হাইমচরের মেঘনায় কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, আহত ১০
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।তবে লঞ্চের লোকজন পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রক্ষা পেয়েছেন ওই লঞ্চের ৪৫০ যাত্রী। আজ শনিবার উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের মাঝের চরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
লঞ্চ যাত্রীতের মধ্যে সিয়াম, সাফায়েত হোসেন, ইয়ামিন জানান, আমরা হিলশা এলাকা থেকে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটের সময় কর্নপুলি - ৩ লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করি। সকাল ১০ টার সময় মাঝ নদীতে ইঞ্জিনে আগুন লাগে। যাত্রীরা সব আতংকীত হয়ে ছুটাছুটি করতে শুরু করে। লঞ্চের মাস্টার লঞ্চটিকে নদীর কিনারে নিয়ে যায়। মানুষজন তারাহুরা করে নামতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয় এবং ২জন স্টোক করে। স্থানীয় লোকজন আহতদের বিভিন্ন ট্রলারে করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় প্রায় পাঁচশতাধীক যাত্রী বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চালক লঞ্চটি তাৎক্ষণিক নদীর পাড়ে একটি চরে ভিড়িয়ে দেন। এ সময় ওই লঞ্চে থাকা যাত্রীরা দ্রুত চরে নেমে যান। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দ্রুত পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে নৌ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনস্থলে পৌঁছে।
ফায়ার সার্ভিস চাঁদপুরের উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন, ‘লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষে একটি চার্জার থেকে আগুন লাগলেও আমরা যাওয়ার আগেই লঞ্চের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’ আনুমানিক ধারণা করা হচ্ছে ২০ হাজার টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা জানান, আমাদের মেঘনা নদীতে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত নৌপুলিশ, কাস্ট গার্ডকে পাঠিয়েছি। আমি নিজেও এসেছি। আহত যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য হাইমচর স্বাস্থ কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। অন্য যাত্রীদের ৩ টি লঞ্চে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চাঁদপুর নৌবন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আগুন লাগার বিষয়ে লঞ্চের মাস্টার মোবারক হোসেন আমাকে জানান। আমরা কর্ণফুলী-৩–এর যাত্রীদের উদ্ধার করে কর্ণফুলী-৪ এবং কর্ণফুলী ১১ লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।’
চাঁদপুরের নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চটি এখনো ঘটনাস্থলে আছে।
এমএসএম / এমএসএম