চট্টগ্রামে রেলের জলাশয়ে পাকা স্থাপনা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

চট্টগ্রামের মোহরা এলাকায় মাছ চাষের জন্য রেলের জলাশয় ইজারা নিয়ে শর্ত ভঙ্গ করে পুকুরের পারে ও রেললাইন লাগোয়া স্থানে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার তথ্য গোপন করে মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে প্রতিষ্ঠান তথা সরকারকে। নির্মাণাধিন স্থাপনাগুলো রেললাইন লাগোয়া হওয়ায় রয়েছে দুর্ঘটনার আশংকাও। এখানে আবার কতিপয় স্থাপনায় মাদক ও জুয়ার আসর বসিয়ে নষ্ট করছে পরিবেশ। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া বা শর্ত ভঙ্গ করার অপরাধে লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূসম্পত্তি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তথ্য সুত্রে জানা যায়, নগরের চান্দগাঁও থানার সিএন্ডবি রোডে টেকবাজার পোল সংলগ্ন রেল ক্রসিংয়ের পাশে ৮৬ শতক জলাশয় ইজারা নেয় পার্শ্ববর্তী জমির মালিক হাজী নুর মোহাম্মদ। রেলওয়ের ভূমি বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বিনা টেন্ডারে মাছ চাষের জন্য জলাশয় ইজারা নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সরকারি নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ টাকা পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই সুয়োগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় নুর মোহাম্মদ জলাশয়টি ইজারা নেয়। নিয়ম অনুযায়ী ১৪২২ থেকে ১৪২৮ পর্যন্ত বাংলা সনের হিসাবে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ টাকা প্রদান করে ৭ বছরের জন্য ইজারা গ্রহণ করেন। এখনো ৩ বছরের ইজারা ফি বকেয়া রয়েছে। নীতিমালায় রেলের জলাশয় ইজারা মূল্য ধরা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা আবার যেখানে ৬ মাস পানি থাকে এবং ৬ মাস শুকনা থাকে সেখানের জন্য ১২ হাজার টাকা। এর সাথে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ ট্যাক্স পাবে সরকার। স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে নুর মোহাম্মদের ইজারা নেয়া পুকুরে ১২ মাস পানি থাকে তবে এই তথ্য গোপন করে ৬ মাস পানি থাকার কথা বলে সরকারের অর্ধেক রাজস্ব আত্মসাৎ করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। রেলের সংশ্লিষ্ট দফতরের আমিন বা কোন অফিসার তদন্ত না করেই সরকারকে বঞ্চিত করার সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুধু তাই নয়, ইজারাকৃত ৮৬ শতক জমির বাইরেও রেললাইন লাগোয়া জায়গা দখল করে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে শতাধিক ভাড়া ঘর। মাসে কয়েক লাখ টাকা ভাড়া আদায় করলেও সরকারের রাজস্ব আদায়ে গড়িমসি করছে। এমনকি তথ্য গোপন করে সরকারকে ঠকাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয় অপর একটি সুত্র জানায় রেললাইনের দক্ষিণে পশ্চিম পাশে পুকুর ছাড়া সমতল ভূমি রয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ। যেখানে ২০ টি ভাড়া ঘর ও ১৫ টা দোকান আছে। পূর্ব পাশে পুকুর ছাড়া সমতল ভূমি প্রায় ২০ শতাংশ যেখানে ১০/১২ টা ভাড়া ঘর ও ১৫ টার মতো দোকান রয়েছে। রেললাইনের উত্তর পাশে ইজারা ছাড়াই আজগর ও হোসেন নামের ২ ব্যক্তি রেলের জমি দখল করে ভাড়া ঘর নির্মাণ করে ভাড়ায় লগিয়ত করেছেন। এমনকি ওসব ঘরে মাদক ও জুয়ার ব্যবসা চলে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
এব্যপারে জানতে চাইলে জলাশয়ের লাইসেন্স গ্রহিতা হাজী নুর মোহাম্মদ জলাশয়ের পাড় দখল ও রেললাইন লাগোয়া স্থানে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘর ও দোকান নির্মাণ করেছি, ৩ বছরের ইজারা ফি বকেয়া আছে সত্য তবে আমি বাণিজ্যিক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। রেলের অফিসারদের সাথে আমার কথা হয়েছে বাণিজ্যিক লাইসেন্স পেয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।
এব্যপারে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (সিইও) সুজন চৌধুরী বলেন, মাছ চাষের জন্য পুকুর বা জলাশয় ইজারা নিয়ে পাকা বা কাঁচা কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করার সুযোগ নেই, প্রতিটি লিজের শর্তেই এটা বলা থাকে। এরপরেও যদি কেউ শর্ত ভঙ্গ করে রেলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থাপনা উচ্ছেদসহ ইজারাও বাতিল করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

কুমিল্লায় ইউটার্নে দুর্ঘটনা একই পরিবারের ৪ মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, বন্ধ হলো ইউটার্ন

পাঁচবিবিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আদিবাসী যুবকের আত্মহত্যা

সবজির দামে ঊর্ধ্বগতি, নিম্ন আয়ের মানুষের হিমশিম

অবিলম্বে সংস্কার ও গণহত্যার বিচার করতে হবেঃ রফিকুল ইসলাম খান

ক্ষেতলালে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ময়মনসিংহের ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পিআর পদ্ধতি কি কোনো জনগণ বলতে পারবে-রুহুল কবির রিজভী

ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি গঠন

পাঁচবিবির আওলাই ইউনিয়নে বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ

রৌমারী উপজেলায় রিভার প্রকল্পের স্কুল কাম ফ্লাড শেল্টার নির্মাণ কাজের উদ্ভোধন

ছায়া নামক অস্ত্রের আঘাতে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয় জুলেখাকে

দীর্ঘ ১৬ বছর পর প্রকাশ্যে খোকসা উপজেলা বিএনপি'র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
