নূরুল কবির, সভাপতি, বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি
লবণের ঘাটতি পূরণে তড়িৎ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন
লবণ আমরা প্রতিদিন খাই। প্রায় সব খাবারে স্বাদ বাড়ায় লবণ। দেশীয় পণ্য লবণ। বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক উঠানামা করলেও লবণের দাম এখনও পর্যন্ত সহনীয় মাত্রায় আছে। লবণ ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ী নেতারা মনে করেন সরকারি সংস্থাগুলো যদি যথাযথ পর্যবেক্ষণ করে, তাহলে বাজারে লবণের মূল্য আরও কমানো সম্ভব। এ বিষয়ে তাদের প্রস্তাবনা হচ্ছে- লবণ উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তাদের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত কঠোর পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। যাতে কেউ কোথাও সিন্ডিকেট করতে না পারে।
বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নূরুল কবির জানান- সরকারি হিসেবে এ বছর দেশে ২৪ লাখ মেট্রিক টন লবণের চাহিদা রয়েছে। তার বিপরীতে দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২২ লক্ষ মেট্রিক টন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী দেশে এ বছর ২ লক্ষ মেট্রিক টন লবণের ঘাটতি আছে। যদিও লবণ মিল মালিকদের হিসেব অনুযায়ী ৪ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ মেট্রিক টন লবণের ঘাটতি আছে দেশে। নুরুল কবির জানান- 'আমরা বারবার বলে আসছি আসলে এত লবণ উৎপাদন দেশে হয়নি। এটাই সত্য। দেশে এত লবণ উৎপাদন হলে লবণের মূল্য এত বেশি কেন? প্রশ্ন করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
দেশি লবণের ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার ও মহেশখালী থেকে লবণ সংগ্রহ করে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার এবং খাবার উপযোগী প্যাকেট করে বাজারে ছাড়ে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখানে প্রতিযোগিতার সুযেগ কম। এটিকে প্রতিযোগীতামূলক বাজার পদ্ধতিতে আনা দরকার এবং বর্তমান বাজারে লবণের যে ঘাটতি আছে, তা পূরণ করার জন্য লবণ আমদানি করার অনুমতি দেওয়া দরকার। তা না হলে দেশের বাজার অবৈধ পথে লবণ প্রবেশের আশঙ্কা করছেন লবণ মিল মালিক সমিতির এই নেতা। তিনি জানান- দেশে লবণ উৎপাদনের মৌসুম ১৫ মে পর্যন্ত। এ বছর ১২ মে থেকে দেশে লবণ উৎপাদন বন্ধ আছে। নতুন লবণ উৎপাদন শুরু করার আগে, ঘাটতি পূরণের জন্য লবণ আমদানির অনুমতি দিতে হবে। তা না হলে বাজারে হয় লবণের সংকট দেখা দিবে, নয়তো অবৈধ পথে লবণ বাজারে প্রবপশের শঙ্কা আছে। সকালের সময়কে তিনি জানান-এই মুহূর্তে আমি সকালের সময়ের মাধ্যমে সরকারকে জানাতে চাই আমরা আগামী দুই মাস পরে মনে হয় লবণের একটি বড় ক্রাইসিসে পরতে যাচ্ছি । যেটি কেউ এখনো বুঝে উঠতে পারছে না । বাজারে লবণের ক্রাইসিস পূরণের প্রস্তুতি আগে থেকে যদি নেওয়া না হয়, তাহলে ক্রাইসিস মোমেন্টে ফাইট সম্ভব হবে না। এর আগে ২০১৯ এবং ২০২১ সালে দেশের বাজারে লবণের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করতে পেরেছিল লবণ মিল মালিক সমিতি। তখন মিলারদের কাছে প্রচুর পরিমাণ লবণ ছিল। অসাধু চক্রের মিথ্যা প্রচারাণায় ২০১৯ সালে হঠাৎ করে এক দিনে লবণের দাম উঠে যায় ৮শ টাকা কেজিতে। সে দিন লবণ মিল মালিক সমিতি সরকারকে সহযোগিতা করতে পেরেছিল কারণ সে সময় বাজারে লবণের পর্যাপ্ত মজুত ছিল। বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি তখন- ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রচার করে লবণের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহযোগিতা করতে পেরেছিল। তখন এক দিনের ব্যবধানে লবণের দাম আবাও ২০ টাকায় নামিয় আনা সম্ভব হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে লবণের ঘাটতি আছে এ তথ্য সরকারের নীতি নির্ধারকদের কাছে যেমন আছে, তা বারবার বলা হচ্ছে লবণ মিল মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও। এ ঘাটতি পূরণ করার জন্য যদি আগাম পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের তড়িৎ হস্তক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লবণ মিল মালিক সমিতির সদস্যরাা।
Sunny / Sunny
এইউবিতে ‘ফাউন্ডার অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন ৬ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৪৪৭তম পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি-এর শরীয়াহ্ সুপারভাইজারী কমিটির ৯০তম সভা অনুষ্ঠিত
পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য এএমএলন ও সিএফটি সংক্রান্ত সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করলো আইএফআইসি ব্যাংক
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
নিজ উদ্যোগে ড্রোন উদ্ভাবনে অনন্য আনসার সদস্য আবুল হোসেন, মিলছে মহাপরিচালকের পৃষ্ঠপোষকতা
তিতাস গ্যাসে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ২% নগদ লভ্যাংশ অনুমোদিত
অ্যাপার্টমেন্ট কেনার আগে ৫টি জরুরি বিষয়!
যমুনা ব্যাংক পিএলসি কক্সবাজারের হিমছড়িতে হোটেল বেস্ট ওয়েস্টার্ন প্লাস বে হিলসের সাথে কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
*নিজ উদ্যোগে ড্রোন উদ্ভাবনে অনন্য আনসার সদস্য আবুল হোসেন, মিলছে মহাপরিচালকের পৃষ্ঠপোষকতা*
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২; চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১ জন আটক