ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

সাভারে গড়ে উঠেছে অবৈধ শিসা কারখানা


ইমাম হো‌সেন, ঢাকা photo ইমাম হো‌সেন, ঢাকা
প্রকাশিত: ১১-৬-২০২৩ দুপুর ৪:৩৩

সমাজের চোখ যখন অন্ধ হয়ে যায় তখন সমাজ কি চোখে দেখতে পায়? সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। যাদেরকে জাতির বিবেক বলা হয়। সম্মানজনক পেশাকে পুঁজি করে কিছু সুবিধাবাদী লোক সমাজে অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে সম্মানজনক পেশাটি দিন দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তেমনিই দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের পরিচয়ে জিয়া ও আরজু দুই ভাইয়ের সেলটারে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় অবৈধ শিসা কারখানা পরিচালিত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাভারের আমিন বাজার সালেপুর ব্রিজ সংলগ্ন আবসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ শিশা কারখানা। যেখানে ব্যাটারি ভেঙে এসিড ফেলা হয়। পরিবেশের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে এই এসিড। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। সিসা কারখানার পার্শ্ববর্তী রাস্তা দিয়ে চলাচল করে কোমলমতি শিশু সহ এলাকার হাজারো স্থানীয় লোকজন। স্থানীয়রা দুই ভাইয়ের ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনা। এই অবৈধ সীসা কারখানার কারণে এলাকায় দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগ। বিশেষ করে শিশু ও গবাদি পশুপাখি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, এ এসিড এতটাই মারাত্মক যে ঘাসের উপর পড়লে সেই ঘাস কোন পশুকে খেতে দেওয়া যায় না।  কোন গবাদি পশু যদি এ ঘাস খায় তাহলে গবাদি পশু সাথে সাথেই মারা যাবে। তারা আরো বলেন, এই সিসা ফ্যাক্টরির কারণে কোন প্রকার শাকসবজি বা অন্যান্য ফসলাদি এখানে উৎপাদন করা যায় না। বীজ রোপন করার সাথে সাথেই সেই বীজ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এই এলাকার মানুষজন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিসা পোড়ানোর সময় যে পরিমাণ বিষাক্ত কাল ধোয়া বাতাসের সাথে মিশে বায়ু দূষণ করে তা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এই শিসা পুড়ানোর জন্য কিছুদিন আগে ভাকুর্তা এলাকায় একটি গরুর ফার্মে একসঙ্গে চারটি গরু মারা যায়।

সাভারের আমিন বাজার সালেপুর এলাকায় অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক অবৈধ সীসা কারখানা রয়েছে। একটি কারখানায় প্রবেশ করলে দেখা যায় শ্রমিকরা নিজেদের সুরক্ষার সরঞ্জাম না পড়ে বিপদজনক পরিবেশে ব্যাটারি থেকে সিসা বের করছে। অন্যদিকে আরেকদল শ্রমিক সেই সিসা গুলোকে অন্য আরেক সাইডে নিয়ে যাচ্ছে যেগুলো রাতের আধারে পুরানো হবে।

এসময় কারখানার ম্যানেজার এসে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা এখানে কেন প্রবেশ করছেন? এ কারখানার মালিক কে জানেন? তখন মালিকের নাম জানতে চাইলে বলেন এটি মোহনা টিভির জিয়া ও আরজু ভাইয়ের কারখানা। একজন সাংবাদিক হয়ে কিভাব অবৈধ কারখানা পরিচালনা করতে পারে? এমন প্রশ্ন করলে তখন কারখানার ম্যানেজার মুঠোফোন সাংবাদিক জিয়া সাহেবের সাথে কথা বলিয়ে দেন।

মুটোফোনে কথা বললে ওপার থেকে পরিচয় দেন আমি মোহনা টিভির জিয়া বলছিলাম আপনারা ওই খানে কেন গিয়েছেন? উত্তরে বললাম আমরা তথ্য সংগ্রহ করতে আসছি তখন তিনি সাংবাদিকদের বলেন আপনারা এখান থেকে চলে যান। আমি পরে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবো।

কারখানার কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বললে তারা জানান, সাংবাদিক জিয়া এবং আরজু ভাইয়ের ও এখানে কারখানা আছে। এছাড়া আরো যে কারখানা গুলো রয়েছে সেগুলোর থেকে মানতি-মসোয়ার পায় তারা। তারা আরো জানান, কারখানা চলতে হলে তাদের দুই ভাইকে মানতি-মসোয়ারা দিতে হয়। প্রশাসন আসলে তারা দুই ভাই সমাধান করে দেয় যার কারণে প্রশাসন এখানে অভিযান করতে আসেনা।

এমএসএম / এমএসএম

খালিয়াজুরীতে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার আওয়ামীলীগ নেতা, দাবী পরিবারের

টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্ড উদ্ভোদন

মহেশখালীতে ডাকাত সর্দার মঞ্জুর পুলিশের হাতে আটক

হাইব্রিডদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে: শেখ সাদী

শ্রীপুরে মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে সপ্তাহব্যাপী ফুটবল উৎসব

পুকুর ও খালে ভেঙ্গে পড়েছে সড়ক, ১ লাখ মানুষের দুর্ভোগ

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা