মানবতার ফেরিওয়ালা এমপি সেঁজুতি এখন অসহায়দের দ্বারে দ্বারে

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য  সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কৃতি সন্তান লায়লা পারভীন সেঁজুতি । যিনি স্বনামধন্য মানবিক ও আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারে  জন্মগ্রহণ করা  বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার যোগ্য  উত্তরসূরী। জীবনে চলার পথে বিভিন্ন সময়ে সামাজের উন্নয়ন মূলক বা ভাল কর্মকাণ্ডের প্রতিদান হিসেবে সমাজের মানুষের চোখে আজ তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা হিসাবে বিবেচিত।  শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে সবার কাছে প্রিয় ও অতি পরিচিত একটি মুখ। সাতক্ষীরার বহুল প্রচারিত   গণমাধ্যম ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা শহীদ স,ম আলাউদ্দিন ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। যারই ফলশ্রুতিতে পিতার দেখানো  পথ অনুসরণ করার লক্ষ্যে নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত করতে। সেঁজুতি এমপি হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের অসহায় অসুস্থ নেতা-কর্মীদের  খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি  দিচ্ছেন শান্তনা। একই সাথে ভোট আসলে ঠেঁলে ফেলানো যায় ন, ভোটের পরে দেখা মেলে না। সাধারণ মানুষের এমন ভ্রান্তি ধারণার তিনি অবসান ঘটাতে চান বলে জানা যায়। যারই ধারাবাহিকতায়   আজও বিভিন্ন পর্যায়ের অসুস্থ অসহায় নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর নিয়ে আরও একটি ব্যস্ত দিন পার করলেন। গত কয়েক দিনে  তালা উপজেলা সহ সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কবর জিয়ারত ও অসুস্থদের বাড়িতে যেয়ে খোঁজ খবর নিলেন সেঁজুতি এমপি। শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে থেকে শুরু হওয়া এমপি সেঁজুতির কর্মসূচির প্রথমে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা দলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রয়াত, অসুস্থ ও প্রবীণ বিভিন্ন পর্যাযের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। এবং সাধারণ মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সালাম পৌঁছে দেন। এরপর এমপি সেঁজুতি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পৌর শহরের সুলতানপুরস্থ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসিম ময়না, শেখ আসিফ ইকবাল হীরক, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মীর খোকন, সাবেক সাংসদ সৈয়দ কামাল বখত্ সাকীর স্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্রর মাতা খুখু রাণীর করব জিয়ারত করেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এড. শামসুর রহমান, মমতাজুন নাহার ঝর্ণার পারিবারিক কবরস্থানে হাজির হয়ে তাদের কবর জিয়ারত করেন এমপি সেঁজুতি।সাতক্ষীরা সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজান আলীর পিতা প্রয়াত সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার মো. আব্দুস সালাম, সাবেক সাংসদ এএফএম এন্তাজ আলীর বাড়িতে যান, তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এমপি সেঁজুতি। এছাড়া অসুস্থ্য সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. আজিবর রহমানের খোঁজ নিতে তার বাড়িতে হাজির হন এমপি সেঁজুতি।এসময় সেঁজুতি এমপির সাথে ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ হ ম তারেক উদ্দীন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সিমুন সামস্, সদস্য এড. জিয়াউল ইসলাম বাচ্চু, নাজমুন আসিফ মুন্নি, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এড. আল মাহমুদ পলাশ, সাংবাদিক দিদারুল ইসলামসহ পৌর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এমপি লায়লা পারভিন সেঁজুতি জাতীয় দৈনিক সকালের সময়কে জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে অসহায় বিপদগ্রস্থ নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিতে না পারাটা নিজেদের  ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই না। নিজের দলকে সুসংগঠিত করা সহ   ডিজিটাল বাংলার রূপকার ও গণতন্ত্রের মানস কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে। নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি  সকল শ্রেণীর পেশার মানুষকে শতস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।