সংবাদ প্রকাশের পর সেই ইউপি মেম্বারকে শোকজ

মুন্সিগঞ্জ  সদর উপজেলার মহাখালি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. ইদ্রিসুর রহমানের প্রবাসির স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ায় ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক সকালের সময়। 

গত ২২ আগস্ট এ নিয়ে সংবাদ  সংবাদ প্রকাশ হলে আলোচিত সেই ইউপি সদস্যকে শোকজ করে জেলা প্রশাসন মুন্সিগঞ্জ। সুত্রে জানা যায় , জেলা প্রশাসন কতৃক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি মেম্বার ইদ্রিসুর রহমান জানান , আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জবাব দিয়ে এসেছি। তাছাড়া অনেক আগেই এই বিষয়টি পরিষদে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।

মহাকালি ইউপি সচিব তানিয়া তামান্না বলেন  , মেম্বারের ঘটনাটি আমরা শুনেছি। এটা চেয়ারম্যান সমাধান করেছে। তাছাড়া মেম্বারকে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মহাখালি  ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম জানান প্রবাসির স্ত্রীর সাথে তার ( মেম্বারের) সম্পর্ক ছিল। আমরা ২ বার বিচার সালিশ করে দিয়েছি। মেম্বার কে আমি সতর্কও করেছিলাম।

এ বিষয়ে আরো জানতে কথা হয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খানের সাথে। তিনি জানান অভিযুক্ত মেম্বারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক মো. যুবায়ের সকালের সময়কে জানান , সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা তদন্ত করেছি। তাকে ৩ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ইউপি মেম্বারের ভাইরাল হওয়া প্রবাসির স্ত্রীর সাথে সেই ৪৩ সেকেন্ডের ভিডিও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়। ভিডিওতে ইদ্রিসুর রহমানকে একজন নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় অশ্লীল কর্মকান্ড করতে দেখা যায়।

এলাকাবাসী জানান, এমন একটি ঘটনা আমাদের কখনোই বোধগম্য ছিল না। একজন ইউপি সদস্যর মতো দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি কিভাবে একজন নারীর সাথে এমন আপত্তিকর কর্মকাণ্ড করে। বিষয়টি আমাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান , আমাদের ছেলেরা এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ সকল ভিডিও ফেসবুকে ছড়ালে উঠতি বয়সী তরুণদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন।

মহাকালি ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান,  আপত্তিকর ভিডিওর বিষয়টি নিয়ে পুরো ইউনিয়নে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তার বিষয়ে আমরা জেনেছি। ভিডিওটি আমরাও দেখেছি। এটা তাদের এবং ইউনিয়নবাসীর জন্য লজ্জাজনক বিষয়। একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ ইউনিয়নবাসীর মানুষ প্রত্যাশা করেনি।