চট্টগ্রাম নগরীতে ছাত্র-জনতার কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী এরা কারা ?

চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালানো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মধ্যে কয়েক জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ছাত্র জনতার মিছিলে গুলি চালিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ক্যাডারারা কয়েক শতাধিক ছাত্র জনতা হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছিল।
গত ৪ আগস্ট নিউ মার্কেট এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রায় দই শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ছাত্র জনতা। অনেকে বর্তমানেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন।
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপটি ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলা চালিয়ে অস্ত্রগার থেকে অস্ত্রলুটের চেষ্টা এবং কোতোয়ালী থানা পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্রগুলোও চক্রটির হাতে রয়েছে বলে সূত্রে জানায়। যে চক্রটি ছাত্র জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষন করেছিল ফের চক্রটি গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিকেলে নগরীর কোতোয়ালী থানায় অগ্নি সংযোগ করে পুলিশের অস্ত্রলুটসহ প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকার মালামাল ক্ষতি করেছে বলে আশ পাশের দোকানদার এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ছাত্র জনতার উপর আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার উপর অস্ত্রহাতে নিয়ে সরাসরি গুলি চালানো এবং অস্ত্র হাতে দেখা গেছে এরমধ্যে বিভিন্ন সিসিটিভির ডিডিও ফুটেজ, বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিও দেখে অস্ত্রধারীদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। এরমধ্যে নগরীর বেশ কয়েকজন নগরীর আন্দরকিল্লার জেল রোড, আমানত শাহ মাজার এলাকার অস্ত্রধারীরা অনেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথেও যুক্ত। অনেকে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকায় একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছে। এরমধ্যে অস্ত্রহাতে গুলি চালানোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ও আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দীন শাহ, যুবলীগ ক্যাডার একাধিক মামলার আসামি লিটন দাশ, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড অওয়ামী লীগের সদস্য অভি, মিলিক, কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগ নেতা রাব্বী ও মাসুদ, কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক জিসান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আজাদ, ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম, যুবলীগ ক্যাডার মহিউদ্দীন ও রায়হান প্রকাশ বাপ্পা, আবছার, আরিফসহ বড় একটি গ্রুপ ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় অস্ত্র হাতে নিয়ে নিউ মার্কেট এলাকায় অংশ নেন। আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ ভট্টাচার্য্যর নেতৃত্বে দলীয় নেতা কর্মীরা অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ছাত্র জনতার উপর আক্রমণ চালায়।এরমধ্যে অস্ত্রধারী মহিউদ্দীন শাহসহ বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ছাত্র জনতা হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি আমানত শাহ মাজার এলাকায় মহিউদ্দীন শাহ বাসা এবং তার আস্তানায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলে শতাধিক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে তার কাছে অস্ত্রের ভান্ডার রয়েছে দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করে বিভিন্ন থানা পুলিশ থেকে লুট হওয়া অস্ত্রগুলো তার কাছে সংরক্ষিত আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আমি কখনো হত্যার রাজনীতি এবং ক্ষমতার রাজনীতি করি না, অস্ত্র দিয়ে যারা আঘাত করেছে ছাত্র জনতার উপর হামলা করেছে তারা সবার শাস্তি হউক আমি বিবেকবান মানুষ হিসেবেও তাদের দায়ভার দল বহন করা উচিত না, তারা শাস্তি পাক আমি চাই।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম ওবায়দুল হক বলেন, অপরাধী যে হউক, যে দলের হউক তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে অস্ত্রধারীদের সানাক্ত করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার এবং গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম

স্বাধীনতার পরে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বিএনপির জন্ম: ডা. মাজহার

বকশীগঞ্জে কৃষকের ৬১ শতক জমি ধান নষ্ট করে দিলো প্রভাবশালীরা

রায়গঞ্জে লাখো মানুষের ভরসা দড়িটানা নৌকা : জনপ্রতিনিধিদের কেউ কথা রাখেনি

দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে মেঘ ধরেছে: মো.শাহজাহান

ধামইরহাটে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিজয়নগরে আসামী গ্রেফতার করায় অতর্কিত হামলায় এএসআই শেখ সাদী আহত

টেকনাফে মাদক সাম্রাজ্য: কাদের নিয়ন্ত্রণে ভয়ংকর চোরাচালান চক্র

হিট প্রজেক্ট প্রাপ্ত যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের দুই শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান

রাণীনগরের সেই শিক্ষক আনোয়ারকে সাময়িক বরখাস্ত

মাদারীপুরে ১৮০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৬ জন

টাঙ্গাইলে ৩৩১২ প্রার্থী থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় ৫০ জনের পুলিশে চাকরি

উত্তরবঙ্গ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অফিস উদ্বোধন
