পঞ্চগড়ের করতোয়ায় ভ্যাকু দিয়ে বালি উত্তোলন
হুমকির মুখে নদীর বাঁধ, মুরগির খামার-বসতবাড়ি
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা ও করতোয়া নদীর পাড় ভ্যাকু, ট্রাক্টর মাধ্যমে অবাধে কাটছে দিনরাতিতে এক শ্রেনীর অসাধু বালু ব্যবসায়ী। দেখে মনে হবে যেন মাটি কাটার উৎসব চলছে নদীতে। এতে হুমকিতে মুরগীর খামার, ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি ও সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ের বাঁধ।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার নলকুড়া এলাকার একটি বালু খেকো সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে করতোয়া নদীর বাঁধ ঘেষে ভ্যাকু মেশিন দিয়ে রাতের আধাঁরে বালু কেটে বিক্রি করছে। অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পরেছে কাজী ফার্মস গ্রুপের শত কোটি টাকার মুরগীর খামারসহ আশেপাশের বসতবাড়িও আবাদী জমি।
তালমা ডিয়াবাড়ি এলাকায় তালমা নদীর পাড় কেটে ট্রাক্টরে নেয়া হচ্ছে। একই চিত্র পার্শ্ববর্তী কাঁটাবাড়ি ফরেস্ট এলাকায়। সেখানে ও ভ্যাকু দিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের ফলে ভাংগনের মুখে বন বিভাগের কয়েক শত একর জমি।
তবে তালমা ডিয়াবাড়ি এলাকায় পাড় কাটা ট্রাক্টরের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাদের পরিবহন মালিক আলিম একই এলাকার নুরু এমপি নামের এক ব্যক্তির কাছে ক্রয় করে নিয়েছেন।
স্থানীয় সিদ্দিক, করিমুল এবং আলতাব জানান, এভাবে নদীর পাড়ের মাটি কেটে নিলে বর্ষার মৌসুমে পানি ঢুকে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হবে। এতে ঘরবাড়ী, ফসলি জমি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। নদীর পাড় কাটার এ উৎসব বন্ধের জোর দাবী জানান তারা।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদুল হক মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে পাহারা বসানো হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি।
সুজন / সুজন