কাশ্মীর পার্কে প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে মাদকসহ যৌন ব্যবসা
রাজধানীর বেরিবাদ বেরুলিয়া বাস স্ট্যান্ডের পাশে কাশ্মীর গার্ডেন পার্ক এন্ড পিকনিক স্পট এন্ড রেস্টুরেন্টে প্রশাসনের নানান মহলের নাম ভাঙ্গিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে নীরবে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ও দেহ ব্যবসা। আগত যুগলসহ তাদের সংগ্রহে থাকা অল্পবয়সী সুন্দরী মেয়ে ও বিভিন্ন শ্রেণীর যৌন কর্মী দিয়ে রেস্টুরেন্টের নামে প্রতিনিয়তই চলছে মাদকসহ প্রতিতা বৃত্তির দোকানদারি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কাশ্মীর গার্ডেনটি ভাড়া নেন মো: তাজউদ্দিন। তিনি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) প্রতিষ্ঠান এর একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। কাশ্মীর গার্ডেন পার্ক পিকনিক স্পট এন্ড রেস্টুরেন্টটি সামাজিক অনুষ্ঠান, পিকনিক, বৌভাত, ও নাটক শুটিংসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করার জন্য ভাড়া নেয় অথচ সেখানে কোন পিকনিক, বৌভাত, ও নাটক শুটিংসহ সামাজিক অনুষ্ঠান করার মত পরিবেশ নেই। সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যেমন এর বিধি-১৬-তে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী কোনো ব্যাংক বা অন্য কোনো কোম্পানি স্থাপন, নিবন্ধীকরণ বা ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।' আবার বিধি-১৭-তে বলা হয়েছে, 'কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোনো ব্যবসায় জড়িত হতে অথবা অন্য কোনো চাকরি বা কার্য গ্রহণ করতে পারবেন না। বিধি-নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তিনি সরকারি আইন অমান্য করে কাশ্মীর গার্ডেন ভাড়া নিয়ে অসামাজিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিগত ২৯ ফেব্রয়ারী ২০২৪ দৈনিক সকালের সময় সরেজমিনে তথ্য নিতে গেলে আমাদের সাথে সাক্ষাৎ মিলে ঝন্টু সরকারের, তিনি পার্কের মালি এমনকি পতিতার দালালি করেন তিনি। এখানকার সার্ভিস সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি বলেন ভ্রমনের জন্য জনপ্রতি প্রবেশ ফি ১০০ টাকা। কাপলদের জন্য ৩০০ টাকা। রুম নিলে প্রতি ঘন্টা ২০০০ টাকা। দিন হিসাবে নিলে ৩০,০০০ টাকা। নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি কোন রকম সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দেন। স্থানীয় প্রশাসন আমাদের ম্যানেজ আছে ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গার্ডেনটি একটি বাগান বাড়ি, ভিতরে একটি পুকুর রয়েছে এবং পুকুরের চার পাড়ে অনেকগুলো ছোট ছোট টিনসেডের ঘর। সেখানে রেস্টুরেন্টের নামে চালাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ কিন্তু সেখানে কোন রেস্টুরেন্ট দেখা যায়নি নামমাত্র একটি ছোট্র দোকান আছে যাতে রয়েছে পানি বিস্কুট আর সিগারেট। সামাজিক কাজের কোন হল রুম না থাকলেও পতিতা বৃত্তির জন্য রয়েছে রুম।
ঘটনাস্থলে সাক্ষাৎ হয় দালাল জীবনের সাথে, তিনি আমাদের কাছে জানতে চান ভাই মেয়ে লাগবে না রুম লাগবে? আমরা বলি মেয়ে ও রুম দুটিই লাগবে। তখন জীবন বলেন, ভাই ভয় পান কেন? এখানে সব রকম ব্যবস্থা আছে। জীবন নামের ঐ ব্যক্তি বিভিন্ন শ্রেণীর বয়সের নারী যৌন কর্মি সাপ্লাইয়ার। পরবর্তীতে ম্যানেজার আলমগীর এর কাছে জানতে চাই জীবন কোথায়? সাংবাদিক বুঝতে পেরে উত্তেজিত হয়ে বলেন তারা জীবন নামে কাউকে চিনেন না। আলমগীর হোসেন আরোও বলেন, এখানে কোন ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড হয়না। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গিয়ে তাজুল মুঠোফোনে ম্যানেজারের কাছে জানতে চায় কী চাই ওরা? জবাবে ম্যানেজার আলমগীর বলেন তাদেরকে বিদায় দিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি। জনাব মো: তাজ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এমএসএম / এমএসএম
ভবন দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর, ফায়ার সার্ভিসের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
দেশে পলিনেটের মাধ্যমে আঙুর চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব
জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ঘোষণা
১৩ তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা -৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী তানভীর আহমেদ রবিন
ফারইস্ট লাইফের টাকা আত্মসাৎকারি নজরুল ইসলাম আটক
গ্রাহকদের ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও এম.এম. সেইফ সিকিউরিটির মালিক মাসুদ রানা
আনন্দঘন বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা'র অষ্টম বর্ষ পূর্তি ও নবম বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান
বাড্ডায় বাসা থেকে দম্পতির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
সাভারে ‘শিরিন মেকওভার অ্যান্ড বিউটি সেলন’-এর উদ্বোধন
‘নো ওয়েজ বোর্ড নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকরসহ ৩৯ দাবি সাংবাদিকদের
কোম্পানীগঞ্জ সড়কে অবৈধ পার্কিংয়ে তীব্র যানজট
উত্তরায় বেগম খালেদা জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫-এর শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপি নেতা আফাজ উদ্দিন