ঢাকা শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

দেশীয় অগ্নি নিরাপত্তা শিল্পে সহায়তার নীতিগত আশ্বাস গৃহায়ন মন্ত্রীর


তানভীর সানি  photo তানভীর সানি
প্রকাশিত: ১৯-২-২০২৪ বিকাল ৬:৩৭

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, দেশীয় অগ্নি নিরাপত্তা ও সুরক্ষা শিল্পের উৎপাদন বাড়াতে এই খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহায়তা দেওয়া হবে। তাদের দাবি অনুযায়ী সম্ভব হলে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড সংশোধন করা হবে। মন্ত্রী ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি)  ইলেক্ট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইসাব) গোল টেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে কারখানা, আবাসন ও সরকারি অবকাঠামোসহ মেগাপ্রকল্প সমূহে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)-২০২০ সংশোধনীসহ সমন্বিত কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি শিল্প খাতের নেতারা।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অগ্নি নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফায়ার সেবা ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন,বিএসপি (বার),এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন তার মূল বক্তব্যে ঘটে যাওয়া কিছু অগ্নি দুর্ঘটনা এবং শিল্প-কারখানায় অগ্নি নিরাপত্তার তাৎপর্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অনেক সবুজ কারখানা নির্মাণ বাংলাদেশের একটি গর্বের জায়গা ঠিকই, তবে নন-আরএমজি খাতে অগ্নি নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস প্রতি বছর গড়ে ২২ হাজার ৩০০ অগ্নিকাণ্ডে ডাক পেয়েছে। কিন্তু গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে অগ্নিদুর্ঘটনা বেড়ে হয়েছে ২৮ হাজার ৭০৩টি।  আবার প্রতি বছর অগ্নি দুর্ঘটনায় গড়ে যেখানে ১৪৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে, সেখানে গত বছর প্রাণহানি ইতিবাচকভাবে ১০২-এ নেমে এসেছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, অগ্নিদুর্ঘটনায় বছরে গড়ে ৩৬৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু গত বছর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭৯৩ কোটি টাকার।  গত বছর প্রায় ৩৬ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড বিদ্যুতজনিত কারণে হয়েছে।

অগ্নিকান্ড প্রতিরোধের দায়িত্ব সবাইকে ভাগ করে নেওয়ার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ফায়ার সার্ভিস নয়, সকল শ্রেনির মানুষের সচেতনতা, অগ্নি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিশ্চিত এবং মানসম্পন্ন সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

তিনি বলেন, ফায়ার কোডের অনুপস্থিতি যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি বিল্ডিং কোড স্ট্যান্ডার্ড ও আইন মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সচেতন হলে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো। 

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, একসময় আগুন নেভানোর জন্য শুধুমাত্র পুকুরের পানির ওপর নির্ভর করা হতো কিন্তু এখন অনেক যান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। আমাদের সম্পদ রক্ষায় অগ্নি নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা অপরিহার্য। তাই জনগণের কষ্টের টাকায় তৈরি দালান-কোঠা আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে- এটা কাম্য নয়। তাই, যান্ত্রিক কৌশল, দক্ষতা ব্যবহার করে বাংলাদেশেই অগ্নি নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি উৎপাদন করতে পারলে আমরাই উপকৃত হবো।

মন্ত্রী এ সময় বলেন, অগ্নি নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির উৎপাদন বাড়াতে ব্যবসায়ীদের দাবিগুলোর সারসংক্ষেপ আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠালে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। স্বল্প খরচে আরও সুরক্ষার যে কোনও প্রস্তাব সরকার গুরুত্ব সহকারে দেখবে। সরকার এই বিষয়ে খুবই ইতিবাচক।

গোলটেবিলের সঞ্চালক ছিলেন ইসাবের সেক্রেটারী জেনারেল জাকির উদ্দিন আহমেদ। তিনি অগ্নি নিরাপত্তা ও সুরক্ষা শিল্পের বিকাশের জন্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড সংশোধনের জন্য মন্ত্রীর কাছে দাবি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বিদ্যমান বিএনবিসি সংশোধন করার প্রয়োজন এবং অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সেটি সময়মত হালনাগাদ করাও প্রয়োজন। শিল্পখাতের নেতারা প্রতি বছর এই দাবি তুললেও কার্যকর কোনো পরিবর্তন হয়নি।

গোলটেবিল বৈঠকে ইসাব এর সভাপতি মো. নিয়াজ আলী চিশতী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে অগ্নি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশে সুউচ্চ ভবনগুলোর কারণে অগ্নি-দুর্ঘটনার ঝুঁকি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তাই  সব ধরনের অবকাঠামো, শিল্পস্থাপনায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমেই নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত সম্ভব। আর তাতেই বাংলাদেশের একটি নিরাপদ ভবিষ্যত নিশ্চিত হতে পারে।

গোলটেবিল বেঠকের ওই আলোচনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, এফইবিওএবি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নবম আন্তর্জাতিক ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোর অংশ হিসেবে সেমিনারটি হয়েছে। গত শনিবার এক্সপো উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

Sunny / Sunny

সিলেটে আইএফআইসি ব্যাংকের উদ্যোগে “তারুণ্য উৎসব ২০২৫” অনুষ্ঠিত

প্রাইম ব্যাংক-এর পে-রোল সেবা নেবে রহিম গ্রুপ

সাশ্রয়ে দরকারি ওষুধ কেনা যাচ্ছে একেএস ফার্মেসি থেকে বিকাশ পেমেন্টে

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি- এর সার্টিফিকেশন অর্জন

সাশ্রয়ে দরকারি ওষুধ কেনা যাচ্ছে একেএস ফার্মেসি থেকে বিকাশ পেমেন্টে থাকছে ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক

লালমনিরহাটে ভারতের ৬২ কিলোমিটার দখল নিয়ে গুজব: বিজিবির প্রতিবাদ

কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং-এ সাউথইস্ট

পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

চাঁদপুরে বাউবির নবনির্মিত অফিস ভবনের উদ্বোধন

কমিউনিটি ব্যাংক ও হলিডে ইন ঢাকার মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

প্রথমবারের মত সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক

টেকনাফের গহিন পাহাড়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে মানব পাচারকারী আটক

ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার “রহীমা ও আরিফা খাতুন মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানা”-কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি