ভাঙনরোধে টেকসই বেড়িবাঁধ চায় চন্দ্রদ্বীপবাসী

পটুয়াখালীর বাউফলে প্রমত্তা তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিছিন্ন ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপ, সর্বস্ব হারিয়ে কাঁদছে মানুষ। নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি ও শত শত একর ফসলি জমি। ঝুঁকিতে রয়েছে শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেক। ঠাঁই নিয়েছেন সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প ও সরকারি খাস জমিতে। বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল। বর্ষা মৌসুমের আগে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বড় একটি অংশ বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের কাছে চন্দ্রদ্বীপের জনগণের দাবি, ‘ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’।
মঙ্গলবার (১ জুন) সরেজমিন দেখা যায়, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের খেয়াঘাট থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দিয়ারা কচুয়া, পূর্ব-দক্ষিণে চরওয়াডেল ও চরব্যারেট এলাকায় তেঁতুলিয়ার তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে স্বাভাবিকের তুলনায় ভয়াবহ রূপ নেয় তেঁতুলিয়ার ভাঙন। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, চরওয়াডেল হামিদিয়া জামে মসজিদসহ প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি। নদীভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে চররায়সাহেব আশ্রয়ণ প্রকল্প-১, ২ ও খাস জমিতে আশ্রয় নিয়েছে ৫০টি পরিবার। কেউবা আবার চলে গেছেন অন্যত্র। ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণ চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নদীর গতিপথ পরির্বতন, যথাযথভাবে নদী শাসন না করা ও নদীতে অবৈধ বেহুন্দি জাল পেতে বাঁধা সৃষ্টি করায় ভাঙন বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
চন্দ্রদ্বীপের দক্ষিণ দিয়ারা কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাল মিয়া বলেন, সব হারিয়েছি, শুধু বাড়িটুক আছে। তাও হয়েতো কয়েকদিনের মধ্যে হারাতে হবে। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাব, কোথায় থাকব কিছুই জানি না।
চরওয়াডেল গ্রামের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন বলেন, অনেক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হলে আমাদের বাঁচার কোনো পথ থাকবে না। আমরা ত্রাণ চাই না, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় গত আম্ফানে প্রায় দেড় কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতি হয়েছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ফসল।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক বলেন, নদীবেষ্টিত ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপ। এখানে নিম্নআয়ের মানুষের বসবাস, যাদের সবাই জেলে, শ্রমিক ও কৃষি পেশায় নিয়োজিত। নদীভাঙনে অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে রবিশস্য নষ্ট হয়ে যায়। চন্দ্রদ্বীপকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট দপ্তররের কাছে টেকসই বেড়িবাধ নির্মাণের আবেদন করছি।
ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিছিন্ন নদীবেষ্ঠিত ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপ। বর্ষাকালে প্রতি বছর এলাকার মানুষ প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর্থিক ও জানমালের ক্ষতি হয়। চন্দ্রদ্বীপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ না থাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
এমএসএম / জামান

বাগেরহাট জেলায় সর্বদলীয় অবরোধ কর্মসূচি

রাণীশংকৈলে বালু উত্তোলনের সময় গর্তে পড়ে শিশুর মৃত্যু

লোহাগড়ায় নিখোঁজের চার দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার

পাঁচবিবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে ৩ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

মির্জাগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মুন্সি আকতার হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

পাকশীতে রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের বারো দফা দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা

অনির্বাণের আয়োজনে লেখক ও কবিদের চলনবিল ভ্রমণ ও সাহিত্য আড্ডা

জয়পুরহাটে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী

ভূঞাপুরে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্য আহত

পাঁচবিবিতে উপজেলা স্কাউটের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন
