ঢাকা শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

জমির জমা খারিজ আবেদন না মঞ্জুরে ডিসি ও এসিল্যান্ডকে বিবাদী করে মামলা


নেত্রকোনা প্রতিনিধি  photo নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮-৯-২০২৩ দুপুর ৪:৯

জমির নাম জারি (জমা খারিজ) আবেদন একাধিকবার না মঞ্জুর করায় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, সদর উপজেলা সহকারি ভুমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) আকলিমা আক্তার ও সদর ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা (নায়েব) তিনজকে বিবাদী করে নেত্রকোনার আদালতে মামলা দায়ের করেন মো. শাহজাহান কবীর নামে এক ভুক্তভোগী। বাদী শাহজাহান কবীর সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে।

বাদী পক্ষের আইনজীবি মো. জিয়া উদ্দিন খান জিয়া মামলার দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগীর ক্রয়কৃত জমি হাল সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ থাকা সত্তে¡ও একাধিকবার জমা খারিজের জন্য আবেদন করেন। প্রতিবারই আবেদন না মঞ্জুর করা হয়। আদালতের আশ্রয় নেওয়া হলে আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। একই দিনে বিবাদী পক্ষকে হাজির হয়ে স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় বক্তব্য ও কাগজপত্রাদি পেশ করার নোটিশ প্রদান করেন আদালত। চলতি মাসের ১৩ তারিখ (বুধবার) বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী আদালতে ভুক্তভোগী শাহজাহানের পক্ষে মামলা দায়েরের কথা জানান তিনি।

অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকা সত্ত্বেও জমা খারিজ প্রদান, এক ব্যক্তির নামে জমা খারিজ থাকা সত্ত্বেও খারিজের উপরে অন্যের নামে খারিজ এবং নিজ বাসায় ঝাড়ু, টয়লেট পরিস্কার এ ধরণের ব্যক্তিগত কাজ না করার অসম্মতির জন্য রিনা আক্তার নামে দীর্ঘদিন ধরে মাস্টাররোলে চাকুরি করা অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে চাকুরিচ্যুতির ভয় ও পরে তাকে অন্য স্থানে বদলি- এমন অভিযোগ রয়েছে এসিল্যান্ড আকলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার কার্যালয়ের অফিস সহকারি তারেক রেজা ও অফিস সহায়ক বিজয় চৌহান তাদের বিরুদ্ধেও জমা খারিজের বিপরীতে অর্থ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বাদী শাহজাহান কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিজয়পুর মৌজায় এসএ প্রজা খতিয়ান, এসএ খারিজ ও বিআরএস বিক্রেতা এলাহি নেওয়াজের নামে ছিল। এই ধারাবাহিকতায় বিক্রেতার কাছ থেকে ৪০ শতাংশ ভূমি সাফ কাওলা দলিল মূলে ক্রয় করি। ক্রয়কৃত ভূমির জমা খারিজের জন্য চারবার আবেদন করি। প্রতিবার নায়েব কর্তৃক প্রস্তাব প্রেরণের পরেও এসিল্যান্ড অফিস না মঞ্জুর করে দেয়। মেসেজ আসে এক নম্বর খতিয়ানের কারণে না মঞ্জুর করা হয়েছে। এসিল্যান্ড মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করে কাগজ পত্রাদি দেখিয়ে জানতে চাই কেন না মঞ্জুর হল, আমার জমি এক নম্বর খতিয়ানে না এবং হাল সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধিত। তিনি (এসিল্যান্ড) বার বার এক নম্বর খতিয়ানের কথাই বলেন ও খারাপ আচরন করেন। পরে তার অফিসের বিজয় চৌহান ও তারেক রেজার সাথে কথা বলতে বলেন। তাদের দুজনের কাছে গেলে তারা জানায় প্রতিবারই আবেদন না মঞ্জুর হবে। যদি আপনি (ভুক্তভোগী) আমাদের কথা শোনেন বলে বাহিরে টেনে নিয়ে যায়। ৪০ হাজার টাকা দিলে আবেদন মঞ্জুর করা হবে বলে জানায় তারা। উপায় না দেখে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি।

শাহজাহান কবীর আরও জানান, কোনাপাড়া মৌজায় আবুল কাশেম ও তাদের ভাইদেও নামে ৩৪.২৮ শতাংশ জমা খারিজের জন্য সাত-আটবার আবেদন করেন। অথচ এই জমির এক পাশে সরকারি রাস্তা ও অন্যপাশে নদীর রয়েছে। সার্ভেয়ারের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে অতীতে আবেদন না মঞ্জুর করা হয়েছিল। তারেক ও বিজয়ের যোগসাজসে একই দাগে খাস ভূমি থাকা সত্ত্বেও কাশেম গংদের প্রকৃত ২০-২৫ শতাশং জমি দখলে আছে। কিন্তু ৩৫ শতাংশ ভূমি তাদের নামে জমা খারিজ মঞ্জুর করা হয়েছে।

