জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলবাসী অক্ষম

গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত বৈচিত্র্যময় এই ছয় ঋতুর বাংলাদেশের দক্ষিণ অংশে এখন বিপদজনক তাপমাত্রা এবং বিপদজনক বন্যার পানি। দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ প্রায় ছয়মাস খড়া এবং ঝড়ের ঝুঁকিতে জীবনযাপন করে। সাগর উপকূলীয় ওই অঞ্চলে ছয় ঋতু রূপান্তরিত হয়ে এখন কেবল দুই ঋতুতে পরিনত হয়েছে। বছরের অর্ধেকের বেশি সময় ধরে পরিবেশ থাকে উষ্ণ। খাবার পানির তিব্র সংকট তৈরি হয়। আবার ঝড়ের আঘাতে মানুষের জীবন-মান নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অর্ধাহারে অনাহারে দেখা দেয় নানারকম রোগ। এতে করে জলবায়ুগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় উপকূলবাসি অনেকক্ষেত্রে অক্ষম।
বন্যা:
বরগুনা পটুয়াখালী বাগেরহাট সাতক্ষীরা এই চার জেলা থাকে বন্যার ঝুঁকিতে। টানা বর্ষণে এইসব জোলার অধিকাংশ এলাকা ডুবে যায়। ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয় মাঠের ফসল ও মাছের ঘের। টানা বর্ষণে বরগুনার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় প্রতিবছরে ৪/৫ বার। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়ে সাগর উপকূলের বাসিন্দারা। বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় অতি বর্ষণ সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে ঢাকার আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তার বলছেন অতি বর্ষণে বরগুনার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর এই তিনটি নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। অতি বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় সৃষ্ট ঢেউয়ে উপকূলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। এতে উপকূলীয় নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ২০২৩ জুলাই মাসে বরগুনার ছয় উপজেলা ঘুরে দেখা যায় আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা ও বরগুনার সদরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের। অতি বর্ষণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় বরগুনা জেলার মাছ চাষিরা। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী এলাকার ঘেরগুলোর অধিকাংশই বর্ষণের পানিতে ডুবে যায়। এসব ঘেরের মাছ জাল দিয়ে কোনোমতে আটকে রাখেন চাষিরা। তবে অনেকের মাছ লাফিয়ে বানের জলে ভেসে যায়।
খরা:
তীব্র খরায় পটুয়াখালী বরগুনা দুই জেলা ঘুরে দেখা গেছে তীব্র তাপদাহে পুরে যাচ্ছে মাঠের ফসল। খরা কেড়ে নিয়েছে কৃষকের মুখের হাসি। খরার কারণে ফসল উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। দিশেহারা হয়ে পড়ে সাধারণ কৃষকেরা। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে খেতের মুগ, মরিচ, চিনাবাদামসহ উঠতি রবি ফসল। খরার কারণে আউশের আবাদ শুরু করতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ফসল উৎপাদনের সঙ্গে রোদ, বৃষ্টি, তাপমাত্রা, জোয়ার-ভাটার পানি—সবকিছুই জড়িত। কিন্তু আবহাওয়ার তারতম্য ঘটায় এর প্রভাব পড়ে ফসল উৎপাদনের ওপর। ২০২৩ সালের মে মাসে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় রূপধন এলাকার কৃষক জব্বার মিয়া বলেন আউশ আবাদের মৌসুম শুরু হয়ে গেছে অথচ বৃষ্টি হচ্ছে না। যত দেরি হবে, ততই ফসল উৎপাদন কম হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরগুনা জেলা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রবি মৌসুমে জেলায় ৬২ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে মুগ, নয় হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে মরিচ, পাঁচ হাজার ৭৬০ হেক্টরে বাদাম, পাঁচ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে তিল, ৪৬৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। কিন্তু তীব্র খরার কারণে খেতেই এসব ফসল পুড়ে তখন ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলার পশ্চিম জালিয়াঘাটা গ্রামের কৃষক আবুল খান জানান, তাঁরা দুই ভাই মিলে ১২ শতাংশ জমিতে তিলের চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার টাকা। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে খেত শুকিয়ে তিল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একই এলাকার কৃষক ছগির ফরাজি জানান, খরায় তাঁর খেতের পাশের খাল শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে তিনি বীজতলা করতে পারেননি। আউশের আবাদ করতে পারেনি, তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। কৃষক ছগির ফরাজি বলেন আমি চরে কিছু বাদাম চাষ করেছিলাম এই তীব্র দাবদাহে বাদামের গাছগুলো পুড়ে গেছে।
এমএসএম / এমএসএম

মান্দায় অবৈধ ইট গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পাবনায় ছাত্র আন্দেলনের সময় দু’ছাত্র হত্যকারী সেই আ.লীগ নেতা সাঈদ চেয়ারম্যানের ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

ধর্ষকের শাস্তি চেয়ে শিবগঞ্জে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা

চিলমারীতে মহাসড়কের পাশে অবৈধ ভাবে চলছে জ্বালানী তেল বিক্রি

পটুয়াখালীতে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই কর্মী গ্রেফতার

আইনশৃঙ্খলা অবনতির দায় নিয়ে ইউনুস সরকারের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদল নেতার

রাণীশংকৈলে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত

শ্রীপুরে চার বছরের শিশুর গায়ে সৎ বাবার গরম ছুরির ছ্যাঁকা

দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে : লুনা

বাউফল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল

কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন নিয়ে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ
