ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারীর পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণ মামলা
বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে শারিরীক সম্পর্ক ও অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম শফিকের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী এক নারী।
গত মঙ্গলবার (১৬ মে) ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চকহরিচরণ গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত আট বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয় ধর্ষণের শিকার ভূক্তভোগী ওই নারীর। আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরির সুবাদে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় ভাড়া থাকতেন ওই নারী। দীর্ঘদেনর পরিচয়ের জেরে একপর্যায়ে ওই নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন শফিকুল ইসলাম। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আত্মীয় স্বজনদের কাছে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে কৌশলে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে। দীর্ঘ আট বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে বার বার শারিরীক সম্পর্ক করলেও বিয়ে না করে ঘুরাইতে থাকে। সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে ফের শারিরীক সম্পর্কগড়ে তোলেন। এরপর ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করিলে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় শফিকুল ইসলাম।
অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ওই নারীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলার সময় গোপনে তার মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এরপর থেকেই উক্ত ভিডিও ও গোপন ছবি ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানহানির হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে উক্ত ভিডিও ও গোপন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানায়, শফিকুল ইসলাম বিয়ের আশ্বাসে কৌশলে আমাকে ধর্ষণ করে ও মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে সে আমার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে আমার সম্মানহানি করেছে।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম শফিকের মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই নারীর সাথে তার প্রথম স্বামীর ঝামেলা চলাকালীন সময়ে তার সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। এরপর থেকে সে আমার সাথে বিভিন্ন রকমের ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করে। দীর্ঘ আট বছর আগের কথা, তখন বয়স কম ছিল। মেয়েটা দেখতে শুনতে ভালো ছিল, আমিও পুরুষ মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই ওর সাথে একটা রিলেশন হয়েছিল। ওর সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও গিয়েছিলাম। পরে জানতে পারলাম সে একাধিক মানুষের সাথে সম্পর্কে জড়িত। কিন্ত তার কোন গোপন ছবি বা ভিডিও আমি ছড়িয়ে দেইনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, একজন নারী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছে। আসামীকে গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম
কলমাকান্দায় ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ভেড়ামারা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কেয়ারটেকার ৪৮ মাসেও বেতন পাননি
ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারে দাবি ব্যবসায়ীদের
কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে বাল্যবিবাহ এবং শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
নাশকতার মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা তথ্য অফিসের মাইক অপারেটর গ্রেফতার
বাকৃবিতে গবেষণা পদ্ধতি ও ল্যাবরেটরি কৌশল বিষয়ে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে পিস এওয়ার্ড পেলেন শামীমা নাইস
ত্রিশালে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
ফাইনাল সিলেকশনেই স্পষ্ট হবে প্রার্থী নগরীতে গণসংযোগকালে হাজী ইয়াছিন
বালিয়াকান্দিতে অবৈধ ভাবে বালু মজুদের পায়তারা
৪৮ ঘণ্টা পরও প্রচারণামূলক উপকরণ অপসারণ না করায় পটুয়াখালীতে প্রশাসনের অভিযান