কান্দুলিয়া গ্রামের মহিম উদ্দিনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, কান্দুলিয়া মৌজায় ৩৮ শতাংশ ক্রয়কৃত জমি নিজ নামে ২০২১-২২ সালে নামজারী অনুমোদন পরে তার ভোগ দখলে এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করা আছে। জমা খারিজ অনুমোদনের এক বছর পরে তিনি জানাতে পারেন তার ৩৮ শতাংশ জমির মধ্যে ৬.৬৬ শতাংশ জমি অন্যের নামে জমা খারিজ হয়ে গেছে। সদর ভুমি অফিসের যারা দায়িত্বে থাকেন বেশি টাকা-পয়সার লেনদেন ছাড়া নুরুল ইসলামের নামে জমা খারিজের অনুমোদন হতো না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌর শহরের সাতপাই এলাকার মো. তৌহিদুল ইসলাম, রওনক জাহান, হেলাল উদ্দিন গং ক্রয়কৃত জমি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকায় এ নিয়ে তাদের ২০১৩ সাল থেকে মামলা চলমান রয়েছে। অথচ ২০২৩ সালে তাদের দখলে থাকা অর্পিত সম্পত্তির ভূমি একই এলাকার মো. আ. আজিজের নামে জমা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও এসিল্যান্ড আকলিমা আক্তারের নিজের বাসায় ঝাড়ু ও টয়লেট পরিস্কারের মতো ব্যক্তিগত কাজের নির্দেশ না মানায় দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী ভিত্তিতে মাস্টাররোলে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী রিনা আক্তারকে বরখাস্ত করেন। এ কারণে রিনা আক্তার নেত্রকোনা প্রেসক্লাবে অনশন কর্মসূচী পালন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এসিল্যান্ড বরখাস্তের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রিনা আক্তারকে রৌহা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলী করেন।

অফিস সহকারি তারেক রেজা ও অফিস সহায়ক বিজয় চৌহান তারা দুজনে অর্থ চাওয়ার বিষয়টি প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করেন।

এসিল্যান্ড আকলিমা আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসক ও এসিল্যান্ডকে বিবাদী করে আদালতের মামলার বিষয়টি জানা নাই। বাদী না মঞ্জুর বিষয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে আদালতে না গিয়ে অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বা তার উপরে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মকর্তার বরাবরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করতে পারতেন।

প্রতিবেদকের অন্যান্য প্রশ্নের আলোকে এসিল্যান্ড আরও বলেন, এক নম্বর খতিয়ানের জমি ও অর্পিত সম্পত্তির জমা খারিজের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে অথবা যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকেন তা তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং শুনানীর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজয় চৌহান ও তারেক রেজা বিষয়ে তিনি বলেন টাকা চাওয়ার প্রমাণাদি দেখাতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজের সরকারি মোবাইল নাম্বারে খুদে বার্তা ও একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এমএসএম / এমএসএম

কোনাবাড়ীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

কবিরহাটে অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকদের বিদায় ও নবাগত শিক্ষকদের বরণ অনুষ্ঠান

হৃদরোগ প্রতিরোধে উত্তরাঞ্চলে বড় ভূমিকা রাখবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন- স্বাস্থ্য সচিব

টঙ্গীতে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবসের অনুষ্ঠানে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ:

ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই ৩১ দফার মূল লক্ষ্য - কুমিল্লায় হাজী ইয়াছিন

বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ খুঁটি স্থানান্তরে প্রতিপক্ষের বাঁধায় ভুক্তভোগীর অভিযোগ

ভালুকায় ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারে উৎসবমুখর পরিবেশ

৩১ দফা বাস্তবায়নে জনমত গঠনের লক্ষ্যে কর্ণফুলীর বড়উঠানে মতবিনিময় সভা

ঈশ্বরগঞ্জে সিএনজি ও পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ২

কুষ্টিয়ায় থানা পুলিশের অভিযানে ১৭ জন আসামি গ্রেফতার

হাতিয়ায় সাবেক বিএনপি নেতৃবৃন্দের আলোচনা সভায় বক্তাদের অভিমত

গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধঃ সামিরা আজিম দোলা

ঢাকা-গাজীপুরে মসজিদের ইমামকে গুম ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে গলাচিপায় ইমাম পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল