বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৬৭
একের পর এক ফিল্ডিং মিস, এক রানের জায়গায় দুই রান। ফিল্ডাররা করেছেন ক্যাচ ড্রপও। ফলে জিম্বাবুয়েকে এবার আর অল্প সংগ্রহের মধ্যে রাখা যায়নি। চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শুক্রবার (২৩ জুলাই) টসে জিতে মাধেভেরের ৭৩ ও বার্লের ঝড়ো ৩৪ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা।
তাসকিন আহমেদ বোলিংয়ের সূচনা করেন। ডানহাতি এই পেসারের ওভারের প্রথম বলে ৩ আসলেও পরের পাঁচ বলে মাত্র ১ রান নিতে পারেন জিম্বাবুইয়ান দুই ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি আর ওয়েসলে মাদভেরে। দ্বিতীয় ওভারে মাহেদি হাসানকে আক্রমণে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবার তার ওপর চড়াও হন মাদভেরে। প্রথম দুই বলে ছক্কা আর চার হাঁকিয়ে বসেন। তবে এমন মার খেয়েও ঘাবড়ে যাননি মাহেদি।
টাইগার অফস্পিনার ওভারের পঞ্চম বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মারুমানিকে (৩)। প্রথম দুই বলে ১০ তুলে ফেলা ওই ওভারে সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ে নিতে পারে ১১ রান।
এরপর বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন রেগিস চাকাভা আর মেদভেরে। তবে ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে নিয়েই দারুণ ফর্মে থাকা চাকাভাকে ফেরান সাকিব আল হাসান। টাইগার অলরাউন্ডারকে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিং হয়নি, মিডঅফে শরিফুলের সহজ ক্যাচ হন চাকাভা (৯ বলে ১৪)। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৪৮।
তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক জুটি গড়ে তোলেন মাদভেরে আর ডিয়ন মায়ার্স। তবে টাইগার বোলারদের খুব আক্রমণ করে খেলতে পারেননি তারা। ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁতে মাদভেরে খেলেন ৪৫ বল। শেষ পর্যন্ত ১৪তম ওভারে এসে এই জুটিটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। তার বাউন্সি ডেলিভারি তুলে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে মাহেদি হাসানের সহজ ক্যাচ হন মায়ার্স (২১ বলে ২৬)।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৪)। সাকিবের করা ১৬তম ওভারে দ্রুত এক রান নিতে গিয়ে তিনি রানআউট হয়েছেন সৌম্যের দুর্দান্ত সরাসরি থ্রোতে। তবে ৪৫ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর অনেকটাই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মাদভেরে। চার-ছক্কায় নিজের ইনিংসটা এগিয়ে নিচ্ছিলেন, এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকেও।
ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যানকে শরিফুল ফিরিয়েছেন ১৮তম ওভারে এসে। বাঁহাতি এই পেসারের ওপর আগ্রাসী হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে আফিফ হোসেনের সহজ ক্যাচ হন মাদভেরে। ৫৭ বলে গড়া তার ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার।
শেষদিকে রায়ান বার্লের ১৯ বলে ৩৪ রানের ঝড়ে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন জিম্বাবুয়েকে। ৬ উইকেটে ১৬৬ রানের পুঁজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একেবারে কম নয়।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ৩৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান আর মাহেদি হাসান। অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী ১ ওভারে মাত্র ৭ রান দিলেও পরে আর বোলিংয়ের সুযোগ পাননি।
জামান / জামান
ক্রীড়া সাংবাদিকদের নতুন অফিস উদ্বোধন করলেন তাবিথ-বুলবুল
‘চোকার্স’ তকমা কি এবার দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদেরও?
অবশেষে যেভাবে বিসিবি পরিচালক হচ্ছেন রুবাবা দৌলা
ক্রিকেটারদের হোটেলে রেখে উধাও টুর্নামেন্ট আয়োজকরা, সবার পারিশ্রমিক বকেয়া
টানা তিন হারের পরও যেভাবে শিরোপা জয়, যা বললেন ভারতীয় অধিনায়ক
ইয়ামাল-নিকোলের প্রেম তাহলে ভেঙেই গেল, নেপথ্যে কী?
কার মাথায় উঠবে শ্রেষ্ঠত্বের ‘প্রথম’ মুকুট
টেস্টে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন শান্ত, নিশ্চিত করল বিসিবি
বেটিংয়ে জড়ানোয় ১৪৯ রেফারি বরখাস্ত
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে যেমন হবে একাদশ, বাদ জাকের!
দুই ফরম্যাটের সিরিজ খেলতে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ
ভিনিসিয়ুসের সঙ্গে নতুন চুক্তির পরিকল্পনা রিয়ালের!