আফসানা লাকি
মুখের স্বাদ হল আগে, কেক বানাতে সে দিকেই লক্ষ্য থাকে
মাত্র ৫ হাজার টাকা ধারকরা পুজি নিয়ে ২০১৯ সালে করোনার মধ্যে পোলাও-রোস্ট বিক্রি দিয়ে ব্যবসা শুরু। বলতে পারেন শুণ্য থেকে শুরু। আজ অনন্য তিনি কেক তৈরিতে। নিজের পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ তাকে সফলতার পথে চলতে অণুপ্রাণিত করেছে। কঠোর পরিশ্রর করে অল্প সময়ে সফল হয়েছেন তিনি। গল্পটি আফসানা কিচেন স্টুডিও’র কর্ণধার আফসানা লাকির।
তার প্রতিষ্ঠানের নাম আফসানা কিচেন স্টুডিও। এখানে চিকেন রোস্ট, পোলাও, সিঙ্গারা , সমুচা ও বাহারি কেকের সমাহার রয়েছে। কেক নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আফসানা লাকি বলেন- বিদেশে রোস্ট ডেলিভারি দিয়ে ব্যবসা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে মনোযোগ কেক তৈরিতে। প্রতিদিন কেক তৈরির অনেক অর্ডার আসে অনলাইলে। মানুষ এখন শুধু জন্মদিনের জন্যই কেক অর্ডার করেন না। সু-স্বাদের কারণে বাসায় নাস্তার জন্য অনেকে কেক অর্ডার করেন।
কি জাদু আছে আফসানা লাকির তৈরি করা কেক এর? ‘মানুষ কেক এর যেরকম স্বাদ চান আর যেরকম মিষ্টি পছন্দ করেন, তা আমি হয়তো বুঝতে পেরেছি। ক্রেতারা যেরকম পরিবেশনা পছন্দ করেন, সেরকম উপরকরণ দিয়ে কেক পরিবেশন করি বলেই হয়তো আমার কেক এর চাহিদা বেশি।’ জানালেন আফসানা লাকি। তিনি জানান- ‘আমার কেকের ব্যাড রিভিউ নেই। কারণ মুখের স্বাদ হলো আসল। কেক বানানোর সময় সেই দিকেই লক্ষ্য থাকে। কেকে বাদাম কুচিচসহ নানা উপকরণ দিয়ে কেকটি স্বাদ ও পরিবেশন যোগ্য করে তুলি। কেকের উপর গবেষণা করতে করতে কেকের স্বাদ বিশেষজ্ঞ হয়ে গিয়েছি বলতে পারেন।
এ জন্য পরিচিতজনদের কাছ থেকে তিনি যে প্রশংসা পান, সে প্রশংসা তাকে কেক তৈরিতে আরও উৎসাহিত করে। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানান- ‘আমার এক বান্ধবী আছে ও প্রায়ই বলে, তোর ভ্যানিলা কেক এতো মজার হয়, কেউ তোকে হারাতে পারবে না। লাকি মাত্র তিন বছরে প্রায় ৩ শত কেক অনলাইনে বিক্রি করেছেন। তার ইচ্ছে সুযোগ হলে পেস্ট্রি শপ করবেন। আর এই কেক নিয়ে বহুদূর এগিয়ে যেতে চান।
Sunny / Sunny