যোগদান করলেন জাবির নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান
আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিবিদ্যালয়ের (জাবি) নবনিয্ক্তু উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তিনি উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর উপাচার্যের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনের দুই শহীদের পিতাও এ সময় বক্তব্য রাখেন। তবে নির্দেশনা মোতাবেক উপাচার্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কোনো প্রকার ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি।
আলোচনা শেষে দুপুর ১টায় পুরাতন ফজিলাতুন্নেসা হলসংলগ্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নবনির্মিত ‘ছাত্র-জনতা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে’ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশে এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলছে। সরকার এই বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আপনাদের সহায়তা পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যা প্রয়োজন তা করতে পারব। এটা একজনের কাজ নয়, আপনাদের সকলের কাছ থেকে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরো বলেন, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। প্রশাসনিক কাজে আবেগ ও বিবেকের মিশ্রণ খুব জরুরি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি। শুধু বক্তব্য দেয়া নয়, সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যায়ভাবে প্রাণ কেড়ে নেয়া মানুষদের সঠিক ও নিরপেক্ষ বিচার করতে হবে। আমাকে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে।
এ সময় রেজিস্ট্রার (রুটিন দায়িত্ব) ড. এবিএম আজিজুর রহমান, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রভোস্ট, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
এমএসএম / জামান