কুমিল্লায় কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়ছে গরু খামারীদের

আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার লাকসাম, লালমাই, নাঙ্গলকোট ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা জুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন গরু খামারী ও ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন গোবাদী পশু মোটা তাজাকরন করতে ছোটবড় খামারীরা ইতি মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ অঞ্চলে ছোট বড় খামারীরা গরু মোটা তাজাকরন করতে খাওয়াচ্ছেন দেশী-বিদেশী কোম্পানীর হরেক রকম ইনজেকশন, ট্যাবলেট ও পাউডার।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, আসন্ন কোরবানী ঈদের আর মাত্র ১ মাস বাকী। তাই রমজানের ঈদের পরপরই তারা শূরু করেন গবাদীপশু লালন-পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি। বছর জুড়ে স্থানীয় হাটবাজার থেকে কেনা ভুষি, খৈল, ঘাস ও খড় গবাদী পশুর স্বাভাবিক খাবারের তালিকায় অন্তরভূক্ত থাকলেও আসন্ন কোরবানী ঈদের বাকী এ কয়দিনে গ্রামাঞ্চলের গৃহস্থ ও ছোটবড় খামারীরা গবাদী পশুর খাবারের রুচি বাড়ানোর নাম করে ব্যবহার শুরু করছেন হরেক রকম ব্র্যান্ডের ভিটামিন জাতীয় ঔষধ।
সূত্রগুলো আরও জানায়, জেলা দক্ষিনাঞ্চলের ৪টি উপজেলার শহরের ফার্মেসী গুলোতে গবাদীপশুর ঔষধ বিক্রির ধুম পড়েছে। গত কয়েক বছর মহামারী করোনায় সরকারী লকডাউনের কারনে কোরবানী ঈদে মোটা তাজাকরন গরু হাটে তোলে লোকসান হওয়ায় এবং চলমান বাজারে খাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় এবার প্রায় ২০ লাখ লোকের অধ্যুষিত এ ৪ উপজেলার গবাদীপশু লালন-পালন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক গবাদী পশুর খামার। যে খামারে আগে একসাথে ৩০/৪০টি গরু পোষা হতো। সেখানে এখন ৬/৭টি গরু রয়েছে। এমনকি কমেছে গবাদী পশু পালনে খামারীর সংখ্যাও।
স্থানীয় সূত্রগুলো আরও জানায়, এ অঞ্চলে চোরা পথে গরু আমদানীর ফলে সরকারও বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রত্যেক বছর কোরবানী হাটে ভারতীয় গরুর চাহিদা বাড়তে থাকে এবং ওইসময় সীমান্তের সকল চোরা দরজাগুলো খুলে দেয়ায় অবৈধ পথে হাজার হাজার ভারতীয় ও মিয়ানমার থেকে আসা গরু এ অঞ্চলের হাট বাজার গুলোতে প্রবেশ করেন। জেলার ভারত সীমান্ত অঞ্চলের সড়ক ও নৌ পথে গরুসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু আনার নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। গরু চোরা কারবারীদের শিকড় এতটা গভীরে যা পুরো প্রশাসন তাদের হাতে জিম্মি তার উপর স্থানীয় রাজনীতিবিদ সহ তাদের স্থানীয় এজেন্টতো আছেই। উপজেলা গুলোর চিহ্নিত গরু ব্যবসায়ীদের একটি চক্র গরু চোরাচালানের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধী সেন্টিকেট সীমান্ত অঞ্চলের সড়ক ও নৌ পথে দিয়ে প্রতিনিয়ত ভারতীয় রোগাক্রান্ত দূর্বল গরু জেলার দক্ষিনাঞ্চল উপজেলা গুলোর হাটবাজারে নিয়ে আসছে।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, চোরা পথে আসা এ সব গরু স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বেচাকেনা হয়। কারন স্থানীয় এজেন্ট অনেক প্রভাবশালী, তাদের রয়েছে বিশাল ক্যাডার বাহিনী । স্থানীয় প্রশাসনের সাথে অলিখিত চুক্তির মাধ্যমে এসব গরু ব্যবসা চলে আসছে। এতে দেশীয় পশুর বাজার ক্ষতিগ্রস্থের পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব আয়ে বিপর্যয়ের সন্মুখিন হবেন বলে অভিমত।
এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন কিংবা গরু বাজার পরিচালনা কমিটি একাধিক কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম

তানোর গোদাগাড়ীতে ধানের শীষের মনোনয়নের শীর্ষে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন

নেসকোর উপার ক্ষেপে গিয়ে রাজনৈতিক দেউলিয়াদের কলিজা ছিড়ে রাস্তায় ফেলতে চাইলেন সারজিস

ভোলাহাটে বিএনপি'র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী জিহাদের পাশে বিএনপি পরিবার’

ধামইরহাটে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির উঠান বৈঠক

মোরেলগঞ্জে মহিলা দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সলঙ্গায় নারী গ্রাম পুলিশের লাশ উদ্ধার

আত্রাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

চৌগাছার কাকুড়িয়া গ্রামের মহাকালি মন্দির চৌত্রিশ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে মোহনকে সমর্থন দিলো দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি

মেহেরপুরে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মৃত শ্রমিকদের মৃত ভাতা প্রদান
