বস্তায় আদা চাষে বাজিমাত স্কুল শিক্ষক রুবেলের
কাঠের গুড়া, মাটি, জৈব ও রাসায়নিকসার মিশ্রণ করে তা বস্তায় ভরানো হয়। বস্তায় বেশকিছুদিন রাখার পর উপযুক্ত সময় হয়ে এলে সেখানে আদা চাষ করা হয়। এতে অল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়। আদা চাষের এই পদ্ধতি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জনপ্রিয় হলেও বাণিজ্যিকভাবে লালমনিরহাটে চাষ হয়নি কখনো।তবে এবছর জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার আব্দুর রাজ্জাক রুবেল নামের একজন স্কুল শিক্ষক এ পদ্ধতি অবলম্বন করে বাণিজ্যিক ভাবে প্রায় এক একর সুপারি বাগানের ৪০ শতাংশ জমিতে আদা চাষ করেছেন। অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বাড়তি আয়ের নেশা ও প্রধানমন্ত্রীর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষাক রুবেল তার সুপারি বাগানে ৫৫০০ বস্তায় আদা চাষ করেছেন। আদার ভালো ফলন, বাজার চাহিদা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মাত্র চল্লিশ শতাংশ জমি থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা আয় হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আলহাজ্ব সমসের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আদা চাষী আব্দুর রাজ্জাক রুবেল জানান, অবসর সময়কে কাজে লাগাতে ও বাড়তি আয় করতে পতিত জমিতে লাভজনক চাষাবাদ করার পদক্ষেপ খুজতে থাকেন ইউটিউবে। পরে স্থানীয় কৃষি অফিস ও কৃষিবিদদের সাথে কথা বলে হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে আধুনিক পদ্ধতিতে আদা চাষ লাভজনক হবে বলে জানতে পারেন। ইচ্ছেশক্তি, পরিশ্রম ও পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়ম মেনে আদা চাষ করতে আদাবীজ, বস্তা, কাঠের গুড়া, মাটি সংগ্রহ করে আদা চাষের জন্য জৈব ও রাসায়নিকসার মিশিয়ে বস্তা প্রস্তুত করেন। প্রস্তুতকৃত বস্তা ১০-১২ দিন রাখার পর বস্তায় ভর্তি করে সুপারী গাছের ফাঁকে ফাঁকে রেখে আদার বীজ রোপন করা হয়। এই পদ্ধতিতে আদা চাষে সব মিলে প্রতি বস্তায় খরচ হবে প্রায় ৪০ টাকা। প্রতি বস্তায় ৭০০ গ্রাম থেকে ১.৫ কেজি পর্যন্ত আদার ফলন হতে পারে। এতে মোট ২ লক্ষ টাকা খরচের বিপরীতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আয় হবে এমন দাবী আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের।
রুবেল জানান, দেশীয় মসলা জাতীয় ফলস আদা পূর্বে ব্যাপক চাষাবাদ হলেও বর্তমানে চাহিদা মেটাতে আমদানি নির্ভরশীল। আমদানী নির্ভর কমাতে পরিত্যাক্ত জমিকে কাজে লাগিয়ে আদা চাষ করে নিজের চাহিদা মেটানের পাশাপাশি লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। রুবেলের পদ্ধতি দেখে আশপাশের অনেক সচেতন কৃষক এখন বস্তায় পরীক্ষামুলক ভাবে আদা চাষের কথা ভাবছেন।
শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রুবেলের সহকর্মী কৃষি শিক্ষক আরিফুল ইসলাম জানান, বস্তায় আদা চাষের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে বপন করা বীজ থেকে আদা গাছ হলেও বীজটি নষ্ট হয়না এবং সঠিক পদ্ধতিতে আদা বীজকে (বপনের পর বীজ থেকে গাছ হলে বীজকে পিলাই বলা হয়) পূণরায় খাবারের জন্য ব্যবহার করা যায়। এতে আদা চাষের অর্ধেক খরচ আদা উত্তোলনের পূর্বেই উঠে আসে কৃষকের। ফলে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সুমন মিয়া জানান, আদা চাষে একটু সময় প্রয়োজনে হয়। সময় বেশি লাগলেও সঠিক পদ্ধতি জেনে আদা চাষ করতে পারলে কৃষক লাভবান হবে। শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক রুবেল বস্তায় আদা করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে বস্তায় আদা চাষে ব্যাপক ফলন পাবেন এবং আলোড়ন সৃষ্টি করবে। আদা হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে সঠিকভাবে পরিচর্যা নিয়ে চাষ করলে ভালো ফলন হয় তাউ সকল সচেতন কৃষকের উচিৎ বাগান বা পতিত জমিতে চাষ করে নিজের চাহিদা মেটামোর পাশাপাশি আমদানি নির্ভরতা কমাতে সহায়তা করার অনুরোধ করেন তিনি।
এমএসএম / এমএসএম
আদমদীঘিতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় মুক্তিযোদ্ধাদের দোয়া মাহফিল
লালমনিরহাটে বাস–অটো সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সুনামগঞ্জে খতমে কোরআন ও দোয়া-মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
নড়াগাতীতে ধর্ষনের শিকার গৃহবধূ, ধর্ষক আটক, থানায় মামলা দায়ের
বারহাট্টায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমপ্লিট শাটডাউন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
শ্রীমঙ্গলে কর্মস্থলে দুর্ঘটনা: নিহত এক নারী শ্রমিক
রাণীশংকৈলে সার বিতরণে বিশৃঙ্খলা: কৃষি কর্মকর্তার দাঁত ভেঙে দিলেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা
সীমাহীন দুর্নীতি-অনিয়মের দায়ে পাবনার একদন্ত ইউপি চেয়ারম্যান আলাল সরদার বরখাস্ত
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ,অভিভাকগণ দিশেহারা
বিজয় দিবস উদযাপনে কোটালীপাড়ায় প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা
বাঘায় তারুণ্যের সমাবেশ ও বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত
ভূঞাপুরে দ্বিতীয় দফায় টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি, চরম ভোগান্তিতে রোগীরা
Link Copied