ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

বালু কামালের শত কোটি টাকার সাম্রাজ্য : দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ


চট্টগ্রাম অফিস photo চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশিত: ৯-৯-২০২৪ বিকাল ৫:৪১

সময়ের সাধারণ বালু ব্যবসায়ী বালু কামাল বর্তমানে শত কোটি টাকার মালিক। তার এই উত্থান ও সমৃদ্ধির পেছনে রয়েছে চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর আশীর্বাদ ও সহায়তা। অভিযোগ রয়েছে, রেজাউল করিমের পৃষ্ঠপোষকতায় বালু ব্যবসায় অগাধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন বালু কামাল। চলাফেরা করেন দামি গাড়িতে, রয়েছে কয়েকটি বহুতল ভবন।

২০১৬ সালে যখন বালুর ব্যবসা হারিয়ে কামাল প্রায় দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলেন, সেই সময় নুর সিন্ডিকেটের বালুর ব্যবসায় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরের ১নং ব্লকের নোয়াপাড়া মৌজায় হালদা নদীর মোহনার পূর্বভাগে বালুমহাল ইজারা নিয়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু হয়। সেই সময়ে কামালের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক ছিল। দুই বউয়ের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। নুর সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষকতায় বিনিয়োগ ছাড়াই (চার লাখ টাকার ভুয়া চেক জমা দিয়ে) রেজাউল করিম অংশীদার হন। সেই সুবাদে রেজাউল করিমের সাথে কামালের লেনদেন শুরু হয়।

নুর সিন্ডিকেটের অন্য অংশীদারদের মতে, বালুর ব্যবসায় যোগ দেয়ার পর রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে কামালের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বালু চুরি থেকে শুরু করে বড় ধরনের চুরির মাধ্যমে রেজাউল করিম এবং কামাল বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। রেজাউল করিম হঠাৎ শেখ হাসিনার আশীর্বাদে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আসীন হওয়ার পর থেকে কামালের ভাগ্যের দরজা খুলে যায়। কামাল তার দাপটে এলাকা দাপিয়ে বেড়াতেন, যে কারণে সাধারণ মানুষের কামালের পাশে যাওয়ার সাহস হতো না।

কামালের নামে প্রতিষ্ঠিত 'কামাল এন্টারপ্রাইজ' সিটি করপোরেশনে টেন্ডার ছাড়াই শত শত কোটি টাকার কাজ পেয়ে যায়। বিশেষ করে চান্দগাঁও পুরাতন থানার সামনে নির্মিত সিটি করপোরেশনের স্পোর্টস টাওয়ারের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কামালের সকল টেন্ডারবিহীন কাজের ফাইল বিদ্যুৎগতিতে চলত। সিটি কপোরেশন অনেক সময় কাজ বাকি থাকলেও আগাম বিল পরিশোধ করক। কারণ হিসেবে জানা যায়, কামালের ব্যবসার অঘোষিত অংশীদার ছিলেন রেজাউল করিমের স্ত্রী, যার মাধ্যমে টেন্ডার বিহীন কাজের লেনদেন সম্পন্ন হতো।

নুর সিন্ডিকেটের মতে, মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং কামালের মধ্যে অর্থ ভাগাভাগির চুক্তি ছিল। রেজাউল করিমের কাছে নুর সিন্ডিকেটের প্রায় ১০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে এবং নুর সিন্ডিকেটের টাকায় কেনা বর্তমান কামালের হেফাজতে রক্ষিত বা কর্ণফুলী নদীতে পরিত্যক্ত চারটি ড্রেজার উদ্ধার করতে প্রশাসনের আইনানুগ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নুর সিন্ডিকেটের মালিক নুর মোহাম্মদ।

প্রশ্ন উঠছে বালু কামালের হঠাৎ উত্থান এবং রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে তার সম্পর্কের প্রকৃতি নিয়ে। দুদকের মাধ্যমে কামালের সম্পদের উৎস ও রেজাউল করিমের স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তদন্ত করলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং এর কর্মকর্তাদের সাথে যুক্ত দুর্নীতির আরো অনেক অজানা তথ্য উদ্ঘাটিত হতে পারে। এখন বালু কামাল বিএনপির নেতা সাজার চেষ্টা করছেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। সরকারের দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত এসব অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে জনসমক্ষে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা।

এমএসএম / জামান

সাবেক চিফ হুইপ ফিরোজ, স্ত্রী ও পুত্রের বিরুদ্ধে দুদুকে মামলা,

জাকের পাটির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব হলেন মুকসুদপুরের কৃতি সন্তান,সাজ্জাদ মিয়া

রেলের লীজে কবরস্থান–মসজিদ ! বাতিলের দাবিতে সিআরবি ঘেরাও

মিরসরাইয়ের ধানের শীষের পক্ষে শাহীদ চৌধুরীর মতবিনিময় ও গণসংযোগ।

শেরপুর ঝিনাইগাতীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১

টাঙ্গাইলে গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে বিএনপি নেতা এমপি প্রার্থী হামিদুল হক মোহনের মৃত্যু

প্রেম করে বিয়ে, শেষমেষ বালিশচাপায় মৃত্যু

চাঁদপুরে নিবন্ধন সনদ না থাকায় ৪ খাবার তৈরি প্রতিষ্ঠান মালিককে জরিমানা

সীতাকুণ্ডে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হতো আইসক্রিম,ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ত্রিশালে দুই বেকারিকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা

মনোহরদীতে খামারিদের মধ্যে মিল্কিং মেশিন বিতরণ

বাকেরগঞ্জে মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে নারী হেনস্তা ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগে এজাহার দায়ের