ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

মাগুরায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সন্মাননা পেলেন ৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান


সাইফুল ইসলাম, শালিখা photo সাইফুল ইসলাম, শালিখা
প্রকাশিত: ১০-৪-২০২৩ দুপুর ১:২৯

''ভালো কাজের নাগরিক অনুশীলন, স্বীকৃতি দিবে মাগুরা জেলা প্রশাসন''-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নাগরিকদের ভালো কাজকে উৎসাহিত করতে মাগুরা জেলা প্রশাসক আবু নাসের বেগ এক অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। এই উদ্যোগের মুল উদ্দেশ্য হলো মাগুরার কোন অধীবাসী বা কোন প্রতিষ্ঠান যদি মাগুরার কোন ভাল কাজ করে তাহলে তাকে বা ওই প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি স্বরুপ সম্মাননা দেওয়া হবে। এ মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে ভাল কাজে সকলকে উদ্বুদ্ধ করার অংশ হিসাবে ৯এপ্রিল (রবিবার) ২০২৩ তারিখে ৪ জন ব্যক্তিকে তাদের ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা প্রদান করেন,মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। সন্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী,একজন বিক্রেতা হিসেবে অতি মুনাফা না করে ন্যায্যমূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করে মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বহুল প্রচারিত হয়। তিনি বলেন যে,তার পূর্বপুরুষরাও একইভাবে মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করতেন। তিনি আরও বলেন যে, এটি তার পারিবারিক শিক্ষা এবং আমৃত্যু তিনি এটি করে যেতে চান। তার এই মানবিকতার জন্য জেলা প্রশাসন, মাগুরার পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়াও মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল হালিম, তিনি ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৭ ইং সালে মোট তিনবার গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন। মাথায় ফুটবল নিয়ে সাইকেল চালিয়ে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে এই রেকর্ডের মালিক হয়েছেন তিনি (Greatest distance travelled on a bicycle balancing a football on the head)। তার এই অর্জনের জন্য জেলা প্রশাসন, মাগুরার পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। আব্দুল হালিম ভবিষ্যতে আরও ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়তে চান বলে জানান। অন্যদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য ইয়াসমিন আক্তার, প্রধান শিক্ষক, আড়পাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শালিখা, মাগুরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য ২০১৬ সালে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। ব্যতিক্রমী ধারণা কাজে লাগিয়ে স্কুলকে সময়োপযোগী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র রূপে গড়ে তোলার জন্য তিনি নিম্নোক্ত উদ্যোগগুলো নিয়েছেন: ক) সততা স্টোর- বিক্রেতাবিহীন এই দোকান থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের পছন্দমতো পণ্য ক্রয় ও দাম পরিশোধ করতে পারে। খ) মহানুভবতার দেয়াল-এই দেয়ালে শিক্ষার্থীরা তার কাজে লাগে না এমন অতিরিক্ত ব্যবহার্য জিনিস রেখে যায় যেমন: স্কুল ড্রেস, জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি। পরে এই জিনিসপত্রের মধ্যে কারও কিছু প্রয়োজন হলে সে কাউকে না বলেই নিয়ে যেতে পারে। এতে করে যে শিশু একটু অভাবি সে উপকৃত হয় এবং যে সেখানে জিনিসটি রাখে সেও মনে করে তার জন্য অন্যরা উপকৃত হয়। গ) ডিজিটাল হাজিরা-শিক্ষার্থীরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করে। এতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। ঘ) ডিজিটাল সার্ভিস পয়েন্ট- যেখানে শিশুরা নিজেরাই কম্পিউটার ব্যবহার করে। ঙ) আলোকিত আচরণ সংগ্রহশালা-যেসব শিক্ষার্থী ভালো কাজ করে তাদের সেই ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের ছবি ও ভালো কাজের বর্ণনা লিখে দেয়ালে টাঙিয়ে দেয়া হয় যাতে অন্যরাও সেই ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ হয়। চ) এই দিনে-এটি হলো আজকে বিখ্যাত কেউ জন্মগ্রহণ করেছিল কিনা, অথবা আজকে বিশ্বে অথবা দেশে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটেছিল কিনা, তা একটি বোর্ডে লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিষয়কেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। ছ) আজকের দিনের শ্রেষ্ঠ শিশু-আজকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটা শিশুরা বাড়িতে পড়ে এবং পরের দিন অ্যাসেম্বলিতে শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। যে সবচেয়ে ভালো করে সেটা বলতে পারে তাকে ঐদিনের জন্য ‘শ্রেষ্ঠ শিশু’ ঘোষণা করা হয় এবং একটি মেডেল পরিয়ে দেয়া হয়। জ) দেশপ্রেমের আয়না-স্কুলে একটি বক্স রাখা থাকে সেখানে- দেশপ্রেম কী, দেশ তাকে কী দিয়েছে, দেশকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়, এসব বিষয়ে একটি চিরকুট লিখে শিক্ষার্থীরা ওই বক্সে রাখে। তিন মাস পর ঐ চিরকুট দেখে যাচাই-বাছাই করে যেটা সবচেয়ে সুন্দর হয় তার নাম ঘোষণা করা হয় এবং ঐ শিশুকে তিন মাসের জন্য সেরা শিশু ঘোষণা করা হয়। ঝ) অভিভাবকদের আনন্দ পাঠাগার-স্কুলে একটি কক্ষ আছে যেখানে অভিভাবকরা অপেক্ষা করেন। সেখানে ঐ অভিভাবকদের কিছু শিশুতোষ গল্পের বই পড়তে দেওয়া হয়। সেই গল্পগুলো মায়েরা বাড়িতে গিয়ে তার সন্তানকে শোনান। ঞ) ডিজিটাল ঘণ্টা- ক্লাসের শুরু ও শেষের সময় ডিজিটাল ঘন্টার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া সাদাত রহমান, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, সাইবার টিনস ফাউন্ডেশন ও সদস্য, কিশোর-কিশোরীদের সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে জাতীয় কমিটি। আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার ২০২০ অর্জন ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে অনন্য অবদান রাখায় তাকে আজ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে তিনি 'সাইবার টিনস' নামে একটি অ্যাপস তৈরি করেন যেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। জেলা প্রশাসন, মাগুরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যাক্তিরা ভবিষ্যতে তাদের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

এমএসএম / এমএসএম

শীর্ষ মানবপাচার চক্রের মূল হোতা আটক

বাকেরগঞ্জে কোটি টাকার সেতু কাজে আসছে না, উঠতে হয় মই দিয়ে!

মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে অভিযান, ১০ জেলে গ্রেফতার

নালিতাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

তালাবদ্ধ দোকানঘর থেকে এক নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার; পলাতক স্বামী

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ১১ জেলে আটক, ৮ জনের কারাদণ্ড

পটুয়াখালীতে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন