ঢাকা সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫

যশোরে হারানোর ভয়ে লোহার শিকলে বাঁধা মানিক


এম এ পাভেল,  যশোর photo এম এ পাভেল, যশোর
প্রকাশিত: ১-৪-২০২৩ রাত ১০:১০
আমি নিজেই বিরাট অসুস্হ। গাদা রোগে ভরা আমার গা।আমি চলতি পারি নে।মনিগের আব্বা পরের ক্ষ্যাতে কামলা দিয়ে যা পাই তাই দিয়ে কোন মতে খায়ে বাঁচে আছি।আমাগের কোন ব্যাবস্হা নেই কি দিয়ে আমার মনি মানিকরে ডাক্তার দেহায়?  শনিবার ১লা এপ্রিল  কান্না জড়িত কন্ঠে  শাড়ীর আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে  এভাবেই পরিবারের দুঃখের কথা বলছিলেন যশোর সদর উপজেলার ইছালি ইউনিয়নে ৪ নং ওয়ার্ডের জগমহোনপুর গুচ্ছগ্রামের মানুষিক  প্রতিবন্ধী মানিক হোসেনের মা খাদিজা খাতুন।অসুস্থ খাদিজা খাতুন ও শরিফুল ইসলাম দম্পত্তির ২৩ বছর সংসার জীবনে ৩ সন্তানের মধ্যে মানিক হোসেন মেঝো।
 
মানিকের বয়স যখন ৩ বছর খাদিজা খাতুনের দাবি তখন থেকে মানিকের আচ্ছারা ভাব দেখা দেয়। নুন আনতে পানতা ফুরায় পরিবারে তখন কোন রকম ঝাড়ফুক দিয়ে শিশু মানিক কে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানিকের চলাফেরা, কথাবার্তায় ও খাওয়াদাওয়ায় অসংগতি দেখা দেয়।তিন চার জনের খাবার একাই খেয়ে নেয় মানিক।প্রথমে তাকে পরিবার ও প্রতিবেশী রা চোখে চোখে রাখলেও পরবর্তীতে সুযোগ পেলেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত।
 
হারানোর ভয়ে  পরিবারের লোকজন প্রথম দিকে দড়ি দিয়ে  বেঁধে রাখতো কিন্তু   ২০১৭ সালে দড়ি কেটে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।এরপর এলাকা বাসির সহোযোগিতায় যশোর জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং ও পোষ্টার লাগিয়েও কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না।১৮ দিন পর জানা যায় নড়াইলের কোন এক গ্রামে মানিকের মতো একজনকে ঘুরতে দেখাগেছে। এরপর এলাকাবাসী সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে এনে হারানোর ভয়ে লোহার শিকলের সাথে তালা লাগিয়ে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে।
 
মানিকের বাবা -মা দাবি করেন আমাদের মানিক সম্পূর্ণ  পাগল না।মাঝে মাঝে ওর মাথায় বেশি সমস্যা হয়।যখন ভালো থাকে তখন শিকল বাধা অবস্থায় কাঠ কাটা সহ বাড়ির অনেক কাজে সাহায্য করে। সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে তাদের আবেদন, যদি কোন স্বহৃদয় ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান মানিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতো তাহলে তাদের সন্তান অন্য দশটা স্বাভাবিক ছেলেদের মতো জীবন যাপন করতে পারতো।
 
এ বিষয়ে গুচ্ছ গ্রাম জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ নাজমুল হোসেন বলেন, মানিক সম্পর্কে আমার ভাইপো হয়, সে কয়েকবার বাড়ি থেকে পালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছে অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে আমার মনে হয় সে সম্পূর্ণভাবে মানুষিক প্রতিবন্ধী না। মানিক  অনেক কিছুই বোঝে তবে, তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিতে পারলে সে স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন যাপন করতে পারতো।
 
কিন্তু তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটায় মন্দ যে, কোনরকম একবেলা রান্না করে  খাওয়ার পর অন্যবেলা খায়ওয়ার কিছুই থাকেনা।তিনি দাবি করেন, কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান একটু সাহায্যর হাত বাড়ালেই মানিক ফিরে পেতে পারে সুস্থ জীবন। 
 
এ বিষয়ে দৈনিক সকালের সময় কে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আশিকুজ্জামান তুহিন বলেন, আমরা গুচ্ছ গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন কে সুবর্ণ নাগরিক কার্ড করে দিয়েছি এবং আমাদের পক্ষে আরো যতটুকু যা করা সম্ভব তা অবশ্যই মানিকের জন্য করবো পাশাপাশি তিনি আশা করেন, সমাজের বিত্তবান মানুষের সাহায্য পেলে পরিবারটি মানিকের সুচিকিৎসা করালে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এমএসএম / এমএসএম

চুপ্পু থেকে যদি জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নিতে হয় এরচেয়ে ভালো পানিতে ডুবে মরা: হাসনাত আব্দুল্লাহ

‎সিইউএফএল সার কারখানায় উৎপাদন শুরুর ১২ ঘন্টা পর ফের বন্ধ

চুয়াডাঙ্গায় অনেক বাড়ি বিক্রি হয়েছে কেউ দিয়েছেন ভাড়ায়

জুড়ীতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

ধোপাছড়িতে ইউএনও'র প্রচেষ্টায় মেরামত হচ্ছে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি

কুতুবদিয়ায় বনভূমি বিলীন ও বেদখলে, লবণ মাঠে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

মান্দায় ভূয়া প্রকল্পের নামে অর্থ হরিলুটের অভিযোগ

পাবনায় প্রিপেইড মিটার সরবরাহ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত

বাউফলে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকী; থানায় অভিযোগ

তুলশীখালী ও মরিচা সেতুর ইজারা বন্ধে ডিসিকে চিঠি দিয়েছে নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটি

বড়লেখায় র‍্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার পলাতক আসামী সুনাম গ্রেফতার

জামালপুরে বিদায়ী ওসি আবু ফয়সল মোঃ আতিককে সংবর্ধনা

ভূমিদস্যু গুলজারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