রংপুরে দিনে ব্যস্ততা, রাতে সুনসান নীরবতা
রংপুর নগরীতে কঠোর লকডাউনে দিনের বেলায় মানুষের ব্যস্ততা বাড়লেও সন্ধ্যার পর সুনসান নীরবতা বিরাজ করে। আগের চেয়ে মানুষজনের চলাচল বেড়েছে। দোকানপাটেও এক সাটার খুলে ব্যবসা চলছে। সড়কে যানবাহন বাড়ছে। লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে পুলিশ ও র্যাবের তৎপরাতা অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। নানা অজুহাতে মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। প্রতিদিন জরিমানা করেও মানুষকে দিনের বেলা ঘরবন্দি রাখা যাচ্ছে না।
এদিকে, দিনের বেলা সড়কে মানুষজনের ব্যস্ততা দেখা গেলেও সন্ধ্যা নামলে চলাচল কমে যায়। রাত ৯টা বাজতেই অনেক স্থানে সুনসান নীরবতা বিরাজ করতে দেখা গেছে। পাড়া-মহল্লার মোড়ে ছোটখাটো আড্ডা থাকলেও প্রধান সড়কসহ অন্যান্য সড়কে লোকজনের চলাচল শূন্যের কোটায় নেমে আসে রাত যত বেশি হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ থানা, ট্রাফিক বিভাগ ও ডিবির মোট ২৫টি টহল টিম এবং ২০টি চেকপোস্ট বিধিবহির্ভূতভাবে বিভিন্ন যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার, সড়ক ও স্থানে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রংপুর মহানগর এলাকায় যানবাহনের অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ থানা ও ট্রাফিক বিভাগ বিধিবহির্ভূতভাবে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোট ১৩৪টি মামলা দায়ের করেছে। আটক করা হয়েছে ২০টি যানবাহন। মোট জরিমানা করা হয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়াও মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬ থানা, ট্রাফিক ও ডিবিসহ জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব এবং বিজিবি টহল দল যৌথভাবে রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মোট ২৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এতে মোট ১৩ হাজার ৭৫০ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়। লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় সেনাবাহিনীর ২টি, র্যাবের ২টি, বিজিবির ২টি এবং আনসার ব্যাটালিয়নের ২টি টহল দল কাজ করছে।
এমএসএম / জামান