ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

সাভারে গড়ে উঠেছে অবৈধ শিসা কারখানা


ইমাম হো‌সেন, ঢাকা photo ইমাম হো‌সেন, ঢাকা
প্রকাশিত: ১১-৬-২০২৩ দুপুর ৪:৩৩

সমাজের চোখ যখন অন্ধ হয়ে যায় তখন সমাজ কি চোখে দেখতে পায়? সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। যাদেরকে জাতির বিবেক বলা হয়। সম্মানজনক পেশাকে পুঁজি করে কিছু সুবিধাবাদী লোক সমাজে অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে সম্মানজনক পেশাটি দিন দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তেমনিই দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের পরিচয়ে জিয়া ও আরজু দুই ভাইয়ের সেলটারে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় অবৈধ শিসা কারখানা পরিচালিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাভারের আমিন বাজার সালেপুর ব্রিজ সংলগ্ন আবসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ শিশা কারখানা। যেখানে ব্যাটারি ভেঙে এসিড ফেলা হয়। পরিবেশের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে এই এসিড। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। সিসা কারখানার পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে চলাচল করে কোমলমতি শিশু সহ এলাকার হাজারো স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়রা দুই ভাইয়ের ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনা। এই অবৈধ সীসা কারখানার কারণে এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগ। বিশেষ করে শিশু ও গবাদি পশুপাখি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, এ এসিড এতটাই মারাত্মক যে ঘাসের উপর পড়লে সেই ঘাস কোন পশুকে খেতে দেওয়া যায় না।  কোন গবাদি পশু যদি এ ঘাস খায় তাহলে গবাদি পশু সাথে সাথেই মারা যাবে। তারা আরো বলেন, এই সিসা ফ্যাক্টরির কারণে কোন প্রকার শাকসবজি বা অন্যান্য ফসলাদি এখানে উৎপাদন করা যায় না। বীজ রোপন করার সাথে সাথেই সেই বীজ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই এলাকার মানুষজন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিসা পোড়ানোর সময় যে পরিমাণ বিষাক্ত কাল ধোয়া বাতাসের সাথে মিশে বায়ু দূষণ করে তা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এই শিসা পুড়ানোর জন্য কিছুদিন আগে ভাকুর্তা এলাকায় একটি গরুর ফার্মে একসঙ্গে চারটি গরু মারা যায়।

সাভারের আমিন বাজার সালেপুর এলাকায় অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক অবৈধ সীসা কারখানা রয়েছে। একটি কারখানায় প্রবেশ করলে দেখা যায় শ্রমিকরা নিজেদের সুরক্ষার সরঞ্জাম না পড়ে বিপদজনক পরিবেশে ব্যাটারি থেকে সিসা বের করছে। অন্যদিকে আরেকদল শ্রমিক সেই সিসা গুলোকে অন্য আরেক সাইডে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো রাতের আধারে পুরানো হবে।

এসময় কারখানার ম্যানেজার এসে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা এখানে কেন প্রবেশ করছেন? এ কারখানার মালিক কে জানেন? তখন মালিকের নাম জানতে চাইলে বলেন এটি মোহনা টিভির জিয়া ও আরজু ভাইয়ের কারখানা। একজন সাংবাদিক হয়ে কিভাব অবৈধ কারখানা পরিচালনা করতে পারে? এমন প্রশ্ন করলে তখন কারখানার ম্যানেজার মুঠোফোন সাংবাদিক জিয়া সাহেবের সাথে কথা বলিয়ে দেন।

মুটোফোনে কথা বললে ওপার থেকে পরিচয় দেন আমি মোহনা টিভির জিয়া বলছিলাম আপনারা ওই খানে কেন গিয়েছেন? উত্তরে বললাম আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে আসছি তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন আপনারা এখান থেকে চলে যান। আমি পরে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবো।

কারখানার কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বললে তারা জানান, সাংবাদিক জিয়া এবং আরজু ভাইয়ের ও এখানে কারখানা আছে। এছাড়া আরো যে কারখানা গুলো রয়েছে সেগুলোর থেকে মানতি-মসোয়ার পায় তারা। তারা আরো জানান, কারখানা চলতে হলে তাদের দুই ভাইকে মানতি-মসোয়ারা দিতে হয়। প্রশাসন আসলে তারা দুই ভাই সমাধান করে দেয় যার কারণে প্রশাসন এখানে অভিযান করতে আসেনা।

এমএসএম / এমএসএম

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু

শিবচরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন