সদরপুরে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে ভেকু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের সুইচগেট সংলগ্ন শয়তানখালি এলাকায় সরকারি খাস জমিতে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার অভিযোগে একটি ভেকু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আকতার এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, আকোটের চর ইউনিয়নের শয়তানখালি এলাকায় নদীর পাড় ঘেঁষে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে ভৃমি দস্যুরা এমন সংবাদের অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় ওই স্থানে একটি মালিকবিহীন ভেকু জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ভেকু ম্যাশিন যাতে পরবর্তীতে ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য আকোটের চর ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারীর জিম্মায় রাখা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা একাধিক ব্যক্তি জানায়, পিয়াজখালি এলাকার বাসিন্দা মোমরেজ খালাসী ও বাহাদুর খাঁ নামে দুই ব্যক্তি বিগত কয়েকদিন যাবৎ আকোটের চর ইউনিয়নের সুইচগেট এলাকার অন্তর্গত শয়তানখালি নদীর পাড়ের সরকারি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে বিক্রি করে আসছিলো। স্থানীয় লোকজন মাটি কেটে বিক্রির কারণে যাতায়াতের রাস্তার ক্ষতি সাধণ ও প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ার কারনে মাটি কাটা বন্ধে বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ জানালেও কোন কাজ হয়নি।
আকোটের চর ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম বেপারী বলেন, শয়তানখালিতে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে একটি কুচক্রী মহল, এই বিষয়ে আমি এর আগেও তাদেরকে নিষেধ করেছি। কিন্ত কাউকে তোয়াক্কা না করে তারা মাটি কাটার ফলে আজ ভ্রাম্যমাণ আদালত ভেকু জব্দ করে আমার জিম্মায় দিয়ে গিয়েছে যেন পরবর্তীতে এই ভেকু আর ব্যবহার না হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, আজ সকালে ভূমিদস্যুরা সরকারি জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে একটি মালিকবিহীন ভেকু জব্দ করি। তবে এ কাজে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করে সদরপুর থানা অফিসার ইনচার্জকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সদরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মামুন আল রশিদ বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করার পর যারা এ কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম