বালু পাচার অব্যাহত রেখেছে।এলাকার রাস্তাাঘাটও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এভাবে উপজেলার ভুনবীর, মির্জাপুর, কম পক্ষে ২০/২৫টি স্থানে মেশিন দিয়ে এবং নিলামডাকবিহীন সরকারি ছড়া থেকে অবৈধ ভাবে লাখ লাখ ঘনফুট বালু তুলে রাতা রাতি কোটি পতি হচ্ছে ।কথা হয় ভুনবীর এক লোকের সাথে শামসুল হক । তিনি জানালেন,দিনের চেয়ে রাতে বেশি করে বালু উওোলনকরা হয় রাতে চলে বেশির ভাগ মেশিন।। প্রতিদিন একেকটি মেশিনে বিশ গাড়ী বালু তুলে। আর সেটা বিক্রি হয় প্রায় ১৮শত থেকে ২হাজার টাকায়।
অভিযানের খবর পেলে ওই মেশিন পানিতে ফেলে রাখা হয়। আরেকটি লতাপাতা দিয়ে ঢেকে মেশিন লুকিয়ে রাখার কৌশল।স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ,অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতি ও কৃষি জমি ধ্বংস হচ্ছে। এসব বিষয়ে বার বার অভিযোগ করা হলেও যথাসময়ে প্রশাসন থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে দু একটি অভিযান হলেও বালু জব্দকৃত করা হয়না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে,বোমা মেশিন ব্যবহার ও অবৈধ ছড়াগুলো থেকে বালু উত্তোলনের জন্য এই বালু সিন্ডিকেট চক্রটি এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানাযায় বিভিন্ন মহলের নামে নিজেরা মোটা অংকের টাকা সংগ্রহ করে প্রতিমাসে ১২থেকে ১৫লক্ষ টাকা আদায় করে নিরাপদে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বন্টন করছে।
এলাকায় তো হাজার হাজার টন বালু তোলা হচ্ছে, ফলে অবশ্যই সেখানে ভুমিধ্বস হবে এবং ভূমিকম্পনের সম্ভাবনা অনেক বেশী। একসময় ঐ এলাকার মাটি দেবে যাবে। ভূমিধ্বস হওয়ার মাত্রাটা শতকরা ৫০ ভাগের উপরে রয়েছে’।মৌলভীবাজারের জেলাপ্রশাসন মীর নাহিদ হাসান জানান,অবৈধ ভাবে বালু উওোলন করার কোনো সুযোগ নেই কেউ যদি বালু উওোলন করে তাহলে এদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিবো আর নিচ্ছি । বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মেদ এমরান হোসেন জানান,এটা জেলাপ্রশাসন উপজেলাপ্রশাসন দেখার কথা তারপর ও আমরা এবেপারে ব্যবস্থা নিবো।
এমন অবস্থায় অবৈধ বালু উওোলনে জড়িতদের গুটির জোড় কোথায় তা খোজে বের করে ব্যবস্থা নিতে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে দাবি স্থানীয়দের।
এমএসএম / এমএসএম
দক্ষিণ মতলবে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল
মধুখালীতে ব্যবসায়ীর উপর হামলার প্রতিবাদে তারা মেম্বারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
নোয়াখালীতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়লো ৯ দোকান
শালিখায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত
আত্রাইয়ে মানববন্ধন ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে জয়পুরহাটে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত
পাবিপ্রবিতে ৫৮ জন গবেষককে নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
দর্শনার বিভিন্ন মহল্লায় দাড়িপাল্লার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা
দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে গণসংযোগকালে বাবু খান
শ্রীমঙ্গলে নতুন ওসির যোগদান
শীতের শুরুতেই বারহাট্টায় চিতই-ভাঁপায় মজেছে পিঠাপ্রেমীরা
পীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দূর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত
ভূরুঙ্গামারীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত
Link Copied