রাউজানে ছড়িয়ে পড়েছে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগ
চট্টগ্রামের রাউজানে গত এক মাস ধরে গরুর মধ্যে লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভার দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে এ রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। এ রোগের প্রয়োজনীয় প্রতিষেধক না মেলায় উপজেলার গরু লালন-পালন কারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ঢাকা থেকে টিম এসে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জপু চক্রবর্তী। ব্যাপক হারে রোগ ছড়িয়ে পড়লেও স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে এই রোগের পর্যাপ্ত ওষুধ কিংবা প্রতিষেধক মিলছে না। পশুর জীবন রক্ষায় বাইরে থেকে উচ্চ মূল্যে কিনতে হচ্ছে প্রতিষেধক টিকাসহ ওষুধ। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের গরু লালন পালনকারী মানুষগুলো। জানা যায়, প্রায় গ্রামের মানুষ লাম্পি স্ক্রীন রোগে আক্রান্ত গৃহপালিত গরুর চিকিৎসা করাতে এখানে সেখানে ছুটাছুটি করছে। এই সুযোগ নিয়ে সরকারি পশু চিকিৎসক পরিচয়ে গ্রামে গ্রামে বিচরণ করা গ্রাম্য পশু চিকিৎসকেরা গৃহস্থকে জিম্মী করে চিকিৎসা ফি হিসাবে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে ছাড়ছে। সরজমিনে রাউজান উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষরা রোগাক্রান্ত গরু নিয়ে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছে। এই অফিসের কর্মরত চিকিৎসা সেবাদানকারীরা গরু ছাগলের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আক্রান্ত গরুর মধ্যে বেশির ভাগই বাচুর। সারা শরীর গুটি গুটি চাকায় ভরা একটি গরুর বাছুর নিয়ে আসেন কদলুপর ইউনিয়নের শ্যামল দে। তিনি বলেছেন তার তিনটি গরুর মধ্যে দুটিই আক্রান্ত এই রোগে। সাথে নিয়ে আসা বাছুরটির সারা শরীরের গুটি রোগ ছড়িয়ে পড়লেও গাভীটির অবস্থা তুলনামূলক ভাবে ভাল থাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেননি। চিকদাই ইউনিয়ন থেকে আসা মো. ইব্রাহিম নামে একজন খামারী বলেন, সরকারি প্রতিষেধক পায়নি, বাইরে থেকে প্রতিষেধকসহ ওষুধ কিনেছি ৫ হাজার টকাায়। অনেকের অভিযোগ গ্রামে সরকারি চিকিৎসক পরিচয় দেয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে কোনো সুফল না পেয়ে সর্বশেষ আসতে হয়েছে সরকারি এই চিকিৎসা কেন্দ্রে। খবর নিয়ে জানা যায় ঈদের তিনদিন পর উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়নের আঁধারমানিক গ্রামে রুজি আকতার নামে এক গৃহস্তীর লাম্পি স্ক্রীন রোগে আক্রান্ত একটি বাচুরের মৃত্যু হয়েছে। লাম্পি স্ক্রীন রোগে আক্রান্ত গরু মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলা প্রাণী সম্পদক কর্মকর্তা ডা. জপু চক্রবর্তী বলেন কোরবানির পশুর বাজার থেকে এই রোগ এখানে ছড়িয়ে পড়েছে। তার এই অফিস থেকে প্রতিদিন ত্রিশ থেকে পঞ্চাশটি পর্যন্ত রোগাক্রান্ত গরুর চিকিৎসা দিচ্ছেন। আবার কোনো কোনো খামারে গিয়েও তাকে আক্রান্ত গরু দেখতে হচ্ছে বলে জানিয়ে এই কর্মকর্তা জানান রোগ নিয়ন্ত্রণে তারা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এই রোগের প্রতিষেধক তার অফিসে পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে কিনা এবং গ্রামে গ্রামে সরকারি ডাক্তার পরিচয়ে পশু চিকিৎসায় থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডা.জপু বলেন পর্যাপ্ত প্রতিষেধক সরবরাহ নেই, তার জানা মতে মাঠ পর্যায়ে সরকারি ভাবে স্বীকৃত কোনো পশু চিকিৎসকও নেই। তিনি পশু পালনকারীদের আতঙ্কিত না উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে রোগ থেকে পশু রক্ষায় গোয়ালঘর সবসময় পরিষ্কার রাখা, আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখা, মশা-মাছি থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে মশারীর ভিতর রাখার পরামর্শ দেন।
এমএসএম / এমএসএম
রাজশাহী ১ তানোর- গোদাগাড়ীতে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব, ভোটের প্রস্তুতি শেষ জামায়াতের
কুমিল্লায় মহানগর যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
গোপালগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ১০১ পিস ইয়াবাসহ একজন গ্রেফতার
নরসিংদীর ডেঙ্গু পরিস্থিতি: নতুন শনাক্ত ১২, হাসপাতালে ভর্তি ৫২ জন
পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবিতে নড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
মধুখালীতে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী সৌরভ গ্রেফতার
রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় পূবালী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন
বেনাপোল ঘিবা সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে বাড়ছে বসন্তের কোকিলের আনাগোনা
বড়লেখায় প্রাথমিকে পাঠদানের অনুমিত পেল শিশু শিক্ষা একাডেমি
জামালপুরে কার্ভাড ভ্যানের চাপায় নিহত ৫, আহত ৩
মাগুরায় ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত