বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা বাতিলের দাবীতে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ঢাকা- টাংগাইল মহাসড়ক অবরোধ
টাংগাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারী চাকুরীতে কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবীতে ঢাকা - টাংগাইল - বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
আজ শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০.৩০ ঘটিকা থেকে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় সময় শিক্ষার্থীরা সারা বাংলায় খবর দে-কোটা প্রথার কবর দে, আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা - টাংগাইল মহাসড়ক রোড। এসময় মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানবাহন চলাচল থেমে যায়। অ্যাম্বুলেন্সসহ সকল জরুরি যানবাহনের জন্য আলাদা লেন করে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন -একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে কোন ভাবেই ৫৬% কোটা থাকতে পারে না। আমরা ছাত্র ছাত্রীরা সারা দিন পরিশ্রম করে যে চাকরী যুদ্ধে আসি, সে যুদ্ধে আমরা কোন বৈষম্য চাই না এবং তা কখনও মেনেও নেব না। আমরা কোন আন্দোলন চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে পড়ালেখা করতে চাই। পড়ালেখার মাধ্যমে আমাদের নিজেদের যোগ্যতা ও মেধার লড়াই করে সরকারের বিভিন্ন পদে চাকরি নিতে চাই। কোটা বাতিল আমাদের যোক্তিক দাবী কারণ চাকরীর বাজারে যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকুরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। এর ফলে দেশ মেধাশূন্যতায় ভুগবে। উন্নত রাষ্ট্র গড়তে কোটা ভিত্তিক নয় বরং মেধাভিত্তিক মূল্যায়ন করা উচিত। এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার না হলে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কোন মূল্য থাকবে না।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আখিল আহমেদ বলেন -বকুল তলায় বকুল ঝরলে, কদম তলায় কদম পরলে আন্দোলন সফল হয় না, আন্দোলন সফল করতে হলে রাজপথে আসতে হয়। আজকে আমাদের যোক্তিক দাবী নিয়ে আমরা রাজপথে এসেছি। আমাদের দেশে ৫৬ % কোটা, আমাদের দেশটি স্বাধীন হয়েছিল বৈষম্য দূর করার জন্য, কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও যদি কোটা বৈষম্য থাকে তাহলে ঐ স্বাধীনতার কোনো দাম থাকে না।আমরা চাই ছাত্র সমাজের কথা বিবেচনা করে সরকারী চাকরীতে কোটাকে গুরুত্ব না দিয়ে মেধাকে গুরুত্ব দেওয়া হোক এবং অতি দ্রত কোটা সংস্কার করে আমাদের দাবীকে মূল্যায়ন করা হোক।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী কামাল মিয়া বলেন -বৈষম্যের অন্যতম দিক হল কোটা পদ্ধতি। যা দেশকে মেধাশূনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।মেধাকে প্রাধান্য না দিয়ে যদি বিভিন্ন কোটায় অযোগ্য লোকদের প্রাধান্য দেওয়া হয়, তাহলে দেশের উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়। বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে আমাদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। আমি মনে করি মেধা ও যোগ্যতাই চাকরীর অন্যতম শর্ত হওয়া উচিত। তাই অবিলম্বে কোটা বাতিল চাই,কোটা প্রথা বাতিল না হলে যোগ্য ও অযোগ্যর মধ্যে কোন পার্থক্য থাকবে না, দেশ মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। মেধা ও জ্ঞান কে কোটার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে আমাদের দেশের সমৃদ্ধিও কোটার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
এমএসএম / এমএসএম
শেকৃবিতে নিয়োগের সিন্ডিকেট সভা ঘিরে মারামারি
বুধবারের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা স্থগিত, নতুন তারিখ ৫ জানুয়ারি
জকসু নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাকৃবিতে আহকাবের উদ্যোক্তাবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
জকসু নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ছাত্র সংগঠনের নেতাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
সারাদেশে স্কুল-মাদ্রাসার একযোগে বৃত্তি পরীক্ষা শুরু
গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলায় ডিআইইউসাস'র উদ্বেগ
মহানবী (সা:)কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ডিআইইউ শিক্ষার্থীকে ঘিরে উত্তেজনা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ডাকসুর মার্চ শুরু
ইবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে কর্মসূচী ঘোষণা
মাধ্যমিকের বই বছরের শুরুতে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না
৬ দিনের অচলাবস্থার পর আজ শুরু সরকারি প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা