ঢাকা শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

টাঙ্গাইলে মা নার্সিং হোম ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ


রাশেদ খান মেনন, টাঙ্গাইল photo রাশেদ খান মেনন, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ২৬-১০-২০২৩ বিকাল ৫:৪০
টাঙ্গাইলে মা নার্সিং হোম ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) শহরের আকুর টাকুর পাড়ায় মা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ভুল চিকিৎসার শিকার শিরিন আক্তার (৪৫) সখিপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের চাকদহ গ্রামের জয়নাল মিয়ার স্ত্রী। জানা যায়, শিরিন আক্তারকে গত সোমবার (২৩ অক্টোবর)  পিত্তথলির পাথর অপারেশনের জন্য মা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য অপারেশন কক্ষে নেওয়া হয়। এর পর সেখানেই শিরিন আক্তারের মৃত্যু হয়। তার স্বামী ও স্বজনরা তাৎক্ষনিক ভাবে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন। এ নিয়ে ক্লিনিকে অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি টাঙ্গাইল মডেল থানায় অবহিত করা হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। জয়নাল মিয়া বলেন, প্রথমে আমার স্ত্রীকে ঢাকা ক্লিনিকে ভর্তি করি, ঢাকা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমার স্ত্রীর অবস্থা দেখে অপারেশন করতে অপারগতা প্রকাশ করে, টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। আমরা সদর হাসপাতালে না নিয়ে বাড়ি নিয়ে যাই। পরবর্তীতে আমরা আবার চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল নিয়ে এসে মা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তার দেখার পর তারা সেখানে ভর্তি হতে বলে এবং  তারা জানায়, আমার স্ত্রীর পিত্তথলির পাথর অপারেশন তারা এখানেই করবে। আমরা ভর্তি করি। ভর্তি করার পর থেকে আমরা স্ত্রীর প্রেসার অনিয়ন্ত্রীত থাকায় আমরা অপারেশন করতে অসম্মতি জানাই কিন্তু মা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন আমাদের মিথ্যে অশ্বাস দিয়ে অপারেশন করে। অপারেশন করার সময় অবহেলায় আমার স্ত্রী মৃত্যু বরন করে। আমার স্ত্রী শিরিন আক্তারকে যদি ভর্তি না করতো, তাহলে ভুল চিকিৎসায় আমার স্ত্রী আজ মৃত্যু বরণ করত না। আমরা ওই ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে ডাক্তার ফরিদ আহমেদ সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। 
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনিকের মালিক কামাল হোসেন বলেন, যখন কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী মারা যায়, তখন ডাক্তার ও ক্লিনিকের অবহেলায় রোগী মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠে। আমরা যেহেতু ক্লিনিকের ব্যবসা করি, দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি। আমরা চাইনা কারো প্রান নাশ হোক। এই রোগীর ক্ষেত্রে তার প্রেসার নিয়ন্ত্রীত ছিলনা। যখন দেখেছি তার প্রেসার নিয়ন্ত্রনে তখনই আমরা অপরেশন করেছি। ক্লিনিক কতৃপক্ষের কাছে অ্যানেস্থেসিয়ার ডা. আনোয়ার সাদাত এর মোবাইল নম্বর চাইলে তারা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। রোগীর স্বজনদের থানায় মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। রোগীর স্বজনরা জানান, থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় ক্লিনিক কতৃপক্ষ শিরিন আক্তারের স্বামীর কাছ থেকে টিপসই নিয়ে তাদের পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে লাশ বের করে দেয়। এমনটা জানিয়েছেন মৃত শিরিন আক্তারের ভাতিজা মোঃ রাহাত মিয়া। 

এমএসএম / এমএসএম

বালু খে‌কোরা যত বড় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হ‌বে নাঃ ইউএনও ত‌রিকুল ইসলাম

‎বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

‎সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন

পঞ্চগড়ে প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অর্থ কেলেঙ্কারি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি কতৃপক্ষের

সাতক্ষীরা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে উন্নত জাতের মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ

কাজ শেষে না করেই লাশ হলো দুই বন্ধু, ট্রাকের ধাক্কায় দুই তরুণের মৃত্যুতে চলছে শোক