রংপুর বিভাগে মৃত্যু আরো ১৫, শনাক্ত ৮২১
রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা সংক্রমিত আরো ৮২১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। চলতি মাসের ১৮ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারালেন ২১৫ জন। গতকালের (শনিবার) তুলনায় বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে। রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুর জেলার পাঁচজন, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, নীলফামারীর দুজন, গাইবান্ধার দুজন, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের একজন করে রয়েছেন।
একই সময়ে বিভাগে ২ হাজার ৭৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের ২৪৬ জন, গাইবান্ধার ১৬৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৯৬ জন, পঞ্চগড়ের ৮৬ জন, দিনাজপুরের ৬৮ জন, কুড়িগ্রামের ৬৬ জন, নীলফামারীর ৫৭ জন ও লালমনিরহাটের ৩৮ জন রয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ১৫ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪০ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২৩৯ জন, রংপুরের ১৫২, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৩৭, নীলফামারীর ৫৩, লালমনিরহাটের ৪৬, পঞ্চগড়ের ৩৮, কুড়িগ্রামের ৩ ও গাইবান্ধার ৩৭ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৯৯ জন।
এছাড়াও নতুন শনাক্ত ৮২১ জনসহ বিভাগে ৩৬ হাজার ৯২৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুুর জেলায় ১১ হাজার ২১২ জন, রংপুরের ৮ হাজার ৯১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৫ হাজার ১৩৬ জন, গাইবান্ধার ৩ হাজার ১২৩ জন, নীলফামারীর ২ হাজার ৭৯৩ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ৬৫০ জন, লালমনিরহাটের ১ হাজার ৯৭১ জন এবং পঞ্চগড়ের ১ হাজার ৯৫৩ জন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই।
এমএসএম / জামান