পালিয়ে গেলেন আহমেদ বাওয়ানী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ
শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে গেছে রাজধানীর পুরানা ঢাকায় অবস্থিত আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মুন্সি মুকুল। জালিয়াতি দুর্নীতি নারী কেলেঙ্কারিসহ স্কুল ফান্ডের টাকা তসরুপের বহুমাত্রিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ সময় ধরে এসব অভিযোগ আলোচনায় থাকলেও স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বেপরোয়া দুর্নীতিতে মেতে ছিলেন।
আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের বংশাল কোতয়ালী থানার সভাপতির হিসেবে স্কুল ভবনে অধ্যক্ষের কক্ষটিকে রাজনৈতিক ক্লাবে পরিনত করেছিলেন তিনি। ভবনের বিশাল কক্ষ দখল করে স্কুল ফান্ডের টাকায় রাজকীয় সাজে সাজান অফিসটিকে। কোন শিল্পপতিরাও এত জাকজমক অফিস সাজান না। একাডেমিক কাজের বাইরেও সেখানে ঘটা করে মাঝে মধ্যেই আয়োজন করা হতো পার্টির।
জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মুন্সি মুকুল স্কুলের কিছু জুনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন একটি সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের ইচ্ছাতেই চলতো সব কিছু। মোশারফ হোসেন মুকুল প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হলেও শিক্ষক সুলভ কোন আচরণ ছিলো না তার। ২০১৫ সালে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া এ অধ্যক্ষ দলীয় ক্যাডার হিসেবে নিজেকে এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করেন।
জড়িয়ে পড়েন নারী কেলেঙ্কারিসহ অর্থ কেলেঙ্কারিতে। অধ্যক্ষের অনৈতিক কাজের সে সব ঘটনার প্রতিবাদে এখন স্কুল এলাকায় ঝুলছে ব্যানার ফেস্টুনে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রী অভিভাবক মহলেও নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করে অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মুন্সি মুকুল এর পদত্যাগ ও বিচারের দাবি করছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আহম্মেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক এডহক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। যাদের অধিকাংশেরই নেই এনটিআরসিএ- এর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ। অভিযোগ রয়েছে, প্রত্যেক এডহক নিয়োগে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিনি।
অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মুন্সি মুকুলের দুর্নীতি, বিলাসী জীবন, সিন্ডিকেট গড়ে তুলে পছন্দের তালিকার বাইরে থাকা শিক্ষক কর্মচারিদের উপর নিপিড়ন চালানোসহ সরকারি আদেশ অমান্য করা, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করা, জালিয়াতি করে পছন্দের লোককে এমপিও করানোসহ বহুবিধ অভিযোগে এর আগেও লেখালেখি হয়েছে।
কিন্তু ক্ষমতার বলে তাতে একটুও সতর্ক হননি তিনি। এদিকে তাকে রক্ষায় শেষ চেষ্টায় নেমেছে তার সিন্ডকেটের কয়েকজন সুবিধাভোগী। তারা ছাত্র- শিক্ষক অভিভাবকদের বলার চেষ্টা করছেন অধ্যক্ষ আবার ফিরবে। সময় এক ভাবে যাবে না। তাই বাড়াবাড়ি না করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন মুন্সি মুকুলের মুঠোফোনে যোগযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানে সরজমিনে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
জামিল আহমেদ / জামিল আহমেদ
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা